পেহেলগামের হামলার কথা উল্লেখ নেই, এসসিও’র যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরে ভারতের অস্বীকৃতি

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে ভারত পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের কথা উল্লেখ করে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে উদ্বেগ উত্থাপন করার পরেও সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে সেটি উল্লেখ না থাকায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সেটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পেহেলগামে হত্যার বিষয়ে বাদ দিলেও, নথিতে বেলুচিস্তানের উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতকে সেখানে নীরবে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।  

সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নথিতে ভারতের নাম উল্লেখ করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসী হামলাসহ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কোনও স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি না থাকার কারণে ভারতের এই অস্বীকৃতি এসেছে।

ভারতের এই অস্বীকৃতির ফলে এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক থেকে কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই তা শেষ হয়েছে। এই বৈঠকটি ২৫ থেকে ২৬ জুন চীনের কিংডাওতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভারত, চীন, রাশিয়া এবং অন্যান্য মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে রাজনাথ সিং এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি কমাতে এসসিও সদস্যদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার ক্ষেত্রে ‘কোনও দ্বিমুখী মানদণ্ড’ থাকতে পারে না।’’

তিনি মনে করেন, ‘আমাদের অঞ্চলে আমরা যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি তা হল শান্তি, নিরাপত্তা এবং আস্থার ঘাটতি। এই সমস্যার মূল কারণ হল ক্রমবর্ধমান মৌলবাদ, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ।’

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে রাজনাথ সিং ভারতের উদ্বেগ এবং লস্কর-ই-তৈয়বা এবং তার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-এর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষায় আমাদের অধিকার রয়েছে। আমরা দেখিয়েছি যে, সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল আর নিরাপদ নয় এবং আমরা তাদের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু করতে দ্বিধা করিনি।’