ভারত
আবার করোনার প্রকোপ? ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তায় উদ্বেগ
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১১ মাস আগে) ৯ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৫ অপরাহ্ন
দুহাজার কুড়ি-একুশ সালের দুঃস্বপ্নের সেই স্মৃতি মানুষের মনে এখনও অটুট। বিশ্বের খুব কম পরিবারই ছিল যাদের পরিবারের একজন না একজন করোনায় আক্রান্ত হননি। গোটা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা অসংখ্য, মৃতের সংখ্যা কোটির ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা - দীপাবলির পর করোনা আবার ফিরে আসছে। এবারে ভ্যারিয়েন্ট বদলে করোনা আরও মারাত্মক, আরও সংক্রামক বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে জেএন.ওয়ান। ইতিমধ্যেই লুক্সেমবার্গ, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও ফ্রান্স এই করোনার শিকার হতে আরম্ভ করেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে। জেএন.ওয়ান-এ ভ্যাকসিন কার্যকর নয় বলে জানিয়েছে হু। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দুহাজার কুড়ি-একুশে গোটা বিশ্বে সাতাত্তর কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। মোট মৃতের সংখ্যা ঊনসত্তর লক্ষ। এর মধ্যে আমেরিকায় দশ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় এগারো লক্ষের, চীনে নয় কোটি লোক আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় এক কোটি পঁচিশ লক্ষ লোকের। ফ্রান্সে তিন কোটি আশি লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে মারা যায় দেড় লক্ষ মানুষ, জার্মানিতে সাড়ে তিন কোটি আক্রান্ত, মৃত দেড় লক্ষ।
মৃত্যুর মিছিল চলেছিল তখন গোটা বিশ্ব জুড়ে। এই উপমহাদেশের ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ বহুদেশের অবস্থা সঙ্গিন হয় এই রোগে। মানুষের রুজি-রোজগার সব বিপন্ন হয়। জেএন.ওয়ান এর উপসর্গ একদম করোনার মতো। জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গায়ে ব্যথা, সর্দি কাশি, বমি, ডায়রিয়া, শ্বাস এর সমস্যা ইত্যাদি। অর্থাৎ করোনার যমজ ভাই এই জেএন.ওয়ান। হু এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন গোটা বিশ্বকে- এখন থেকে সাবধান হলে হয়তো দুহাজার কুড়ি-একুশের সর্বনাশ রোখা সম্ভব হবে।