অনলাইন
বাগেরহাটে অপহৃত তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার
বাগেরহাট প্রতিনিধি
(১৭ ঘন্টা আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৭ অপরাহ্ন
.webp)
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার দিবাগত রাতে মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এমদাদ হোসেনের দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে জিম্মি ৩ শ্রীলঙ্কার নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা শ্রীলঙ্কান নাগরিকরা হলেন, মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা ও থুপ্পি মুদিইয়ানসেল্যাগ নীল। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারীরা হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের সেরাত কাজীর ছেলে কাজী এমদাদ হোসেন (৫২), একই এলাকার সবুর শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (২৪), চরকুড়িয়া এলাকার এস এম শাহাবুদ্দিনের ছেলে শামসুল আলম (৪৫) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের জাকির শেখের ছেলে জনি শেখ (৩৮)।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অপহৃতদের সঙ্গে অপহরকারী চক্রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসার কথা বলে উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের শহিদুল শেখ তাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানায়। ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শ্রীলঙ্কান নাগরিকরা ২২শে এপ্রিল ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পৌঁছালে শহিদুল তাদের রাতে ঢাকার একটি হোটেলে রেখে পরদিন একটি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামে আটজুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এমদাদ হোসেনের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর এই চক্রটি তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণের দাবিতে শ্রীলঙ্কায় তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের পরিবার বিষয়টি সে দেশের সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনকে জানায়।
হাইকমিশন বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বুধবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে শুরু হয় তোলপাড়। পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এরপর শ্রীলঙ্কায় মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করা মোবাইল ফোন নম্বরটি ট্রাকিং করে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বে¡ কাজী এমদাদ হোসেনের গ্রামের বাড়িতে আটকে রাখা শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
পাঠকের মতামত
How will Bangladesh say that this country is safe for foreigners? Only a few are exceptional but most of our people are greedy, dishonest and thieves.
শ্রীলংকান এই নাগরিকদের যথাযথ সন্মান ও রাষ্ট্রিয় অতিথীর মর্যাদায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তাদের পরিবারের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা হোক।
Thanks for the news.