অনলাইন
সর্বশেষ
সংকট ঘনীভূত, জাতীয় সরকার গঠনে দৌড়ঝাঁপ
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৭ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে। তবে এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কের কমতি নেই। সকাল-বিকাল দেখা হচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত চারদিন একটানা চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর তরফেও বারবার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো অনুরোধেই তিনি সাড়া দেননি।

ওদিকে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব কমছে। ইতিমধ্যেই দু’দফা বৈঠকের খবর রয়েছে। '২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দু’দলের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, প্রফেসর ইউনূসকে ঘিরে রেখেছে একটি অশুভ চক্র। এই চক্রে রয়েছে সাতজন। ভেতরে চার, বাইরে তিন। এই চক্রটি চায় না নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাক। তাদের মতলব অন্য। তারা প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চায়। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। আর এই সংকট উত্তরণে কোনো উদ্যোগ নেই বরং উল্লেখিত চক্রটি নানা খেলায় মত্ত রয়েছে। তারাই বলছে, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা তাকে পদত্যাগ থেকে বিরত রেখেছি। তারাই এখন জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে এমন খবর রটাচ্ছে। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।

মানবজমিন জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজের বৈঠক হয়েছে। ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারা পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া ওইদিনই অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। এতে প্রধান উপদেষ্টা কতিপয় উপদেষ্টার ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেন।
রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করলেই সব সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এটা মনে করার কারণ নেই। বরং সংকট আরো তীব্র হবে। প্রফেসর ইউনূস যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে খেলা তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিপ্লবের মূল চেতনা।
এই মাত্র এক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি জাতীয় সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
(অনুমতি ব্যতীত লেখাটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ)
পাঠকের মতামত
পদত্যাগ কোন সমাধান নয়।
ড: ইউনুস স্যারকে প্রধান উপদেষ্টা রেখেই এর সমাধান করতে হবে। আমার মনে হয় বিএনপির কিছু ভারতপন্থী দালাল ও এনসিপির কয়েকজন নেতা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত সহ সকল রাজনৈতিক দলের লোকজন অর্ন্তবর্তী সরকার থেকে বাদ দিয়ে ড. ইউনুস সাহেবকে প্রধান করে অরাজনৈতিক বা সৎ, ধর্মপরায়ন লোকদের নিয়ে একটি সরকার গঠন করে পুরনো দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা বাতিল করে নতুন ব্যবস্থা চালু করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।
দেশের স্বার্থে আপনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।
দুদুকে কথায় আরো ভদ্র হতে হবে। ইন্ডিয়ার তাবেদারী করা বিএনপির জন্য ঠিক হবে না। তারা তাহলে ডুববে।
জাতীয় সরকার হোক বা এই চলতিই হোক সাধারণ মানুষ কিন্তু ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস সাহেবকেই সরকার প্রধান হিসাবে চায়। এই সময়ে ওনার বিকল্প বাংলাদেশে নাই।
