অনলাইন
উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি
দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করবে
স্টাফ রিপোর্টার
(১০ ঘন্টা আগে) ২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়। এর আগে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
পাঠকের মতামত
তিনটি দায়িত্ব সমাধান করতে কত বছর সময় লাগবে উল্লেখ করলে ভালো হতো! কাজে তো কোন গতি দেখা যাচ্ছে না! উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি অনুযায়ী নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে! বিবৃতির শব্দ চয়ন খেয়াল করলে মনে হবে, সেই শেখ হাসিনার তত্ব - 'ভাগ বা বিভক্ত কর, অতঃপর শাসন কর এবং ক্ষমতা উপভোগ কর'! নয় মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও একটি অনির্বাচিত সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট সেনাবাহিনীর, রাজনৈতিক দল সহ কারো নেই! একমাত্র জনগণ ম্যান্ডেট দেওয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ। আর তা হলো অবাধ নির্বাচন। উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি অনুযায়ী তিনটি দায়িত্ব সমাধান করতে কত বছর সময় লাগতে পারে, রোডম্যাপ ঘোষণা করুন এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসুন। অন্যথায় সংস্কারের কাজ রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ঐক্যমত পোষণ করে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সনদ তৈরি করুন এবং দ্রুত নির্বাচনের দিকে ধাবিত হোন! দয়া করে মব ভায়োলেন্স উস্কে দিয়ে দেশকে বিপদগ্রস্ত করবেন না!
এই উপদেষ্টা পরিষদ জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা এনসিপির প্রতিনিধিত্ব করে। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা, সংস্কার নিয়ে অকারণ দীর্ঘসূত্রিতা এবং বিচারের নামে কালক্ষেপন এই সরকারের উদ্দেশ্যকে মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছে। রাষ্ট্র পরিচালনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ধরা পরছে। ইউনুস সাহেবের ইগো সঙ্কট উত্তরণে সমন্বিত প্রচেষ্টার সবচাইতে বড় অন্তরায়।
Yes, I knew it. Awami League and India are responsible. পরাজিত শক্তির - Awami League -ইন্ধনে এবং বিদেশি - India -ষড়যন্ত্রের
ইউনুস এর দাদা নজু মিয়া রোহিঙ্গা কিন্তু ইউনুস মিয়া কেন আমাদের চট্রগ্রাম বন্দর ও পার্বত্য অঞ্চল আমেরিকার অক্সিলারি ফোর্স আরাকান আর্মির দখলে দিয়ে দিয়েছেন, ইউনুস এর পরিবার রোহিঙ্গাদের সাথে মিলে যাবে কিন্তু আমরা যারা চট্রগ্রামের আসল মালিক তাদের জমি কেন বিক্রি কললো তার হিসাব দিতে হবে
At first you should inform us what you have done in last 8 months.
অথর্ব উপদেষ্টা পরিষদ বলে কি? ভাত দেওয়ার মুরত নেই, গলাবাজিতে আছে।
It's time to expose the enemies of the July revolution.
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ধোঁয়াসা সৃষ্টির কারনেই বর্তমান সংকট তৈরী হয়েছে। তাছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে সংকট আরো জটিল হয়েছে। যেমন বিএনপি বিগত তিন চার দিন প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষাৎকার চেয়ে স্বাক্ষাৎ পায়নি। অথচ এনসিপির আহবায়ক দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে সাথে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে স্বাক্ষাৎ করলেন এবং স্বাক্ষাৎকার শেষে বিবিসির সাথে স্বাক্ষাৎকারে বললেন প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চান। এই অবস্থার জন্য অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর দায়ী। সুতরাং কাউকে হুমকি ধামকী না দিয়ে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
কি মুলার বিবৃতি....! জনগনকে এই উপদেষ্টা পরিশোধ কি বোঝায়...?যদি এহেন পরিস্থিতির রোগ ধরতে না পারেন,করনীয় উদঘাটন করতে বা পারেন... তবে দ্বায়িত্ব ছেড়ে যার যার কাজে ফিরে যান।কেউ অনিবার্য নয়; প্রকৃতি ই তার শুন্যস্থান পূরণ করবে... জুজুর গল্প শোনায়েন না! এটা আর জনগন খাবেন!। এই বলে ওই বলে দেব... এভাবে জনগনকে আর বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না....! যদি বলার মতো কিছু থাকে তো বলে দেন... ব্লেইম গেম খেলা বাদ দেন।
Excellent decision.
Jara Dr. Younus sir ka like kora tara khomota lovi, hasinar B team
আপনারা প্রকাশ করে জাতিকে উদ্ধার করেন দয়া করে।
নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার এই তিন বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্ৰগতি এখন পর্যন্ত নেই। অথচ ১০ মাস ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে লক্ষ্য ধরে নির্বাচন রোডম্যাপ ও আগামী রাষ্ট্র পরিচালনায় জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে সকল রাজনৈতিক দলের সম্মতি নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া দরকার।
ওদের সাথে কি জনগন আছে?তাদের তো জনগনেী কোন ম্যান্ডেট নেই।তারা কোন ম্যান্ডেটেের বলে এখানে বসে আছে?
জনগণ জানতে চায়