ট্রাম্প-মুনির মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে মোদিকে খোঁচা কংগ্রেসের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে।  যাকে ভারতীয় কূটনীতিতে বিরাট  ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে  কংগ্রেস। কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে তারা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান নন। তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান, তবুও ট্রাম্প তাকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান এবং প্রচুর প্রশংসাও  করেন ।

রমেশ এক্সে  একটি পোস্টে লিখেছেন, এই সেই ব্যক্তি যার উসকানিমূলক মন্তব্যের পরে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছিল পাক সেনা।

এর পরেই মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এই ঘটনা ভারতের বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা।  ট্রাম্প  সম্প্রতি বলেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের দুই ‘খুব বুদ্ধিমান’ নেতা এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারতো।  কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো, তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শত্রুতা বন্ধ করার জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করেননি। বুধবার হোয়াইট হাউসে মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানোর পর ওভাল অফিসে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প আরও বলেন যে, মুনিরের সাথে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি তাকে ( আসিম মুনির )  যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এবং আমি  প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।  আমরা ভারতের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে কাজ করছি। পাকিস্তানের সাথেও  একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। 

ভারত শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের নিজস্ব। এতে কোনও বাণিজ্য চুক্তি বা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু ট্রাম্প এতদিন জোরালো কণ্ঠে দাবি করে আসছেন দুই দেশের সংঘাত বন্ধের নেপথ্যে তিনিই রয়েছেন। ট্রাম্প আরও বলেন যে তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাথে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস