অনলাইন
সব পক্ষকে সমঝোতার আহ্বান এবি পার্টির
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগের খবরে উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। গতকাল বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের পদত্যাগ কোনো সমাধান নয় বরং তা আরও ভয়াবহ অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক জটিলতা ও সংকট নিরসনে সকল পক্ষকে সংলাপে বসতে হবে। তিনি বলেন গতকাল এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আগ্রহ সংক্রান্ত যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা নিয়ে দেশবাসী ভীষণরকম উদ্বিগ্ন। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য আমরা পাইনি। আমরা মনে করি দেশের একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সকলেরই নানা ভুল ভ্রান্তি ও অস্বস্তিকর আচরণ আজকের জটিল পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের একাংশ ও কিছু উপদেষ্টার অগ্রহণযোগ্য ভূমিকাই জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট করেছে। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য সরকারের উপদেষ্টাগণ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েক মাসে বিএনপি, এনসিপি ও সরকারপক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, আন্দোলন, দাবি এবং সেনাপ্রধানের কথিত বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। প্রশাসনের কার্যকারিতা ও সরকারের কর্তৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিএনপিসহ বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংস্কার, বিচার, নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে একেকবার একেক রকম বক্তব্য দিয়েছেন।
সেনাপ্রধানের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সরকারি ব্যাখ্যা বা অফিসিয়াল বক্তব্য পাইনি। করিডোর, বন্দর ইজারা ইস্যুতে সেনাপ্রধানের মতামত সরকার থেকে ভিন্ন হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সেনাপ্রধান এর আগেও ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। বিডিআর বিদ্রোহের বিচার, ইনক্লুসিভ ইলেকশন ও সংস্কার বিষয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন। আমরা যতটুকু জানি সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ ধরনের সরকার; যেখানে সেনাবাহিনী ও সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অতএব সরকার ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাসেম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেলাল উদ্দিন ও দিদারুল আলম, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান প্রমুখ।