ঢাকা, ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

ভারত

ভারত জুড়ে ‘ভূতুড়ে শপিং মল’ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯%!

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:২১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

রিয়েল এস্টেট কনসালটিং ফার্ম নাইট ফ্রাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ভূতুড়ে শপিং মলগুলির ক্রমান্বয়ে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ২০২২-এর তুলনায় বার্ষিক হারে ৫৯% বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৩ মিলিয়ন বর্গফুট হয়েছে। ভূতুড়ে শপিং মল মানে, শপিং মলগুলিতে ভূতের উপদ্রব হয়, এমন নয়। ব্যবসায়িক পরিভাষায়, যে শপিং মলগুলির অধিকাংশ দোকানই খালি পড়ে থাকে এবং উপভোক্তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম হয়, সেগুলিকে গোস্ট শপিং মল বলা হয়। কাজেই এই ধরনের শপিং মলের সংখ্যা যত বাড়বে, ততই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত।   

'থিঙ্ক ইন্ডিয়া থিঙ্ক রিটেইল ২০২৪' রিপোর্ট অনুসারে এই ভূতুড়ে মলের বৃদ্ধি ২০২৩ সালে সম্ভাব্য বিক্রিতে ৬৭০০ কোটি টাকার ক্ষতিকে প্রতিফলিত করে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ভোক্তা অনলাইন কেনাকাটার দিকে ঝুঁকছেন এবং উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য বড় কেন্দ্রগুলিতে স্থানান্তরিত হওয়ায় বেশ কয়েকটি শপিং সেন্টার টিকে থাকার লড়াই করছে। 

রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে গোস্ট শপিং সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সবথেকে বেশি দায়ী দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকা। ২০২৩-এ দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকার গোস্ট শপিং মলগুলিতে মোট ইজারাযোগ্য জায়গার পরিমাণ বেড়ে ৫৩ লক্ষ বর্গফুট হয়েছে। এক বছরে বৃদ্ধি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। এই বিষয়ে দিল্লির পরই আছে মুম্বই।

বিজ্ঞাপন
সবথেকে খারাপ অবস্থা অবশ্য কলকাতার। ভারতের মধ্যে ভূতুড়ে শপিং সেন্টারের প্রসার সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আমাদের শহরেই। 

২০২৩-এ কলকাতায় গোস্ট শপিং সেন্টারে ইজারাযোগ্য জায়গার পরিমাণ বেড়েছে ২৩৭ শতাংশ। বর্তমানে কলকাতায়  ২৩টি শপিং মল রয়েছে। ২০২২-এ এর মধ্যে গোস্ট শপিং সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল এর মধ্যে ৪টি মল। বিশ্লেষকরা বলছেন- দুর্বল ব্যবস্থাপনা, অবস্থানগত অসুবিধা, মলের ছোট আকার কখনো বা ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ডের অভাবের কারণে ভারত জুড়ে বাড়ছে ভূতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা।

সূত্র :  livemint

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status