অনলাইন
নির্বাচন বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ: ফারুক
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৪:৪২ অপরাহ্ন

জাতীয় নির্বাচন বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ সংগঠনের উদ্যোগে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও দেশবাসী’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশে যেন একটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অস্থিরতার মূল হোতা কারা? এই অস্থিরতা সৃষ্টি কারা করছে? কারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে? এই বিষয়গুলো তো আমরা আপনার (অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) মতো মহান ব্যক্তির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। আপনি নাকি বলেছেন, জুলাইতে নির্বাচন হবে, জুলাই হবে না ডিসেম্বরে হবে, রোডম্যাপ দিয়ে দিলেই তো যারা আন্দোলনে ছিলাম, যারা হাসিনার (শেখ হাসিনা) আমলে আয়না ঘরে ছিলাম, যারা আন্দোলন করে লক্ষ লক্ষ মামলা খেয়েছেন, তারা আপনার সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু এখনো তো নির্বাচনের রোডম্যাপটা ঘোষণা করলেন না। তাই আমরা মনে করি, এই অস্থিরতার কারণ আপনারা যদি সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে অস্থিরতার জন্য বিএনপি কোনো দিনও গ্রহণ করবে না।
ফারুক বলেন, এই দেশ আমাদের। এই দেশ থেকে আমাদেরকে খেদায়ে দিতে পারবে না। কারণ আপনার কাছে শুধু নির্বাচন চাই। সংস্কার করেন কিন্তু এমন সংস্কার কইরেন না, যেই সংস্কারের মধ্য দিয়ে করিডর হবে, চট্টগ্রাম বন্দর অন্যের হাতে চলে যাবে, এমন সংস্কার কইরেন না যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনকে বিলম্বিত করে আপনাদের (মুহাম্মদ ইউনূস সরকার) অস্থির করে তুলবে। তাই আপনার অস্থিরতার কাটাতে হলে আপনাকেই আজ-কাল-পরশুর মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
অস্থীরতার মূল কারণ বিএনপি। কারণ তারা সরকারকে সংস্কার কাজে সহযোগিতা করেনি। তারা চাচ্ছে পুরনো মডেলেই নির্বাচন এবং চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট, ঘুষ-দুর্নীতি চলমান থাকাবস্থায় কোন রকম নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলখানায় ছিল আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল, সেটাই ভালছিল। জুলাই আন্দোলনের পর বিএনপির নেতারা জামিন পেয়ে শুকরিয়া পর্যন্ত আদায় করেনি।