ভারত
ভারতের বিচারপতিদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ করলো সুপ্রিম কোর্ট
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ দিন আগে) ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ্যে আনতে শুরু করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। অবসর নেয়ার কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নিজের সম্পত্তির যাবতীয় খতিয়ান দিয়ে গেলেন। শুধু তিনি নন, সুপ্রিম কোর্টের আরও ২০ জন বিচারপতির সম্পত্তির বিশদও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ২১ জন বিচারপতির স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির যাবতীয় হিসাব ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বাড়ি, জমি থেকে শুরু করে স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট)-সহ ব্যাংকে কত টাকা রয়েছে, কত টাকার বিমা রয়েছে, শেয়ার বাজার কিংবা মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ রয়েছে কি না— এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, সোনা-রুপোর গহনা, গাড়ি বা অন্য কোনও মূল্যবান সম্পত্তির তথ্য, এমনকি পারিবারিক সম্পত্তির তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা সম্পত্তির বিবরণ অনুসারে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে একটি মারুতি সুইফট গাড়ি। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা, পিপিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। জিপিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ কোটি ৭৭ লক্ষের কিছু বেশি টাকা, শেয়ার বাজারে রয়েছে ১৪ হাজার টাকা, সোনা রয়েছে ২৫০ গ্রাম, রুপো ২ কেজি। তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে ৭০০ গ্রাম সোনা ও ৫ কেজি রুপো।
প্রধান বিচারপতি খন্নার পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন বিআর গাভাই। তারও সম্পত্তির হিসাব সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি গাভাই-এর মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে সেটি পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া মুম্বইয়ের বান্দ্রায় এবং নয়াদিল্লিতেও তার ফ্ল্যাট রয়েছে। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী এবং নাগপুর মিলিয়ে তিনটি চাষের জমিও রয়েছে তার।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বিচারপতি গাভাই-এরবিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ১৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৮৪ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া কিছু নগদ অর্থও রয়েছে। তার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৯২ টাকা এবং জিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৩৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৩৬ টাকা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত শর্মার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দেশের বিচার ব্যবস্থাকে। তীব্র বিতর্কের জেরে গত ১ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের সব বিচারপতিদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এখন থেকে প্রকাশ্যে আনা হবে বিচারপতিদের সম্পত্তির হিসাব। এই সিদ্ধান্তের এক মাস কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে আনা হলো দেশের প্রধান বিচারপতি-সহ শীর্ষ আদালতের ২১ জন বিচারপতির সম্পত্তির হিসাব।
সূত্র :হিন্দুস্থান টাইমস