কলকাতা কথকতা
বিরাট কোহলির জীবন দর্শন এতোটা বদলে গেল কীভাবে?
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ৮ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৪ অপরাহ্ন

পাঁচ বছর আগেও বিরাট কোহলি ছিলেন এক খিটখিটে মেজাজের যুবক। যিনি সতীর্থদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করতেন। মুখে অশ্রাব্য ভাষার ফুলঝুরি ফুটতো। লেট নাইট পার্টি করাটা ছিল তার দৈনন্দিন রুটিন। গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসানো এক যুবক বলেই তিনি পরিগণিত হতেন। বিরাটের সেই সময়ের এক সতীর্থ শিখর ধাওয়ান বলেছেন, রঙদার এক জীবনে জড়িয়েছিলেন বিরাট। একদিকে ক্রিকেটে সাফল্য, অন্যদিকে বেপথু জীবন- এই দুইয়ের সংমিশ্রণ ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু, আজ পাঁচ বছর পরে বিরাট এক অন্য মানুষ। শান্ত – সমাহিত। বেপথু জীবন তিনি আর যাপন করেন না। লেট নাইট পার্টিতে আর দেখা যায় না বিরাটকে। এ যেন এক অন্য বিরাট কোহলি। মুখে গালিগালাজ নেই। অশ্রাব্য কথার তুবড়ি আজ আর ফোটে না। সতীর্থদের সঙ্গে শান্ত-শোভন ব্যবহার। সেই উগ্রতা উধাও। আমিষ ছেড়ে নিরামিষে মন দিয়েছেন বিরাট। স্বভাবেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন। কলকাতার ইডেনে দর্শকরা তার পরিচয় কিছুটা পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে সেই উদগ্র, আগ্রাসী মানসিকতা নেই। শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ছুঁয়েও অচঞ্চল বিরাট কোহলি। এই ট্রান্সফরমেশনের পিছনে কি অনুষ্কা শর্মা? নাকি কন্যা ভামিকা? তিন বছর বয়েসেই যে বিরাটের চোখের মনি? বিরাট অস্বীকার করছেন না এদের ভূমিকার কথা। তার সঙ্গে বলছেন নিজের অধ্যাত্য দর্শনের কথা। সময় পেলেই ঋষিকেশ বা বৃন্দাবনে চলে যান বিরাট। ঋষিকেশে আছেন স্বামী দয়ানন্দ গিরি। বিরাট তার সংস্পর্শে এসে নিজেকে আমূল বদলেছেন। বৃন্দাবনে আছেন নিমকরলি বাবা। যিনি বিরাটকে বুঝিয়েছেন, অর্থ-খ্যাতি এক মোহ। যা শান্তি দিতে পারে না। মনের শান্তি দিতে পারে ধ্যান। জানেন কি বিরাট কোহলি প্রতিদিন একঘন্টা করে ধ্যান করেন? বিরাট কোহলি তার জীবনে দয়ানন্দ গিরি এবং নিমকরলি বাবার প্রভাবের কথা নিজ মুখে বলেছেন। জানিয়েছেন এরা তার জীবনদর্শন পাল্টে দিয়েছেন। বিরাট কোহলি আর লেট নাইট পার্টি করেন না, মুখে তাঁর আর অশ্রাব্য ভাষণ শোনা যায়না, সতীর্থদের সঙ্গে তার ব্যবহার আদর্শ হতে পারে, খাবারের ডিশে আর মুরগি মাটনের বন্যা বয়ে যায় না। অধ্যাতিকতার জগতে বিচরণ করেন বিরাট। জানিয়েছেন, আসল সুখের সন্ধান তিনি পেয়েছেন।