দলগুলোর রাজনীতি রাজনীতি খেলা সাধারণ জনগনকে নিদারুণ কষ্টের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
NCP'র সীমাহীন ক্ষমতার অপব্যবহার,মবের মাধ্যমে আইন-শূঙ্খলা পরিস্থিতির চুড়ান্ত অবনতি....সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্য নেতৃত্বের অভাব,স্হবির প্রশাসন, পুলিশ হত্যার তদন্ত না করা.. সরকারি চাকুরিজীবীদের পদন্নোতি বদলীতে ছাত্র সমন্বয়কদের অযাচিত হস্তক্ষেপ সর্বোপরি নির্বাচন নিয়ে অনিহার ফলেই আজ এই অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি।
আমি আগামীর বাংলাদেশের রাষ্ট্রের নেতৃত্বে NCP দেখতে চাই।
একটা বেপারে এই ৯ মাস পরে এসেও স্বস্তি পাই এই দেখে যে , এখন যারা এই সরকার আর আমাদের ইউনুস স্যার কে নিয়া সমালোচনা করে তাদের ৯৯% এ জুলাই অগাস্ট অভ্যুত্থান এর সময় রাস্তায় ছিলনা। ওই সময় রাস্তায় থাকা মানুষগুলা ইউনুস স্যার কে নিয়া খুবই সেনসেটিভ। কারই সাধ্য নাই ওই মানুষ গুলাকে উপেক্ষা করে এই দেশ এর ক্ষমতা দখল করার ।❤
রাজনীতিকরা দেশকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পাল্টা পাল্টি বক্তব্য কাম্য নয়। ড: ইউনুস কে ক্ষমতা থেকে সরালে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচন কাম্য। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশ পরনো আমলেই চলে যাবে। এতো রক্তপাতের কোন মূল্যই থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান এর আল্টিমেটাম গ্রহণ যোগ্য নহে। আমরা সাধারণ জনগণ হাসিনা পদ্ধতি দেখতে চাই না। নির্বাচন আগামী ২৬ এর ফেব্রুয়ারী অথবা জুন মাসে হলে আমাদের আপত্তি নাই। সবাই কে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউনূস সরকার ভেঙ্গে গেলে জানাপা বিপদে পড়বে দেমের জন্য ভালো হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে হ্যাঁ নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে সমস্যা শুরু হবে।
এনসিপির দুই উপদেষ্টা, যে উপদেষ্টারা আপনার কাঁধে বন্দুক রেখে ফোটাতে চাইছে অর্থাৎ পাঁচ বছর, দশ বছর ক্ষমতায় থাকার খোয়াব দেখছে, আপনাকে অং সান সূচী বানাতে চাইছে তাদের বরখাস্ত করুন। হাসিনার আমলের সচিব, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এখন দুর্নীতি মহোৎসব করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মব, চাঁদাবাজ, খুনি, নিয়োগবানিজ্যকারিদের গ্রেফতার করুন। সব নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে, আপনার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। পদত্যাগ কোন সমাধান নয়।
ছাত্রনেতারা তাদের রাজনৈতিক অভিলাশ পরিহার করে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ ই আগস্ট এর চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রেসার গ্রুপ হিসাবে কাজ করুক। তাদের রাজনৈতিক কার্যাবলী স্থগিত ঘোষণা করুক। অথর্ব কিছু উপদেষ্টা কে সসম্মানে সরিয়ে দেওয়া হোক। ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হওয়ার পিছনে যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো দায়ী সেখানে সংস্কার করা হোক। জুলাই আগস্ট আন্দোলনের শহীদ এবং আহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। বাকিগুলি পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের সময় করা হবে সেই প্রক্রিয়া চলমান থাকুক। জুলাই বিপ্লবের সনদ অবিলম্বে সম্পন্ন করা হোক । দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হোক। দেশি-বিদেশী ইউটিউবাররা গঠনমূলক সমালোচনা করুক। কল্পনা প্রসূত, অবাস্তব, ইমোশনাল কোন ইউটিউব বানানো থেকে বিরত থাকুন।
বিএনপি ও জামায়াতের সাথে বৈঠক করে জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার। এনসিপি ও তাদের ক্ষমতা লোভী দোসর রা ইউনুসকে ডুবাচ্ছে!
খুব সুন্দর নিউজ
আপনি চলে যাওয়া মানে সমস্যা সমাধান না,বরং আরো বেড়ে যাওয়া। আপনি শক্ত হাতে দায়িত্ব পালন করে যান। জনগণ আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।আপনার ব্যর্থতা মানে অতিতের সব অর্জন ধুলুই মিশে যাওয়া। আমরা তা কখনও চাইব না।
এই সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার সামর্থ্য নেই। আরেকটি সরকার গঠন জরুরি। তবে তারাও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হতে হবে।
এই মুহূর্তে জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, যদি বিএনপি না আসে তারা আওয়ামী লীগের মত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কোনো সন্দেহ নেই, জাতীয় সরকার গঠন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়, নাহয় জাতি আবার ১০/ ১৫ বছর দুঃশাসন দেখতে হবে নিশ্চিত
নির্বাচন অনুষ্ঠানই সব সমস্যার সমাধান হবে।
এই মূহুর্তে এন সি পির এতো বড় ভুল করা ঠিক হয়নি/হচ্ছেনা! আবার বিভিন্ন ব্রিফিংয়ে অনেক আবোল তাবোল বকছে,যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
নির্বাচনই একমাত্র সমাধান
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগে কোনো সমাধান হবেনা, সংকট বাড়তে পারে। জরুরি সংস্কার (ছোট প্যাকেজ) করে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নির্বাচন এর তারিখ রেখে রোডম্যাপ ঘোষনা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আলোচনা করুন।
ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে গেলে চলবে না। পদত্যাগ না করে কঠোর হন।
যদি তুমি BAL কে সমর্থন করো, তাহলে তুমি খুনি দলগুলোকে সমর্থন করবে।
আমরা সত্যিই এক অভাগা জাতি। আমরা এখন উত্তপ্ত কড়াই থেকে আগুনের মধ্যে পড়েছি।
অতি বকবক করা নেতাদের মুখে লাগাম দেয়া বা ট্যাক্স আরোপ করা। ফালতু আন্দোলন কারীদের দমনের জন্য সেনাবাহিনী কে গ্রেফতার করার অনুমতি দেন। আর সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সবাইকে জানিয়ে দেন আমার ক্ষমতা দরকার নাই। আপনারা ফালতু আন্দোলন বন্ধ না করলে আমি সরে যাবো। হয়তো কাজ করার সুযোগ দেন, না হয় আমাকে সরে যেতে দেন।
কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থ কেন্দ্রিক লোভী মানুষের জন্য দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় মূহুর্তের অপমৃত্যু হতে চলেছে। দেশের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।
আপনি (ডঃইউনুছ স্যার)সরদের কথায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই,বর্তমান বড় দুই দল আপনার হাতে। তাদের সাথে বুঝ পরামর্শ করে দেশের হাল ধরার চেষ্টায় থাকবেন, দোসরদের কথায় একে বারে কান দেওয়া ঠিক হবে না। আর যতো তাড়া তাড়ি পারেন নির্বাচন দিয়ে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্থান্তর করে আপনি দায়িত্ব অর্পন করার ব্যবস্থা রাখবেন। নতুবা গুড়েবালি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।ধন্যবাদ।।
এই সরকারের ভেতর আরেকটা ছায়া সরকার আছে। যারা বিএনপি ঠেকাও কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন।
দয়া করে পদত্যাগ করবেন না স্যার তাহলে হে রে যাবে বাংলাদেশ
পদত্যাগ আত্মঘাতী স্বিদ্ধান্ত হবে । আপনি নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকুন এবং সর্ব দলীয় বৈঠক ডাকুন । হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করে নির্বাচন দিয়ে চলে যান ।
ড, ইউনুসের পদত্যাগ কোন সমাধান নয়। এতে আরো জটিলতা বাড়বে। এই মুহূর্তে বিএনপি ও জামায়াতের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী করনীয় ঠিক করতে হবে।
Valo reporting
ড.ইউনুসের কথিত নিয়োগকর্তা কতিপয় ছাত্র নেতা উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন ক্ষমতা লোভী ব্যক্তি এবং উগ্রবাদী কয়েকজন কুচিন্তক এবং বিদেশে অবস্থানকারী কয়েকজন ইউটিউবার দেশ সহ ড.ইউনুসকে ডুবিয়ে ছাড়বে।
মেধাবী হয়েও বুয়েটে আবরারকে হত্যা করেছিল সহপাঠীরা। জুলাই আন্দোলনে অনেক যোদ্ধাই ছিল, কিন্তু সবার মধ্যে দেশ প্রেম নেই।
NCP র দুই উপদেষ্টাকে বাদ দিন আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করুন।