ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

ভারত

দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি ইরানে

'ট্রাম্প-নেতানিয়াহু ঈশ্বরের শত্রু'

মানবজমিন ডিজিটাল

(১০ ঘন্টা আগে) ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:১২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:০৬ অপরাহ্ন

mzamin

ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘ঈশ্বরের শত্রু’ বলে উল্লেখ করে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন। নিউ ইয়র্ক সান এর খবর অনুসারে ইরানের অন্যতম শীর্ষ ধর্মগুরু আয়াতোল্লা নাসের মাকারেম শিরাজি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং নেতানিয়াহুকে ‘মোহারেব’ অর্থাৎ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল তবুও ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলা সফল হয়েছে। তিনি এখনও ফতোয়া জারির বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। 

ইরানের আইন অনুযায়ী মোহারেব হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড, ক্রুশবিদ্ধকরণ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছেদ অথবা নির্বাসনের সম্মুখীন হতে হয়। মাকারেম বলেন, ‘যারা ইসলামী উম্মাহর নেতৃত্ব এবং অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ, তাদেরকে যুদ্ধবাজ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’

বৃটিশ-ইরানি ভাষ্যকার নিয়াক ঘোরবানি এই ফতোয়ার নিন্দা করেছেন এবং এটিকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের প্রতি রাষ্ট্র-সমর্থিত উস্কানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। 

১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়, এতে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং কমান্ডার নিহত হন বলে জানা গেছে। প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরাইলি শহরগুলোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এক সপ্তাহ পরেই আমেরিকা এই সংঘাতে যোগ দেয়। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য  ইউরেনিয়াম মজুত করলে যুক্তরাষ্ট্র কড়া পদক্ষেপ নেবে।

ইরানের ধর্মগুরুদের ফতোয়া জারির  ঘটনা এটিই প্রথম নয়। সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা ছিল ১৯৮৯ সালে লেখক সালমান রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাস প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে জারি করা ডিক্রি, যে বইটিকে অনেক মুসলিম আপত্তিকর বলে মনে করেছিলেন

এই ফতোয়ার ফলে রুশদি আত্মগোপনে চলে যান, একজন জাপানি অনুবাদককে হত্যা করা হয় এবং বইয়ের প্রকাশকদের উপর একাধিক আক্রমণ চালানো হয়। রুশদি তখন থেকে একাধিক হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান।  যার মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্কের উত্তরাঞ্চলে ছুরিকাঘাতের ঘটনা। সেই আক্রমণে রুশদি তাঁর একটি চোখ হারিয়েছিলেন।

সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট

পাঠকের মতামত

ভন্ড যুক্ত রাজ্যের ভন্ডামি দেখলে শয়তানও লজ্জ্বা পায় । শিশু হত্যাকারী নেতানিয়াহু এবং তার মদদ দাতা ট্রাম্প সন্ত্রাসী নয় সন্ত্রাসী হল তারা যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলে । ইরান একটা আক্রান্ত দেশ বিনা উস্কানিতে সে দেশে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইস্রাইল এবং আমেরিকা হামলা করল অথচ ইরান নাকি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ?

zakiul Islam
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:৩২ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে হামলা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব/ দিল্লি অধিকার প্রয়োগ করেছে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status