ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

ভারতে নামা বৃটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে গোপনীয়তা, হ্যাঙ্গারে নিতে রয়্যাল নেভির অস্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা

(৫ দিন আগে) ২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:০৪ অপরাহ্ন

mzamin

ভারতের কেরালার তিরুবন্তপুরম বিমানবন্দরে শনিবার রাতে আচমকাই বৃটিশ এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণের পর ছয় দিন ধরে সেটি রানওয়ের ধারে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতীয কর্তৃপক্ষের অনুরোধ সত্ত্বেও অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমানটিকে হ্যাঙ্গারে সরিয়ে নিতে রাজি হয়নি বৃটিশ রয়্যাল নেভির কর্মকর্তারা। এর আগে বিমানের পাইলট বিমান ছেড়ে কোথাও যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বৃটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে গোপনীয়তার মনোভাবের জোর চর্চা চলছে। মঙ্গলবার একদল বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ নৌবহর থেকে উড়ে এলেও এদিন পর্যন্ত ত্রুটি সারিয়ে বিমানটিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে কেরলে বর্ষা চলায় ত্রুটি সারানোর কাজ করতে প্রযুক্তিবিদদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্থায়ী সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে রিপেয়ার কাজের প্রস্তাব দেয়া হলে সেটিও প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের পঞ্চম প্রজন্মের এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত যুদ্ধ বিমানটিতে বড় ধরনের ত্রুটি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সমাজমাধ্যমেও জোর আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, জ্বালানি কম থাকায় বিমানটি তিরুবন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনা বিবৃতি জারি করে বলেছে, রয়্যাল নেভির এরটি এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান তিরুবনন্তপুরমে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় গত ১৪ জুন।

এই যুদ্ধবিমানটি বৃটিশ এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এইএচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস থেকে উড়েছিল। তবে এটি উড়ানের সময় জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হয়। আরও বলা হয়, এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি জরুরি অবস্থায় পড়ার কারণে নির্দিষ্ট পথ থেকে সরে যায়। ভারতীয় বায়ুসেনার আইএসিসিএস নেটওয়ার্কে বিমানটি ধরা পড়ে এবং জরুরি অবতরণের জন্য যুদ্ধবিমানটিকে নামার অনুমতি দেয়া হয়।

যুদ্ধবিমানটিকে ত্রুটি ঠিক করতে ভারতীয় বায়ুসেনা সাহায্য করছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিমানটি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে রহস্যজনক মনোভাব প্রবল কৌতুহল তৈরি করেছে। তবে যখন ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে এসকর্ট করতে আসেন, তখন পাইলট বিমানটি ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। বরং একটি চেয়ারের অনুরোধ করেন। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি বিমানটির পাশে চেয়ারে বসেছিলেন। পরে অবশ্য রয়্যাল নেভির একটি হেলিকপ্টার আসার পর পাইলট প্রয়োজনীয় কাজ সারতে টার্মিনালে যান। 

পাইলটের এই আচরণের পর নানা আলোচনা চলছে। অনেকের মতে, লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি আধুনিক প্রজন্মের এই যুদ্ধ বিমান নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এর মধ্যেকার আধুনিক প্রযুক্তিই এটিকে দুর্ধর্ষ যুদ্ধবিমানের তালিকায় রেখেছে।

পাঠকের মতামত

এটি মূলত ইরানের উপর হামলায় ইজরায়েলের সহযোগী ছিল। তারপর ইরানের মিসাইল তাড়া খেয়ে পথ হারিয়ে ইনডিয়ায় অবতরণ করে।

সোহাগ
২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ১:১৯ অপরাহ্ন

পাইলট ভাই, ওদের ম্যালা গরু আছে - দড়ি বাইন্দা; গরু দিয়া টানায় দ্যাশে লই যাও - প্রযুক্তিও বাঁচলো, দ্যাশেও নেওয়া হইলো

জনতার আদালত
২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে হামলা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব/ দিল্লি অধিকার প্রয়োগ করেছে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status