ভারত
পুশব্যাকের আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে যেতে চাইছেন না
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(৫ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪২ অপরাহ্ন

ফাইল ছবি
পুশব্যাক করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছেন তাদের মুখে শোনা গেছে আটক করার পরের বর্ণনা। ফলে পুশব্যাকের আতঙ্কে তারা অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রবল আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা এবং তাদের পরিবার।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, আসামের মতো রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে যেকোনো বাংলাভাষীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিপত্র দেখানো সত্ত্বেও সেই সব নথিপত্র বিচার না করেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। অনেক সময় চোখ বেঁধে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল জানান, আমাদের গরুর পালের মতো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লাঠি হাতে বিএসএফ জওয়ানরা আমাদের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নিয়ে যায় এবং ফিরে না আসতে বলে। এমনকি ফিরে আসার চেষ্টা করলে গুলি করারও হুমকি দেয়। অগত্যা আমরা বাংলাদেশের দিকে দৌড়ে যাই। তখন পুরোপুরি অন্ধকার ছিল। নাজিমুদ্দিনকে অন্য অনেকের সঙ্গে ১৪ জুন ভোর রাতে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছিল। মহারাষ্ট্রে এক রাতে তাকে আরও কিছু সন্দেহভাজন বাংলাদেশির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার হস্তক্ষেপ করে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করার পর নাজিমুদ্দিন এবং আরও ছয়জনকে ফিরিয়ে আনে।
মুর্শিদাবাদের ভারতপুরের মেহবুব শেখ, বেলডাঙ্গার মিনারুল শেখ, হরিহরপাড়ার শামীম খান, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মোস্তফা কামাল শেখ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ফজের মন্ডল এবং তার স্ত্রী তসলিমাকে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন।
বাগদার হরিহরপাড়ার বাসিন্দা তাজেদুল মন্ডল পুত্র ও পুত্রবধূ ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন। তিনি বলেন, পুত্রকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতে মানা করেছি। ওরা স্বামী-স্ত্রী গত কয়েকদিনের নিদারুণ অভিজ্ঞতা কিছুতেই ভুলতে পারছে না। বাংলাদেশ থেকে ফেরানো যাবে কিনা তা নিয়ে আমরা রীতিমত দুশ্চিন্তায় ছিলাম।
ফজেরও জানিয়েছেন, সংসারের অভাবের জন্যই অন্য রাজ্যে কাজে যেতে হয়েছিল। প্রথমে কর্ণাটকে ছিলাম। পরে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। যে নির্মম অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে অন্যত্র কাজে যাব কিনা তা ভাবছি।
পাঠকের মতামত
EMON TA SUDHU DHON KATA BANGLADESHI MUSLIM DER SATHE HOCHCHE .