অনলাইন
‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি
‘নিয়তির সন্তান’
(৫ ঘন্টা আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ২:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৫ অপরাহ্ন

বৃটিশ সাপ্তাহিকী ‘দ্য উইক’ নিউজ ম্যাগাজিন চলতি সংখ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি করেছে। যার শিরোনাম ‘ডেসটিনি'স চাইল্ড’ বা নিয়তির সন্তান। দ্য উইক ম্যাগাজিনের নয়াদিল্লি ব্যুরো চিফ নম্রতা বিজি আহুজা’র লেখা ওই শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারকর্তৃক বিএনপি ভাঙার চেষ্টার বিপরীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৫৭ বছর বয়সী তারেক এখন তার মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন, কারণ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘দ্য উইক’-এর চলতি সংখ্যার কাভার স্টোরি ‘ডেসটিনি'স চাইল্ড’-এর বাংলা অনুবাদ পাঠকের উদ্দেশ্যে নিচে তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেক রহমানকে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে তারেক রহমানের জন্য। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। সমর্থকদের কাছে ‘তারেক জিয়া’ নামে পরিচিত। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র। মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা জেনারেল জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হওয়ার পর খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের পতনের দিকে নিয়ে যায়।

৫৭ বছর বয়সী তারেক এখন তার মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন, কারণ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে দেয়ার পর বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ঢাকায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
তারেক রহমানের জন্য, যিনি ভার্চুয়ালি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন, ঢাকায় নামার পর তার জীবনে পূর্ণ চক্র সম্পূর্ণ হবে। খালেদা জিয়া আশা করছেন, তারেকই আসন্ন নির্বাচনে দলের মুখ হিসেবে আবির্ভূত হবেন।

“তারেক ইতিমধ্যে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করেছেন,” বলেন তার উপদেষ্টা মাহদী আমিন। “চাকরি, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষক, শ্রমিক বা শ্রমজীবী যেই হোক না কেন, আমরা তাদের সমান সুযোগ, ন্যায্য মজুরি এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিতে চাই,” বলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং তারেকের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার। “আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি গড়ে তুলতে তারেকের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে চাই।”

সব নজর এখন থাকবে এ দিকে যে, কতটা দক্ষতার সাথে তারেক বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে সক্ষম হবেন যখন তিনি ঢাকায় নামবেন। “তিনি নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, এবং সামরিক-প্রশাসনিক কর্তৃত্ব তার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়েছিল যে তিনি ভবিষ্যতে আর রাজনীতিতে জড়াবেন না। এটি ছিল তার রাজনৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন,” বলেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী।
১৬ বছরের নির্বাসনকালে তারেক ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন হন (তিনি তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারান) এবং বহু আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তবুও, তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী থেকে যান এবং দলকে একত্রিত রাখেন। “আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দল ভাঙার চেষ্টার বিপরীতে তারেক এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন” বলেন আসিফ আলী।

২০০৯ সালে দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার মায়ের কারাবরণের পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। “তারেক বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে,” বলেন আলী।

তারেক ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু পরে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না, যদিও বিএনপি সরকার গঠন করে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় সক্রিয় হন এবং বিএনপি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এই সময়ে তিনি দলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব অর্জন করেন। তবে, মায়ের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ এবং সরকারে কোনো আনুষ্ঠানিক পদে না থেকেও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৭ সালে, ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং তারেক তার মায়ের সঙ্গে বন্দী হন। দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকালে, অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। তারেক ২০০৮ সালের নির্বাচন পূর্বে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য প্যারোলে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পান।

বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেকের জন্য একটি সুযোগ, যাতে তিনি তার পূর্বসূরিদের ধারা ভেঙে নিজস্ব একটি উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারেন। প্রশ্ন হলো, তিনি কেমন নেতা হবেন?
(ভাষান্তর: কাউসার মুমিন, যুক্তরাষ্ট্র)
পাঠকের মতামত
Vety good.
আলহামদুলিল্লাহ। চরম চাটুকার, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ নেতা এবং আমলাদের প্রভাব থেকে বের হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ ২য় জিয়াউর রহমান পাবে বলে মনে করি।
Hope for the best.
আগামী দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চৌকস নেতৃত্বেই জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটি জবাবদিহি মূলক এবং জীবনের প্রত্যাশিত সুশাসন ভিত্তিক সরকার পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর উন্নত শিখরে নিয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস করি।
তারেক জিয়ার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণিত। তিনি বিদেশে থাকা অবস্থায় দেশে থাকা মীর্জা ফখরুল সহ কয়েকজন নেতার নিরলস পরিশ্রম ও সহযোগিতায়, অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। এখন তারেক জিয়া ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি কি তাঁর পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন? জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর নদীর তীরে, খালের পাড়ে, পুকুর পাড়ে ও ক্ষেতের আইলে বসে, কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী ও জনগণের সাথে দিনের পর দিন বাস্তব 'পাঠচক্র' করতেন। তারেক কি তাঁর বাবার মতো প্রস্তুত?
জনাব তারেক রহমানের সবচাইতে বড় সাফল্য উনি বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পেরেছেন। শেখ হাসিনার শত শত কোটি টাকার বাজেটেও দলকে ভাঙতে পারেনি।
শ্রদ্ধেয় তারেক জিয়া সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট দক্ষতার ছাপ রেখেছেন বিগত সময়ে। আ. লীগ শত চেষ্টা করেও বি এন পিকে ভাংতে পারে নি। তবে রাষ্ট্র পরিচালনা দল পরিচালনার চেয়ে অনেক কঠিন। এখানে মেধা, বিচক্ষণতা, দুরদৃষ্টি এবং আবেগহীনতার প্রয়োজন। উনাকে যতদুর দেখেছি, উনি অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা দেশবাসী তার উপরে আস্থা রাখতে চাই। উনি যেনো বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা হয়ে আমাদের মাঝে বিচরণ করেন। তবে হ্যা! সর্বক্ষেত্রে যোগ্য ব্যাক্তি নির্বাচনে তাকে অধিক মনোযোগী হতে হবে।
সত্যিই নিয়তির সন্তান। শয়তান, স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের সাথে সাথেই খোমেনির মতো দেশে ফেরত না আসায় সড়যন্ত্রকারীরা সর্ব ক্ষেত্রে BNP কে পেছনে ফেলে দিচ্ছে।
এমন খবর ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে নিয়েও বিভিন্ন ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে ছাপা হয়েছে সবার জানা আছে জনগণ এখন সবকিছু বুঝে এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে।
আমরা তার অপেক্ষায় আছি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জিয়া পরিবার জিন্দাবাদ ।
জনাব তারেক রহমানের জন্য শুভ কামনা।আশাকরি নিকট ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন।
আমরা বাংলাদেশের জনগণ আশাবাদী তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণতন্ত্র কোনো প্রতিষ্ঠা হবে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে
জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার রক্ত বহমান তারেক রহমানে। এই জন্যই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের কাছে তারেক রহমান ই আগামীর বাংলাদেশ।
অনেক শুভকামনা রইলো জনাব তারেক রহমানের জন্য, তার সামনে নায়ক হবার সুবর্ণ সুযোগ তিনি চামচ বেষ্টনিতে আবদ্ধ না হয় সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারলে ভবিষৎ ভালো হবে.
নিঃসন্দেহে তিনি একজন যোগ্য ও দক্ষ নেতা হবেন। তিনি একজন পরিপক্ব মেধাবী রাজনীতিবিদ। তরুণ প্রজন্মের আইকন।
অনেক শুভকামনা রইলো জনাব তারেক রহমানের জন্য
তার সামনে নায়ক হবার সুবর্ণ সুযোগ তিনি চামচ বেষ্টনিতে আবদ্ধ না হয় সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারলে ভবিষৎ ভালো হবে.