অনলাইন
Update
পর্দার আড়ালে ঘটে যাওয়া আরও কিছু নতুন খবর
শান্তনা রহমান
(১০ ঘন্টা আগে) ২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

শেষ পর্যন্ত কি তাহলে বরফ গলতে শুরু করেছে? ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। যদিও শনিবার সকালে বিএনপির সঙ্গে প্রস্তাবিত বিকালের বৈঠকটি এক অজ্ঞাত কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। পরে বিরামহীন প্রচেষ্টার পর বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কালোমেঘ কেটে যায়। তখন বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে অবস্থানরত একজন বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। পাল্টা যুক্তি ছিল, ওই নেতা বিএনপি বা তারেক রহমানকে প্রতিনিধিত্ব করেন না। আজ দিনের শেষে বৈঠক দুটি হওয়ার কথা রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনসিপি'র সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচিত এসব বৈঠকের পরেই প্রফেসর ইউনূস তার ভবিষ্যৎ নীতিকৌশল ঠিক করবেন এমনটাই বলা হচ্ছে। তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন। যা কিছু ঘটেছে তা তুলে ধরতে পারেন। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি এখনো দোটানায়। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন তাই দেখার বিষয়। গত ৪৮ ঘণ্টায় ছিল অনেক নাটকীয়তা। যমুনায় আবেগের সুরও ছিল চড়া, কান্নাকাটিও হয়েছে। সংকট মোকাবিলা না করে পদত্যাগের হুমকি ছিল।

সংকট কারা তৈরি করলো? একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দেয়। যে কারণে অভ্যুত্থানের মূল শক্তি বিএনপি ও জামায়াতকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়। অভ্যুত্থানের আরেক বড় শক্তি সশস্ত্র বাহিনীকেও রাখা হয় অন্ধকারে। অভ্যুত্থানের মূল শক্তি ছাত্রদের মধ্যেও দেখা দেয় অনৈক্য। এর ফলে বাড়তে থাকে দূরত্ব। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি'র মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে বৈঠকে বিএনপি'র সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও এনসিপি'র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টাপাড়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকটি চলে সাড়ে তিন ঘণ্টা। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এই তিনদলই প্রায় কাছাকাছি বক্তব্য রাখে।

ওদিকে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি ভিন্নদিকে মোড় নেয়। অস্বস্তিতে পড়ে যায় অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো। এরপর একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা চলে। এরই ধারাবাহিকতায় যমুনায় এখন আর পদত্যাগের প্রস্তুতি নেই। আসলে পদত্যাগের প্রস্তুতি ছিল না। এটা ছিল এক ধরনের আওয়াজ। নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। যেমনটা দাবা খেলায় ঘটে থাকে। রাজা চেকমেট হয়ে গেলে নতুন করে সাজাতে হয়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরিস্থিতি সেরকমই। যারা সরকারের ভেতরে থেকে ভিন্ন মতলবে ঘুঁটি চালাচালি করছিলেন তারা এখন মুখ লুকাচ্ছেন। পরিস্থিতি যে তাদের অনুকূলে নেই এটা এখন সত্য। অন্তত তিন থেকে চারজনকে বিদায় নিতে হবে, সমঝোতার আলোকে। এটা সত্য, প্রফেসর ইউনূস একজন ভালো ব্যাংকার। একজন সুবক্তা। একজন দক্ষ এনজিও সংগঠক। কিন্তু একজন ভালো রাজনীতিবিদ নন। রাজনীতির মারপ্যাঁচে নিজেকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কতটা সফল হয়েছেন বা হবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, তিনি যদি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে হয়তো এ সমস্যা হতো না। যে কারণে বারবার সংকট হচ্ছে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে তার সরকার। তাছাড়া পদত্যাগ করতে চাইলেই কি পদত্যাগ করা যায়! তাই আপাতত পদত্যাগ নয়। সামনের দিনগুলো কেমন হবে তা নিয়েই চিন্তা করছে তার প্রশাসন। নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে এ নিয়ে আপাতত কোনো সন্দেহ নেই। আমরা আগেই বলেছি নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে সংকট ততো তীব্র হবে। পর্দার আড়ালের শক্তি সুযোগ খুঁজবে। হাতছাড়া হবে নির্বাচন। প্রফেসর ইউনূসের স্বপ্নের নির্বাচনও হারিয়ে যাবে দৃশ্যপট থেকে।
নির্বাচন নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। নির্বাচনবিরোধী একটি শক্তি সরকারের ভেতরে তৎপর ছিল। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সে শক্তির ভিতকে অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার চালাতে হলে প্রফেসর ইউনূসের আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। কে তার বন্ধু, কে তার শত্রু এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তার বিদেশি বন্ধুরাও সতর্ক করছেন। বলছেন, ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, সরকার হতে হবে বাংলাদেশকেন্দ্রিক। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে মাত্র ছয়জন ঢাকার বাইরে কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে নীতি নির্ধারণ করছেন। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই। প্রফেসর ইউনূস যদি একটি গতিশীল সরকার কায়েম করতে চান তাহলে তার নিজের ঘরকেই আগে ঠিক করতে হবে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি তারই ইঙ্গিত দেয়।
(অনুমতি ব্যতীত লেখাটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ)
পাঠকের মতামত
সেনাবাহিনী বিপ্লবের পক্ষ!!! হাসবো না কাঁদবো ???
