অনলাইন
বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মতবিরোধ উত্তেজনা বাড়াতে পারে
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ ঘন্টা আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নির্বাচন। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্পষ্ট অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে মতবিরোধ ভবিষ্যতে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। আর এসব কারণে অর্থনীতি ব্যাহত হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিলেও পুলিশ বাহিনী পুরোপুরি কার্যকর না হলে নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। আছে নীতির ধারাবাহিকতার অনিশ্চয়তা। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন ২০২৫-এ এসব কথা বলা হয়েছে।
দেশে আর্থিক খাত যেভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে, তাতে জরুরি ভিত্তিতে এই খাতের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা দরকার। এ জন্য নীতি প্রণেতাদের কার্যকর সমাধান পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা বলেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক মনে করছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যনীতির প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন একটা পড়বে না। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এর পূর্ণাঙ্গ প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনুভূত হবে। সংস্থাটি বলেছে, প্রভাব ঠিক কতটা পড়বে, তা এখনই সুনির্দিষ্ট হয়ে বলা সম্ভব নয়। কারণ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতি ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। সেই অনিশ্চয়তা মাথায় রেখেও তাদের হিসাব, বৈশ্বিক এই বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি ও প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১ দশমিক ৭ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট হারে কমবে।
সংস্থাটি বলছে, পুলিশ বাহিনী পুরোপুরি কার্যকর না হলে নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। ট্রাম্পের এই বাণিজ্যনীতির প্রভাব চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। আর্থিক খাতের সংস্কার, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বব্যাংক মনে করে, জিডিপি’র অনুপাতে বিদেশি ঋণ বাড়বে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এ দেশীয় প্রধান গেইল মার্টিন বলেন, ‘আর্থিক খাতের সংস্কার, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে।’