অনলাইন
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১ অপরাহ্ন

অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহার, আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি নিয়মিতকরণ, হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়নসহ ৭ দফা দাবিতে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল। বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন পাঁচ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে গত বুধবার সকাল থেকে টানা অবস্থান ধরে রাখেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। এসময়, চুক্তি থেকে মুক্তি চাই, নিয়মিত চাকরি চাই, আরইবির দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিপাত যাক, চেয়ারম্যান এর অপসারণ, শহর গ্রামে বিদ্যুৎ বৈষম্য দূরীকরণসহ নানা স্লোগান দিয়ে শহীদ মিনার এলাকা মুখরিত করে রাখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, গণঅধিকারের সভাপতি ভিপি নূরুল হক নুর, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লোকমান হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর প্রধান সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক নেতা, সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।
বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মসূচিতে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পূনর্বহাল ও মামলা প্রত্যাহার, অনিয়মিতদের নিয়মতকরনসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বক্তব্য ও স্লোগান দেন বক্তারা।
তাদের ঘোষিত ৭ দফা দাবিগুলো হলো- ১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদি কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ। ২. এক ও অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন। ৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ। ৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল। ৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে। ৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এবং ৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অর্র্ন্তবতীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে। উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিত করনসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।