Drama. Emotional trap.
Without regular elections, the government may lack accountability, leading to autocratic tendencies. While discussions on development are crucial, they should not replace the need for democratic processes. An elected government with a robust system of checks and balances helps prevent abuses of power and ensures representation. Indeed, free and fair elections are essential for a functioning democracy, as they provide legitimacy and accountability to the government.
এটা কি মানব জমিন নাকি নিউ মানব্জমিন এটার সম্পাদক কি মতিউর রহমান সাহেব নাকি অন্য কেউ।
দুঃখিত মানব জমিন!!! বিপ্লবের আগে এবং বিপ্লবের পরে আপনাদের সম্পাদকীয় নীতির অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি!!! নিয়মিত আপনাদের পত্রিকা পড়তাম তো!!! তাই বলছি।
Manobzamin has its own twist and angle, otherwise the article wouldn’t have said BNP or Jamat were mainstream protestors when it was the students. Manibzamin is loosing it’s credibility.
আর কোন গোষ্ঠীর অন্যায় দাবীর নিকট মাথা নত করা যাবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। জনভোগান্তিমূলক কোন কর্মসূচী করা যাবে না। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের যেকোন আন্দোলন বা দাবী পরিহার করে কাজে ফিরে যেতে হবে। পিএসসির পরীক্ষাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।
ইনক্লুসিভ নির্বাচন না হলে নির্বাচন হবে কিন্তু শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি দেশে আসবেনা। বিনিয়োগ শুয়ে গেছে শুয়েই থাকবে। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বাদ মোটামুটি চলার মতো সম্পর্কও তৈরি হবে না। অস্থিরতা চলতেই থাকবে। তবে উনারা যাহাই করুনঃ দেরি না করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিলে অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
তারেক রহমানকে বলছি, দুই বুড়ো বক বক মির্জা এবং তাদের বুড়ো দোসররা আপনার বিএনপিকে ডুবিয়ে দেবে । পদক্ষেপ নিন জনাব তারেক রহমান। এটা এখন Gen Z র বাংলাদেশ। বিএনপির রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন না করলে বিএনপির কোনো সুযোগ থাকবে না। 50% বাংলাদেশী জনসংখ্যা 27 বছরের নিচে এবং এই 90 মিলিয়ন (9 কোটি) Gen Z রা তাদের তাদের শক্তি বুঝতে পেরেছে। BNP's বুড়ো দোসরা are completely out of phase with Gen Zs। দুই মির্জা, আমির খসরু, দুদু, ফজলু, এবং সকল চোদু ও মধুদের তাড়িয়ে দিন। মিঃ তারেক রহমান, আপনার সুযোগের জানালা দ্রুত বন্ধ হচ্ছে।
You have lost your neutrality.
