কলকাতা কথকতা
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার এড়াতে পারবে না: খেলাফত মজলিস
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:০২ অপরাহ্ন
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের দায় ভারতের পাশাপাশি অনির্বাচিত বাংলাদেশের এই সরকারও এড়াতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে খেলাফত মজলিস। বুধবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাসিক নির্বাহী বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতারা এ কথা বলেছেন।
বৈঠকে বলা হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বিনা উস্কানিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে ধরে হত্যা ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। তারা গত দু’ মাসে একজন বিজিবি সদস্যসহ আরও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে। গত দু’দিন আগে ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্তে ২৩জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে এখনো পর্যন্ত আটক করে রেখেছে। ভারতের সঙ্গে চীন, পাকিস্তানসহ অনেকগুলো দেশের সীমান্ত থাকলেও সেখানে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায়। অথচ গত ১০ বছরে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত শত শত বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। যেন তারা বাংলাদেশিদের উপর বিতর্কিত শ্যুট অন সাইট (দেখামাত্র গুলি) নীতি অবলম্বন করছে।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দরা বলেন, হত্যাকাণ্ডগুলোর সুষ্ঠু বিচার না হওয়াতে বিএসএফ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমন বর্বরতা কোন সভ্য দেশ তার প্রতিবেশীর সঙ্গে করতে পারে না। এই অনির্বাচিত ডামি সরকারের দুর্বলতার সুযোগে ভারত বাংলাদেশের উপর অন্যায়ভাবে চড়াও হয়েছে। সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের দায় ভারতের পাশাপাশি অনির্বাচিত এই সরকারও এড়াতে পারবে না।
বৈঠকে আরও বলা হয়, গত ৩দিন আগে সীমান্তবর্তী বান্দরবন জেলায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের আঘাতে ১ বাংলাদেশি নারী ও ১ রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত এবং অসংখ্য বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এর কার্যকর প্রতিবাদ জানানো হয়নি। জনগণের নিরাপত্তায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এখনো সেনা মোতায়েন হয়নি। আমরা এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভারত ও মিয়ানমারকে অবিলম্বে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ করতে হবে। আমর তাদেরকে বাংলাদেশের উপর আধিপত্যবাদী আচরণ পরিহার করে প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বসুলভ আচরণের আহ্বান জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, হাজী নুর হোসেন, কাজী ফিরোজ আহমদ, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।