অনলাইন
স্থায়ী কমিটির বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয় সিদ্ধান্তে একমত বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ ঘন্টা আগে) ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১০ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ব্যক্তি দশ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করার বিষয়ে একমত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ওদিকে সংস্কারের আরেক মৌলিক বিষয় সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের সঙ্গে দলটি একমত নয়। এটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
মঙ্গলবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গত কয়েকদিনের আলোচনার বিষয়ে রিপোর্ট বৈঠকে তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর (দুই পূর্ণ মেয়াদ) প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। ওদিকে নারীদের জন্য ১০০ আসন এবং সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা ১০০ জনের বিষয়ে বিএনপি ইতিমধ্যে একমত পোষণ করেছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘জ্যেষ্ঠতম দুই জনের’ মধ্যে যেকোনো একজনকে নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়েছে দলটি।
পাঠকের মতামত
নারী আসন নিয়ে এতো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন পদে নারীর অবস্থান নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। নারীদের অলঙ্কার বানাতেই সবাই ব্যস্ত। রাজনৈতিক দলের প্রতিটি পদের তিনটির মধ্যে একটি নারীর জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রেসিডিয়াম, ষ্ট্যান্ডিঙ কমিটি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এর প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী হতে হবে। তাহলেই নারীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে এবং তখনই নারীরা সরাসরি নির্বাচনে আসতে সাহসী হবে।
এতোক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। পানি ঘোলা করে খাওয়ার কি দরকার ছিল। বাংলাদেশের আমজনতা সব সময় চাচ্ছে বিএনপি এই সরকারকে সকল প্রকার সহযোগিতা করুক জাতীয় স্বার্থে। প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে পারলে দেশ আরো উপকৃত হতে পারতো এবং চুপ্পুর মত লোকের নিকট সরকারের সপথ নিতে হতো না। যাইহোক দেরিতে হলেও উপলব্ধি হওয়াতে দেশ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ।
নারীদের কোন সংরক্ষিত আসন থাকা উচিত নয়।তারা সরাসরি ভোটে প্রতিযোগিতা করে আসতে পারে।এখন নারীরা আর পিছিয়ে নেই।সর্বত্র নারী কোটা বিলুপ্তির আবেদন রাখছি।নারীরা সংরক্ষিত কোটায় কোন কাজ নেই।নারী আসন ১০০ হলে পুরুষ সাংসদেরা সংসদ ভবনে হাটার জায়গা পাবে না।
বেগম জিয়া ইতিমধ্যেই ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কি তাহলে আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ?
বিএনপি বদলে গেলে দেশও বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।