ঢাকা, ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

প্রফেসর ইউনূস এখন কী করবেন

শান্তনা রহমান

(৪ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৬ অপরাহ্ন

mzamin

প্রফেসর ইউনূস এখন কী করবেন? তার সামনে বিকল্প খুবই কম। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্ব অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে। হয় তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, না হয় পদত্যাগ করে চলে যাবেন। সর্বশেষ খবর প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের নায়কদের ডেকে বলেছেন, তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে সরকারের সঙ্গে তার মতপার্থক্যের কথা জানিয়েছেন। সকল স্তরের সেনা কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। যেটা প্রফেসর ইউনূস কখনো স্পষ্ট করেননি। তার উপদেষ্টারা সবসময় পানি ঘোলা করেছেন। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের কথা বলে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছেন। বারবার দাবি তোলা সত্ত্বেও তিনি বিষয়টি খোলাসা করেননি। 

সেনাপ্রধান জানুয়ারি, ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচিত সরকার দেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাখাইনে মানবিক করিডোর নিয়ে জাতিকে অন্ধকারে রেখেছেন প্রফেসর ইউনূস। নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিভ্রান্তির বেড়াজালে ফেলেছেন জনগণকে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জটিল এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে করিডোরের যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যদিও তিনি স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেননি। রাজনৈতিক দলগুলো কড়া সমালোচনা করেছে। জামায়াতের আমীরও বিষয়টি স্পষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান বলে দিয়েছেন, আখেরে এটা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতী। সেনাবাহিনী করিডোর মানবে না। তার ভাষায়- কোনো করিডোর নয়। 

যদিও প্রায় একই সময় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা করিডোর নিয়ে আলোচনা করেননি এবং করবেন না। এটা ছিল এক হাস্যকর আওয়াজ। কারণ তিনি একাধিকবার বলেছেন, এ নিয়ে কে, কী বললো- তাতে যায় আসে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে এ ব্যাপারে। এতদিন তারা প্রফেসর ইউনূসের পক্ষেই গান গাইছিল। ‘মবতন্ত্র’ নিয়েও সেনাপ্রধান কথা বলেছেন। ৫ই আগস্টের পর এটা ছিল মস্তবড় এক চ্যালেঞ্জ। দেশের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত ‘মবতন্ত্রে’ স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কাবু হয়ে পড়েছিল। মানুষ ছিল আতঙ্কিত। পুলিশের অনুপস্থিতিতে মবকারীরা আইনের শাসনকে তোয়াক্কা করেনি। সেনাপ্রধান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এখন থেকে এগুলো  আর সহ্য করা হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়েও তার খোলামেলা কথা। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক জনগণ এবং নির্বাচিত সরকার। প্রফেসর ইউনূসের সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকেও বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। আরও বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছিল। বিরক্ত ছিল সেনাবাহিনী। যার বিস্ফোরণ ঘটেছে বুধবার আলোচিত দরবারে। সেনাবাহিনীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছিল। বিশেষ করে সরকারঘনিষ্ঠ এনসিপি কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছিল জেনারেল ওয়াকারকে। অথচ ওয়াকারের সহযোগিতা ছাড়া এই অভ্যুত্থান সম্পন্ন হতো কিনা তা নিয়ে অংক করার দরকার নেই। একবাক্যে সবাই বলবেন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল এখানে মুখ্য। জেনারেল ওয়াকারের অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা ছিল মস্তবড় চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অন্যদিকে তার নিজস্ব শিবিরেও ছিল বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য। কিন্তু ওয়াকার পেছনে ফিরে তাকাননি। অভ্যুত্থানের পক্ষেই সায় দিয়েছেন। সমর্থন দিয়ে গেছেন এই সরকারের সব সিদ্ধান্তে। যদিও সরকারপ্রধান প্রফেসর ইউনূস অনেক বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেননি।

