ভারত
ইডির ক্ষমতায় রাশ টানলো ভারতের শীর্ষ আদালত
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৬ অপরাহ্ন

‘আদালতের সম্মতি ছাড়া অর্থ নয়ছয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না। 'স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার গোটা আপ দলটাকেই ওই মামলায় যুক্ত করতে চলেছে ইডি। একরম এক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল ভারতের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট একটি যুগান্তকারী রায়ে বলেছে যে, বিশেষ আদালত বিবেচনা করার পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এবং ইডির আধিকারিকরা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৯ ধারার অধীনে অর্থ পাচারের অভিযোগে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না। ইডি যদি এই ধরণের অভিযুক্তের হেফাজত চায়, তাহলে বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী জামিন চেয়ে জামিনের শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন নেই।
আদালত জানিয়েছে, এই আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এক্ষেত্রে বিচারককে ধরে নিতে হয় অভিযুক্ত এই অপরাধ করেননি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ তিনি করবেন না। যা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। জনৈক তারসেম লাল বনাম ইডি মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ— ‘‘পিএমএলএ বা বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আলাদাভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ সরকারি আইনজীবী যদি সন্তুষ্ট হন যে, অভিযুক্ত দোষী না-ও হতে পারেন এবং মুক্তি পেলে অনুরূপ অপরাধ করার সম্ভাবনা নেই, কেবলমাত্র তখনই জামিন দেওয়া যেতে পারে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের জেরে গুরুত্বহীন হয়ে গেল ইডির সেই অতিরিক্ত ক্ষমতা।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস