সেই নিখোঁজ চলচ্চিত্র পরিচালকের মৃত্যু হয়েছে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থলে

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন গুজরাটি চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ জিরাওয়ালা। সেদিন থেকেই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সেই ফোনের  শেষ অবস্থান ছিল দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে । এ কারণে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।  মহেশের পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অবশেষে অজ্ঞাতনামা এক মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষায় তাঁর পরিবারের নমুনা ম্যাচ করার  পর মহেশ জিরাওয়ালার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরীক্ষায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলেও শুরুতে পরিবার মরদেহ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। শেষ পর্যন্ত তারা আশা করেছিল, হয়তো তিনি বেঁচে আছেন। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে মহেশ জিরাওয়ালার পোড়া অবস্থার একটি অ্যাকটিভা স্কুটার উদ্ধার হয়, যা ইঙ্গিত দিয়েছে যে বিধ্বস্ত বিমানটির আঘাতেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পরে স্কুটারের চেসিস নম্বর এবং ডিএনএ রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করলে পরিবার ভেঙে পড়ে এবং মৃত্যুর বাস্তবতা মেনে নেয়।
আহমেদাবাদের নারোদার বাসিন্দা মহেশ জিরাওয়ালা গুজরাটি মিউজিক ভিডিও এবং এইডস সচেতনতাবিষয়ক প্রকল্প পরিচালনার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি মহেশ জিরাওয়ালা প্রোডাকশনসের প্রধান নির্বাহী ছিলেন এবং ২০১৯ সালে একটি গুজরাটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন। স্ত্রী  এবং তাঁদের এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রেখে গেছেন তিনি।

ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩১ জনের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ২১০টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।