এই পরিস্থিতিতে কোনদিকে মোড় নেবে বাংলাদেশের রাজনীতি? প্রফেসর ইউনূসই বা কী সিদ্ধান্ত নেবেন। বলাবলি হচ্ছে, হয় তিনি সবকিছু মেনে নিয়ে দায়িত্বে থাকবেন। নতুবা ছেড়ে দিয়ে তার আগের জীবনে ফিরে যাবেন। অতীত ইতিহাস বলে, তিনি হঠাৎ করেই কেবলা বদল করতে পারেন। এর আগেও তিনি একদফা দল গঠন করে আবার নিজেই দলের বিলুপ্তি ঘোষণা দিয়ে রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তার পক্ষে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়াই সম্ভব। তিনি যদি নির্বাচনের দিকে না হাঁটেন, তাহলে সমূহ বিপদ। কারণ বল এখন আর তার কোর্টে নেই। জেনারেল ওয়াকার জনগণের কাছে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি গোড়া থেকেই বলে আসছিলেন, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের ক্ষমতালোভী কিছু উপদেষ্টা এ নিয়ে নোংরা খেলা খেলেছেন। তাদের একমাত্র পুঁজি ছিল ছাত্র কিংবা নবগঠিত এনসিপি। একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠীও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল। প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এমন মতও দিচ্ছিলেন, আওয়ামী লীগ গেছে, বিএনপিও যাবে- এটা কি সম্ভব? অনেকটাই আকাশ-কুসুম কল্পনা। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো। অর্থনীতি সংকটে। বিনিয়োগ নেই। মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। পুঁজি ভেঙে খাচ্ছে মানুষ। সংসারে হিসাব মেলাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এতসবের মধ্যেও মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মানুষের মতামতকে তোয়াক্কা করেনি। মূল্য দেয়নি তাদের আত্মত্যাগকে। মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে সরকারকে। কারণ কোথাও যে নেই সরকার। বিএনপি’র তরফেও যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে তা খুবই স্পষ্ট। ডিসেম্বর সামনে রেখে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। তারা এই সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে কিনা- এ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছে। 

যত সমালোচনাই হোক, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, জেনারেল ওয়াকার এই সময়ে যার যার অবস্থান থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। সেনাবাহিনী না থাকলে মাঠপরিস্থিতি অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। আবার আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে প্রফেসর ইউনূস লাইনচ্যুত ট্রেনকে লাইনে তুলেছেন। ক্ষমতার লিপ্সা আর উপদেষ্টাদের আত্মঘাতী কূটচাল দেশের পরিস্থিতিকে নাজুক করেছে। তারা দেশের নামও বদলানোর পরিকল্পনায় বিভোর ছিল। ভাবা যায়! উপদেষ্টা পরিষদ বিতর্কিত হয়ে গেছে। 

এনসিপি দাবি তুলেছে অন্তত তিনজন উপদেষ্টাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও ড. আসিফ নজরুল। তাদের ভাষায় এরা সবাই বিএনপি’র সমর্থক। অথচ অভ্যুত্থানে আসিফ নজরুলই ছিলেন সামনের কাতারের এক কৌশলযোদ্ধা। 

বিএনপি বলছে, সরকারের ভেতরে এনসিপি’র যে দুজন উপদেষ্টা রয়েছেন তাদেরকেও পদত্যাগ করতে হবে। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে নিরপেক্ষতার স্বার্থে পদত্যাগ করতে হবে। আরও তিনজন উপদেষ্টা আছেন তারা এখন মুখ লুকাচ্ছেন। এর মধ্যে একজন আছেন পারিবারিকভাবে বিএনপি’র সমর্থক। হালে তিনি রং বদলিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে একটি সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে। অস্বস্তি নিয়ে কী প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? রাজনীতির পণ্ডিতরা বলছেন, বুড়িগঙ্গায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। ইউনূসকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাকে যারা মসনদে বসিয়েছিলেন তারাই বা কী করবেন? এই প্রশ্নের হিসাব মেলাতে আরও ক’দিন সময় লাগবে।

যাই হোক, এখনো যদি অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হয়, নির্বাচনের দিকে না যায় তাহলে পরাজিত শক্তি আবারো দৃশ্যপটে হাজির হতে পারে। পাল্টে যেতে পারে পরিস্থিতি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে এমনটাই হবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। অবস্থা এখন এমনই- হয় ভালোর দিকে যাবে, না হয় জাতিগত বিশৃঙ্খলার মধ্যে ডুবে যাবে। যা আমরা কেউই চাই না।
 

(অনুমতি ব্যতিত লেখাটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ)

পাঠকের মতামত

কোনদিন আর্টিকেলের নিচে মতামত জানাতে আসিনি। আজ প্রথমবারের মত মতামত জানালাম। মানবজমিনকে পছন্দ করি। কিন্তু আমার জীবনে এই লেখার মত আবর্জনা আর কখনো পড়িনি। লেখক মতামত লিখেছেন তার মনের মাধুরী মিশিয়ে, ফ্যাক্টস এন্ড ফিগারকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। জঘন্য!

ফরিদ
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৩ অপরাহ্ন

অনেক সুন্দর বিশ্লেষন ধর্মী লিখা। বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিস্কার একটা বার্তা রয়েছে এই লিখা। এখন সময় বিভেদ পরিহার করে জুলাই অভ্যুথান কে গুরুত্ব দিয়ে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করা। বাংলাদেশ যেন নতুন কোন ফ্যাসিষ্টের কাছে চলে না যায়। বহু রক্তের বিনিময়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে বাংলার জনগন।

shah Jamal
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৫২ অপরাহ্ন

ইউনুস সাহেব অত্যন্ত দুরন্দর লোক।। ছাত্রদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করে দেশে নৈরাজ্য তৈরি করে করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চান।।।। এসব নিউজ-যাপনা করেছেন ~~~এগুলো ইউনুস সাহেবের ভনিতা।।।।।উনি দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে তারপর পালাবেন

হক
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৫১ অপরাহ্ন

Right expression. The Head of the state never owned the country as he spent of his major portion of life outside the country as such he has no commitment towards betterment if the country. He patronized a derailed segment of young people, he disrespect country’s main stream, its culture, heritage, history n could unite people bt creaded division. On the otherhand he has ensured his own intetrst like University, manpower licence, interest of grameen bank, digital wallets n so on which reflects his narrow business mentality rather than a statesman. He will never b successful. It will b better for him if he leaves as soon as possible. Every section of people is now worried n discomfort.

Faruq
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৫০ অপরাহ্ন

সম্পূর্ণ সহমত

জাহিদ মিয়া
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৭ অপরাহ্ন

মানবজমিন এর কোয়ালিটি হঠাৎ এমন হল কবে

Chup
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৬ অপরাহ্ন

এই দেশ কখনো ঠিক হবেনা, কখনো এই দেশে শান্তি আসবেনা |আমরা কখনোই জাতি হিসেবে এক হতে পারবোনা |মাঝে কতগুলো প্রাণ ঝরেছে এবং আরও ঝরবে |সমাজের সবচেয়ে বাজে লোকগুলো রাজনীতিতে যুক্ত এবং এর প্রমাণ সর্বত্র |

ওমর ফারুক
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৯ অপরাহ্ন

দুঃখজনক হলেও সত্য,মাত্র আড়াই মাসে এত দ্রুত অধঃপতন হবে ধারণার বাইরে।দলটি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো।সবই সৃষ্টিকর্তার নীলা-খেলা। কি দাম্ভিকতা,অহংকার-অবজ্ঞা আর তুচ্ছতাচ্ছিল্য?কি ঔদ্ধত্যতা? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কোন উদ্ধত,অহংকারীকে পছন্দ করেন না,মেনে নেন না। ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।সম্ভবনার বেশকিছু ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আল্লাহ এসব নাদান ইতর টোকাই সমন্নয়কদের হাত থেকে বাংলাদেশ রক্ষা করো !

Omur Faruk Shamim
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৩ অপরাহ্ন

পক্ষপাতদূষ্ট লেখা।

মিলন আজাদ
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৩২ অপরাহ্ন

বি এন পি দলের এখনি সুযোগ দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করানো। নইলে বিএনপি যে বোকা দল সারা জীবন এটার প্রমাণ আবার হবে।

Md. Al Amin
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:২৯ অপরাহ্ন

লেখাটি পড়ে দেশের কিছু বাস্তব পরিস্তিতি অনুমেয় হয়, কিন্তু যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক তারা আপাতত ডঃ ইউনুস কে বিচলিত করতে রাজী হবেন না বলে আমি মনে করি। এবং জনগন,সরকার,রাজনৈতিক দলগুলো, সেনাবাহিনী ও ছাত্রজনতা সবাইকে দেশের ভবিষ্যতের শ্বার্থে একে অন্যের সাথে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোদ রহিল। জুলাই/আগষ্টে যদি ডঃ ইউনুস হাল না ধরতেন এবং সেনাবাহিনী যদি সহযোগিতা না করতো তা হলে যারাই বড় বড় কথা বলছেন তখন উনারা কোথায় থাকতেন।সুতরাং আমাদের সবার সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তা না হলে আমাদের অনিষ্ট কারিরা বেশী লাভবান হবে। জুলাই/আগষ্ট বার বার আসবে এবং এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবেনা। প্রথমে সকল প্রকার সংঙ্কার করতেদিন তারপর ষ্কমতায় আসুন কোন বাঁধা থাকবেনা, এবং আর সৈরাচার ও দেখতে পাবেননা।আল্লহ হাফেজ

তওফিক আহমদ চৌধুরী
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:২৭ অপরাহ্ন

তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো: ড. ইউনূস ডক্টর ইউনুসের সরে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশের মানুষ যোগ্য শাসক ডিজার্ভ করে না। এই অসভ্য জাতিকে রেখে চলে যাওয়া উচিত। যার যা ইচ্ছা করুক, উনার নিজের সম্মান নিজের বজায় রাখা উচিত।

সাজ্জাদ
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:২৬ অপরাহ্ন

I can’t believe it’s an article from this news paper. Dr.yunus is the right person in this situation for our country and future.

Saif
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ অপরাহ্ন

কথিত এই করিডোর হলে সবচে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দিল্লি- যেটা জেনারেল ওয়াকার বুকে পাথর বেঁধেও মেনে নিতে পারছে না! যাইহোক - ঢাকার পতনের পর, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডক্টর ইউনুসকে চাপে রাখতে ব্যর্থ হয়ে, দিল্লির কাপট্য এখন উন্মোচিত! তাদের শেষ অস্ত্র—**জেনারেল ওয়াকার**—কে সরাসরি মাঠে নামিয়ে তারা ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতির **উলঙ্গ নৃত্য** চালাচ্ছে!

বাবকিয়ান
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ অপরাহ্ন

নির্বাচন চাইলেই ভারতের চাল, র এর উদ্দেশ্য কত কি। আমার দেশে আমি নির্বাচন চাইবো এতে ভারত কি। নতুন জমিদারদের দল সাধারণ মানুষের নিকট যেতে রাজি না। তারা শুধু বিএনপি বিরোধীতা, সরকারের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। ইউনুস সাহেব দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ হওয়া আর দেশ পরিচালনা এক জিনিস না। নতুন জমিদাররা সরকারের ছায়ায় থেকে যথেষ্ট অপকর্মের সাথে জড়িয়েছে। যাদের রাজনৈতিক বয়স মাত্র ১০ মাস। তারা আরাম, আয়েশ, সরকারী প্রোটকল সুবিধা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে ঘুরে তদবির করা, থানা থেকে চাদাবাজ ছাড়িয়ে আনায় ব্যস্ত জনগণের নিকট যাওয়ার সময় তাদের নেই। তাই নির্বাচন ব্যতীত ক্ষমতা যত দীর্ঘায়িত করা যায় সেই প্রচেষ্টার বাকী রাখছে না। অথচ নতুনদের একটি সুন্দর সুযোগ ছিলো। তাদের অতিরিক্ত চালাকি, একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি দূর্বলতা, পচা বামদের পরামর্শে নীতি নির্ধারণ, ক্ষমতা আখের থাকার লোভ সব শেষ করে দিচ্ছে। ইশরাক সাহেবের ঘটনা হচ্ছে আদালত কেন্দ্রিক একটি রায় নিয়ে। কিন্তু নতুন জমিদাররা তাদের বন্ধু উপদেষ্টা স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির হয়ে ইশরাক যাতে শপথ নিতে না পারে তা কনফার্ম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যে নির্বাচন কমিশন একটি নির্বাচনও কন্ডাক্ট করেনি সেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে গেলো। জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার এমন কোন প্রক্রিয়া নেই যা তারা করছে না। এসব না করে তারা সোজাসাপটা বলে দিতে পারতো যত দিন তাদের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার পর্যায়ে না আসবে ততদিন দেশ এভাবেই চলবে। ইউনুস সাহেবের নাম ভাঙিয়ে আর কতদিন চলা যাবে। একটি দেশ শুধু রেমিট্যান্স নির্ভর হয়ে চলছে। রেমিট্যান্স দিয়ে হয়তো কিছু বৈদেশিক ঋণ শোধ করা যাব্র দেশ চালানো সম্ভব নয়।

Rohan
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন

খুনিদের বিচার আগে, পরে নির্বাচন।

Yousuf
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:০৮ অপরাহ্ন

দেশের মধ্যে একটা হজবরল সৃষ্টির পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে। সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সংযত আচরণ করতে অনুরোধ করছি। সব কিছুর আগে দেশ, বিষয়টি হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

SM. Rafiqul Islam
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস স্যারকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি, আপনি পদত্যাগ করে চলে আসুন। বাংলাদেশ সংস্কার কোন দিন হবে না। বাংলাদেশ হচ্ছে রাজনৈতিক দল গুলোর অর্থ উপার্জনের কারখানা। রাজনৈতিক দলের নেতারা, উচ্চ পদস্থ আমলারা এ দেশ থেকে অর্থ উপার্জন করে বিদেশে প্রাচার করে তাঁদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকবে। আর বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। আপনার সম্মান নিয়ে এক্ষুনি চলে যান। হয়তো অনেকে বলবে আপনি দুর্বল, ভীতু, কাপুরুষ। কোন সমস্যা নেই। এই দেশের ছাত্র জনতা আওয়ামীলীগকে সরাতে সক্ষম হলেও, আপনাকে শান্তিতে দেশ পরিচালনার পরিবেশ করতে পারবে না। মনে রাখবেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেয়া মানে, আপনার পরাজয়। পরাজয়ের চেয়ে স্বইচ্ছায় পদত্যাগ যথেষ্ট সম্মানের।

Ekramul kobir
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ড. ইউনুসের মত গনহারের ম্যান্ডেট কোন সরকারের ছিলো না আর থাকবেও না। ড. ইউনুসকে বিরক্ত করলে বিরক্তাকারীদের অবস্থা হবে শোচনীয়, এটা সহজেই অনুমেয়। জনগন ড. ইউনুসের পাশেই আছে ও থাকবে।

Arifur Rahman
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৩ অপরাহ্ন

আবারো কি দূূরভোগের মহাসাগরে পতিত হবো?

Nasir
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৫০ অপরাহ্ন

Greed begets sin and sin begets death.

Md. Nurul Islam
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়েছিল কিভাবে অনেকেরই মনে নেই....!! সকলের তরে সকলে মোরা প্রত্যেককে মোরা পরের তরে....!!

মোহাম্মদ এনামুল হোসে
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন

তার মানে ওয়াকার এখন বিএনপির লোক ।

রাজু
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৪ অপরাহ্ন

এটা ভারতের র এর নতুন চাল , বাংলাদেশ এর জন্যগণ ডঃ ইয়ুনুস এর পক্ষে ই থাকবে ,

হাসান
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৩ অপরাহ্ন

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য শেয়ার বাজার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, লাখ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবিলম্বে এই অনিশ্চয়তা দূরীকরণের জন্য নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হোক।

Iqbal
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন

এনপিপির নেতা তথা ছাত্র নেতাদের আংগুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার বিষয়টা লেখায় আসলে পরিপূর্ণ হতো।

মোঃ আবদুল হামিদ
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন

এই লেখা মানবজমিনের নীতির সাথে যায় না!

Amir
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩০ অপরাহ্ন

বাবা মায়ের থেকে শিক্ষা না পেলেই কেউ এমন ভাষায় সরকারপ্রধানকে নিয়ে আর্টিকেল লেখে কোনো সাংবাদিক নামের তথাকথিত পেশাজীবী। কেবলা পরিবর্তন? আপনার যোগ্যতা কোন লেভেলের আগে সেটা যাচাই করুন। গত কয়েক মাসে প্রতিটা দল এই ইউনুস সাহেবকে যে পরিমান অসহযোগিতা করেছে, তা নজিরবিহীন। ঈদে গরু কিনবেন কি ভারত সরকার থেকে প্রাপ্ত রুপি দিয়ে???

এহসান
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:২৯ অপরাহ্ন

ধন্যবাদ সময়োপযোগী যথাযোগ্য এই বিশ্লেষন কারীকে, রাখঢাক না করে শুধু এইটুকু বলবো,.. নির্বাচনমুখী বিশাল দেশপ্রেমিক একটি জনগোষ্টিকে বিখ্যাত এই মানুষটি অপমান জনকভাবে অবমুল্যায়ন করেছেন। বুড়ো বয়সে ক্ষমতার লোভে ইনি দেশ ও জনগনকে মহাবিপদের দিকে টেনে নিয়ে যাইতেছেন। সেনাপ্রধান সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে গর্বিত করেছেন, জাতির কঠিন সময়ে তিনি পাশে ছিলেন, এখনো পাশেই আছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ এই বীর সেনা প্রধানকে, পুরো সেনাবাহিনীকে। বিএনপির ভুমিকা যথার্থ, এটি জনগনের দল, ওস্তাদের মাইর শেষেই হয়, দেশের অলিগলিতে বিএনপির জনগন, দেশ ও জনগনের স্বার্থে এতদিন ধৈর্য্য ধরে বাচ্চাদের বেয়াদবী সহ্য করেছে। অথচ ঢাকায় বসে শহরভিত্তিক অল্পকিছু পোলাপান দিয়ে মব তৈরী করে করে বাচ্চাদের নতুন দল এনসিপি কত বেশী অহংকারী হয়ে গেছে। এখন বিএনপি বড় মবের ব্যাবহার করে এনসিপি+উগ্রপন্থীদের ছোট মবের শক্তিকে নিস্ক্রিয় করতেই পারে তা হবে কল্যানকর, তা নাহলে মব কালচার যেমন বন্ধ হবেনা, দেশটিও বিপদ থেকে রেহাই পাবেনা। এমতাবস্থায় ইউনুছ সাহেব ইস্তফা দিয়ে চলে গেলে জনগন হিসাবে আমি খুশী হবো, আর যদি উনার এখনো শুভবুদ্ধির উদয় হয় সুষ্ঠ নির্বাচন করে দিতে পারেন, তাহলে থাকতে পারেন যদি জনগন রাখে!? দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনে সুষ্ঠ একটি নির্বাচন করে দেয়ার জন্যই উনাকে ডেকে আনা হয়েছিলো, জনগন আমরা তাই মনে করেছিলাম, উল্টো কোন মাস্তানরাষ্ট্র সৃষ্টি করার জন্য, দেশকে যুদ্ধের ঝুকিতে ফেলে দেয়ার জন্য উনাকে বসানো হয় নাই। আমি সাধারন জনগন, আমি একজন দেশের মালিক, আমি বলছি,... মব সৃষ্টিকারী বালকেরা দেশ চালাবার উপযুক্ত নয়, ইউনুছ সাহেবের,ও সেই যোগ্যতা নাই, ইতিমধ্যে তা আমরা হারে হারে টের পেয়েছি। এখনি এর সমাধান খুব জরুরী, জাতীয় নির্বাচন আরো বেশী জরুরী, জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোন সমস্যার জট খুলবেনা, উল্টো আরো একের পরে এক বড় বড় সমস্যা পর্যায়ক্রমে আসতেই থাকবে, এতে করে দেশ জনগন আরো বড় ক্ষতির মুখে পরে যাবে।

Abdul Matin Sikder
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:১৯ অপরাহ্ন

একেবারে আমাদের "বন্ধু" ভারতের মনের কথা গুলোই বলে দিয়েছেন, ধন্যবাদ লেখককে।

Rajib
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:০৯ অপরাহ্ন

No, mo. No... Manabzamin always try to make this Waqar a hero. Who gave shelter and alllowed to fled corrupt, killers?? Waqar..His military killed people before 5th August, he had to take the decision to say no Hasina because there was no options. Now he is keep continuing all these conspiracies!

Humayun
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:০১ অপরাহ্ন

যথার্থই বলিয়াছেন বা লিখিয়াছেন।

মোহাম্মদ তৌফিকুর রহম
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:২৮ অপরাহ্ন

যথার্থই বলেছেন।

Haque
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:২৮ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

১০

বৃটেনে ইমিগ্রেশন আইনে পরিবর্তন/ ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন স্টারমার

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status