অনলাইন
পদত্যাগ নয়, নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার
(১৪ ঘন্টা আগে) ২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

শেষ পর্যন্ত বরফ গলতে শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। আজ দিনের শেষে বৈঠক দুটি হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচিত এই বৈঠকের পরেই প্রফেসর ইউনূস তার ভবিষ্যৎ নীতিকৌশল ঠিক করবেন এমনটাই বলা হচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ছিল অনেক নাটকীয়তা। যমুনায় আবেগের সুরও ছিল চড়া। সংকট মোকাবিলা না করে পদত্যাগের হুমকি ছিল।

সংকট কারা তৈরি করলো? একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দেয়। যে কারণে অভ্যুত্থানের মূল শক্তি বিএনপি ও জামায়াত ইসলামকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়। অভ্যুত্থানের আরেক বড় শক্তি সশস্ত্র বাহিনীকেও রাখা হয় অন্ধকারে। অভ্যুত্থানের মূল শক্তি ছাত্রদের মধ্যেও দেখা দেয় অনৈক্য। এর ফলে বাড়তে থাকে দূরত্ব। পরের পরিস্থিতি ভিন্নদিকে মোড় নেয়। অস্বস্তিতে পড়ে যায় অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো। এরপর একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা চলে। এরই ধারাবাহিকতায় যমুনায় এখন আর পদত্যাগের প্রস্তুতি নেই। নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। যেমনটা দাবা খেলায় ঘটে থাকে। রাজা চেকমেট হয়ে গেলে নতুন করে সাজাতে হয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরিস্থিতি সেরকমই। যারা সরকারের ভেতরে থেকে ভিন্ন মতলবে ঘুঁটি চালাচালি করছিলেন তারা এখন মুখ লুকাচ্ছেন। পরিস্থিতি যে তাদের অনুকূলে নেই এটা এখন সত্য। অন্তত তিন থেকে চারজনকে বিদায় নিতে হবে, সমঝোতার আলোকে। এটা সত্য, প্রফেসর ইউনূস একজন ভালো ব্যাংকার। একজন সুবক্তা। একজন দক্ষ এনজিও সংগঠক। কিন্তু একজন ভালো রাজনীতিবিদ নন। যে কারণে বারবার সংকট হচ্ছে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে তার সরকার। তাছাড়া পদত্যাগ করতে চাইলেই কি পদত্যাগ করা যায়! তাই আপাতত পদত্যাগ নয়। সামনের দিনগুলো কেমন হবে তা নিয়েই চিন্তা করছে তার প্রশাসন। নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে এ নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। আমরা আগেই বলেছি নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে সংকট ততো তীব্র হবে। পর্দার আড়ালের শক্তি সুযোগ খুঁজবে। হাতছাড়া হবে নির্বাচন। প্রফেসর ইউনূসের স্বপ্নের নির্বাচনও হারিয়ে যাবে দৃশ্যপট থেকে।

নির্বাচন নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। নির্বাচন বিরোধী একটি শক্তি সরকারের ভেতরে তৎপর ছিল। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সে শক্তির ভীতকে অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার চালাতে হলে প্রফেসর ইউনূসের আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। কে তার বন্ধু, কে তার শত্রু এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তার বিদেশি বন্ধুরাও সতর্ক করছেন। বলছেন, ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, সরকার হতে হবে বাংলাদেশকেন্দ্রিক। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে মাত্র ছয়জন ঢাকার বাইরে কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে নীতি নির্ধারণ করছেন। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই। প্রফেসর ইউনূস যদি একটি গতিশীল সরকার কায়েম করতে চান তাহলে তার নিজের ঘরকেই আগে ঠিক করতে হবে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি তারই ইঙ্গিত দেয়।
(অনুমতি ব্যতীত লেখাটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ)
পাঠকের মতামত
It is is perfectly possible to conclude sufficient reforms (to stop emergence of any future fascist regime/Indian-agent regime) within the next few months. The interim government has no other option but the expedite the vital reforms to make sure that they are completed before the next general election, and call the election in/around December 2025.