মাসুদ তুমি ভালো হয়ে যাও
ইউনুস সরকারের ভেতর সমস্যা অবশ্যই আছে। একটি চক্র তাকে সামনে রেখে ফায়দা তোলায় ব্যস্ত। এরাই চায় না দ্রুত নির্বাচন হোক। ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে চরিত্র বদলায় গণতন্ত্রের দাবীতে। যার অন্যতম শর্ত গণতান্ত্রিক নির্বাচন। কাজেই নির্বাচন গুরুত্বহীন করে সংস্কারের চিৎকার বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অথচ সেটাই করা হচ্ছিল। এর সাথে বন্দর, করিডর ইস্যু। এক ধরণের সুপ্রিমেসীর দিকে এগুচ্ছিল সবকিছু। এটা রাজনীতির চোখে ভালো দেখাতে পারে না। আর সেটাই হলো এই সংকটের গোড়া। এই সরকারের প্রধান কাজ অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করা।
নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে ভারত, আওয়ামীলীগ এবং দেশের ভিতরের আরও অনেক ষড়যন্ত্রকারী আছে ইউনুস সরকারকে ব্যর্থ করার সুযোগ খুজবে। তবে আমরা চাই নির্বাচনের পূর্বে হাসিনা এবং হাসিনার সহযোগীদের বিচার সম্পন্ন করে এবং বিচারের রায় কার্যকর করে।
মানবজমিনের মান এখন প্রশ্নবিদ্ধ। মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেব বোধ হয় আজকাল তার এই পত্রিকাটির দিকে তেমন নজর দেন না। নজর দেয়া উচিত।
আমি মনে করি ড. ইউনুস কে আরও কঠিন হয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের প্রিয় মানবজমিন এখন ওয়াকার নামা লিখে। এটা কি সেই আগের মানবজমিন নাকি অন্য কিছু?
for a long time I read Manab Zamin. I have doubt weather this report has been written freely/ ind3pendently ?
এটা কি 'রিপোর্ট' নাকি 'সম্পাদকীয় মত'? পাঁচ আগস্টের আগের মানবজমিন আর এর পরের মানবজমিন এক নয়। এটা পাঠক বুঝে ফেলেছে। পলাতক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে মানবজমিন সম্পাদক রাষ্ট্রপতির যে সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিলেন, তা মূলত এক শক্ত ঘুটির চাল ছিল। সুতরাং, মানবজমিনের সাংবাদিকতা এখন আর সাদা নয় বরং অন্যকিছু।
আপনার লেখা একপেশে। এইসব দালালি বাদ দেন।
উনি গেলেই কী, না গেলেই কী! উনার যা ধান্দা করার এই নয় মাসে করে নিয়েছেন। নির্লজ্জের মতই করেছেন।
আমি সব সময় জানতাম মানবজমিন নিরপেক্ষ প্রতিবেদন বা লেখা প্রকাশ করে, যেখানে ছাত্ররা মূল ভুমিকা পালন করেছিল,সেখানে আপনারা অন্য কাউকে সেটা দিয়ে দিলেন। ইদানিং চমৎকার লেখা প্রকাশ করতেছেন। অনেক সংবাদ পত্র ছিল কালের স্রোতে আজ বিলুপ্ত প্রায়।
Even though I am an independent person, I still consider Dr. Yunus is our guardian. He is our shelter from inclement weather. We need him for the sovereignty of our country and our own survival. Therefore, the people of Bangladesh from every corner of life must come out to the streets in support of Dr. Yunus and to drive away all evils/devils from our political arena and society.
গতকাল থেকে হেডলাইন দেখছি , পড়ছি, সবগুলোই প্রায় কাছাকাছি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা। একই লেখার জোড়াতালি এর বাইরে কিছু নয়। আপনাদের হেডলাইন দেখে মনে হয় কি যেন ঘটে গেল! আসলে কিছুই না । এগুলি কি আপনাদের আপডেট?
If, you will not clearly publish, what is your agenda or vision or mission then results will be like today’s situation. Need to reshuffle advisors team Urgently and appoint new capable persons plus keep dialogue with every concern.
ইউনুস সাহেবের সামনে আরো বিপদ এগিয়ে আসছে
আমার মনে হয় সান্তনা রহমানের আর্টিকেল মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়!
রাজ ক্ষমতা এই রকমই............ তাই বলে চলে যেতে হবে। নির্বাচনের ডেট দিয়ে সুন্দর ভাবে দেশ চালান। আর যে সব সংস্কার অতীব দরকারি, সেই গুলি করে ফেলেন।
নির্বাচন ফোবিয়া যে বা যে সকল দলের মধ্যে আছে তাদের কাছ থেকে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস স্যার কে অবশ্যই নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে নির্বাচন মুখি সরকার পরিচালনা করতে হবে।
সেদিন দেখলাম ইত্তেফাকে আপনাদের নিউজ কিছুটা উনিশ বিশ করে ছেপেছে। তারাও নিচে লিখেছে, অনুমতি ব্যতীত লেখাটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সতর্কীকরণ লাইনটিও কিছুটা পরিবতর্ণ করেছিলো।
Advance views create complexity. The enemies take advantage from it. So the views writer should take the circumstances into consideration. If there is personal or party interest or different intention it must be against the interest of the state.
বিএনপিকে দেশের মধ্যে অনেক চাঁদাবাজি করে
Who is Shantona Rahman?