আমিরের ১৯৭টি একাউন্ট, হদিস মিললো আরও ৪৮ কোটি টাকার

শুধু ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকাই নয়, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে অনুসন্ধান চালিয়ে ইডি অন্তত ১৯৭টি একাউন্টের হদিস পেয়েছে যেগুলির মাধ্যমে গেমিং অ্যাপ-এর টাকা লেনদেন হতো। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি মিউল একাউন্ট। অন্তত পাঁচটি একাউন্টের হদিস মিলেছে যাতে মোট ৪৮ কোটি টাকা আছে। ইডি অনুমান করছে গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে মোট ৬৫-৭০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। লাকি সিটি ও ক্যাসিনো নামের আরও দুটি গেমিং অ্যাপ-এর সন্ধান পাওয়া গেছে- এই দুটিও আমির খান চালাতো। আমির-এর খোঁজ অবশ্য এখনও পায়নি ইডি কিংবা পুলিশ। তার গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের সময় থেকে সে পলাতক। রোববার রাতে তার এক সম্পর্কিত ভাই আসিফ খানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও আমিরের সন্ধান মেলেনি। গেমিং অ্যাপগুলিতে যে ওয়ালেট থাকতো তার দ্বারা দিনে এক একজনকে তিন চার হাজার টাকাও পেমেন্ট করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা হতো।

তারপর মোটা টাকা লগ্নি হতেই আপডেশন হচ্ছে বলে গেমিং অ্যাপ বন্ধ করে দেয়া হতো। সংগৃহীত টাকা সাদা করার জন্যে আমির খানের বাবা নিসার খানের সার্কুলার গার্ডেনরিচের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাকে কাজে লাগানো  হতো বলে খবর। আজ ইডি আধিকারিকরা ব্যাংক একাউন্ট পরীক্ষা করে দেখবেন সর্বনাশের বীজটা কতদূর ছড়িয়েছিল।