Should reform the the advisor council specially Miss.R.Hasan, She is over smart, She is just a talkative, mouthy, most of them are simple sitting in AC room. WE want someone just like prof. Yunus. Of course we want a good team for the country ,for the democracy.
যে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করি, ইউনুস স্যার পদত্যাগ করলেন মন থেকে আওয়ামী লীগকে ভালবাসতাম, আর যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী ছিল পিটাতাম.....
ডক্টর ইউনুস পদেত না করায় মানবজমিন এর মন খারাপ নাকি?? আগে আপনারা নিরপেক্ষভাবে লিখতেন, আমার বয়স বর্তমান ৩৪ বছর, আমি ছোটবেলা থেকে মানবজমিন এর পাঠক, দয়া করে আপনারা নির্দিষ্ট একটি দলের দালালি করবেন না, মানবজমিন এর প্রতি মানুষের ঘৃণা সৃষ্টি করবেন না, পরিশেষে বলি মানবজমিন এর জয় হোক
হেডলাইন দেখে মনে হয় পদত্যাগই আশা করা হয়েছিল।
৩টা মাস দূর্নীতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রয়োজন দূর্ণীতি বাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধরে সাগরে নিমজ্জিত করা হোক
ডক্টর ইউনুস যদি পদত্যাগ করে সবচেয়ে লাভ আওয়ামী লীগের আর সবচেয়ে ক্ষতি এন সি পির কারন ইউনুস থাকলে পরাজিত শক্তি আর মাঠে নামতে পারবেনা আর সে না থাকলে এন সি পি দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগও পাবেনা বি এন পি কিছুটা নিরাপদ থাকবে তাই ডক্টর ইউনসকেই দরকার।
সমস্যা হোল,যাদের আন্দোলনে কোন অবদান ছিলোনা,তাদেরকে উপদেষ্টা বানানো হয়েছে। তাদের অনেকেই স্বৈরাচারের দোসর ছিলো।প্রফেসর ইউনুসকে দৃঢতা দেখিয়ে এদেরকে ছাটাই করতে হবে,এবং দেশকে নির্বাচনমূখী করতে হবে।।
উপদেষ্টা রেজওয়ানা হাসান কে অতি দ্রুত বাদ দিতে হবে তারপর ২ ছাত্র উপদেষ্টা আর ৪ নং নিরাপত্তা উপদেষ্টা। আরো কিছু উপদেষ্টা আছেন তাদের কে বগ বড় কথা বলা বন্ধ করে কাজের ব্যাপারে সিরিয়াস হতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশি অহংকার ভালনা। নুতনভাবে গঠিত উপদেষ্টারা যদি দেশকে সুন্দরভাবে চালাতে পারে আর একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারে তাহলে জনগন তাদের কে মাথায় তুলে রাখবে তাতের স্যালুট করবে। সবার জন্য রইল সুভকামনা
Set up এ কোন পরিবর্তন হবে না। ডক্টর ইউনুস তার লক্ষ্যে অবিচল ও স্থির। সামনে তো অনেক দূর যেতে হবে তাই তার ঘরের খুঁটিগুলোকে একটু বাজিয়ে দেখলেন ঠিক আছে কিনা? আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ডঃ ইউনুসের সামনের দিনগুলো খুব সুন্দর দেখছি।
আল হামদু লিল্লাহি আল হামদু লিল্লাহি, জাতি এক ভয়ানক গভীর ষড়যন্ত্র থেকে বেচ গেল তবে ষড়যন্ত্র কারীরা কিন্তু বসে থাকবে না সাবধান হতে হবে।
একলোক কমেন্ট করেছেন ছাত্ররাই আন্দোলনের মূল শক্তি এগুলো করেই তো হাসিনার মতো দেশের মানুষদের বিভাজনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিএনপি জামায়াত আন্দোলন না করিলে এই ইউনুস সরকার ও প্রতিষ্ঠিত হতোনা আর ছাত্রদেরকেও বানের জলের মতো করে ভাসিয়ে দিতো হাসিনা।
পদত্যাগ না করার সংবাদে কারো কারো মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
Baser cheya conchi boro.
Amer theke Athi boro hole ja hoi. Unus sab jinis gulo bujte pareni.
ল্যাজ এখন শরীরে নাড়াচ্ছে , ইউনুস সাহেব হার মানবেন না । দেশের জনগন আপনার সাথে আছে ।
Apnr lekhata 100% right.
কয়েকজন উপদেষ্টা পরিবর্তন ছাড়া দেশ সঠিক ভাবে চালানো সম্ভব নয়।
যে চক্র পরিকল্পিতভাবে প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিল। যে কারণে অভ্যুত্থানের মূল শক্তি বিএনপি ও জামায়াত ইসলামকে দূরে ঠেলে দিল। অভ্যুত্থানের আরেক বড় শক্তি সশস্ত্র বাহিনীকেও অন্ধকারে রাখার চেষ্ট করলো তাদের মুখোষ উম্মেচন করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
ভাবছিলাম দেশটা ঘুস দুর্নীতিমুক্ত হবে কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।
ছাত্ররা মূল শক্তি হলে তাদের পাশে জনগণ নাই কেন ? বিএনপি জামায়াতই মূল শক্তি।
লেখালেখি করে বছরের পর বছর পার করা যাবে। কিন্তু সঠিক এবং দ্রুত নির্বাচনই মূল সমাধান।
আমরা চেয়েছিলাম তিনি বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটিক ট্রানজিশনে নেতৃত্ব দিবেন। অথচ, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এমন একটা জায়গায় যে দেশের আর্মি চিফ ইলেকশন চায় আর সিভিলিয়ান সরকার ইলেকশনের ডেট নিয়ে ধানাইপানাই করে। এটাই ইউনূস সাহেব ও তার উপদেষ্টাদের ব্যর্থতা।
na copy korbo
ঘুঁটি সাজানোর কোনো দরকার নাই। সহজ এবং সরল মন নিয়ে কাজ করার সবিনয় অনুরোধ করছি। সবসময় সরল পথে থাকার চেষ্টা করুন, সাফল্য অবশ্যই আসবে, ইনশাআল্লাহ্।
আমাদের বড় সমস্যা হলো আমের চেয়ে আঠি বড় হয়ে যায় , ইউনুস স্যারের কথায় কোন দম্ভ নেই কিন্তু তার কিছু উপদেষ্টা আর সচিবের কথা শুনলে মনে হয় তারাই সব। তাদের বাচনভঙ্গি শব্দ প্রয়োগ এমনকি যদি ল্যাংগুয়েজ ও খারাপ। সরকারে থাকলে সমালোচনা বেশি শুনতে হয় মানুষ পাওয়ারকে প্রশ্ন করবে সেটাই স্বাভাবিক।
লেখাটা সময়োপযোগী হয়েছে। তবে একটা কথা আছে যে গাছে ফল ধরে তার মাথা নিচু থাকে। তাাই যারা ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে তাদের একটু সহনশীল হওয়া উচিত। নইলে অতীতের মতই তারাও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এসব দৃশ্য অবলোকন করে আসছি।
নির্বাচন নিয়ে ্বাগেই বলা হয়েছে যে জানুয়ারী ২০২৬ - জুন ২০২৬ এর মধ্যে যে কোন সময় নির্বাচন- এর বাহিরে যা েব না , যাবার সময় নেই।
এ অভূত্থানে বিএনপি জামায়াত মূল শক্তি নয়। ছাত্ররাই এ অভূত্থানের মূল শক্তি।
দাবার গুটি তো খেলা হয় ওপাড় থেকে