ঢাকা, ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

কেন ওবায়দুল কাদের রেগে গেলেন

স্টাফ রিপোর্টার

(৪ দিন আগে) ২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৩৬ অপরাহ্ন

mzamin

ইউটিউব চ্যানেল ‘নাগরিক টিভি’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চ্যানেলটির এডিটর ইন চিফ নাজমুস সাকিবের কাছে টেলিফোনে এ সাক্ষাৎকার দেন দলটির এই প্রভাবশালী নেতা। সাক্ষাৎকারে গণঅভ্যুত্থান ঘিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তবে এক পর্যায়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বেশ রাগান্বিত হয়ে যান কাদের।

এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকার দেন ওবায়দুল কাদের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর এই প্রথম কোনো গণমাধ্যমে কথা বলেন কাদের।

ওই গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারের নানা বিষয় ধরে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রাখেন নাজমুস সাকিব।

ইন্ডিয়ান গণমাধ্যমে আপনার (কাদের) একটা ইন্টারভিউ দেখলাম, খুব ভাইরাল হলো। ওটা নিয়ে একটু জানতে চাচ্ছিলাম। বলা হচ্ছে, ৫ই আগস্ট বাথরুমে আপনাকে নাকি পালিয়ে থাকতে হয়েছিল। তারপর ছাত্রদের সহায়তায় আপনি প্রাণে বেঁচে যান-এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এছাড়া কি উপায় ছিল?’

আপনি কি তাহলে বলতে চান যে, ছাত্ররাই আপনাকে রক্ষা করেছে? তখন কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ এটাও তো ঠিক।’

কিন্তু অনেকে বলছেন, ওই সময় মানুষের মনে যে ক্ষোভ ছিল আওয়ামী লীগের প্রতি বা আপনাদের প্রতি। সে সময় ছাত্ররা আপনাকে রক্ষা করবে অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হচ্ছে না-এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওরা (ছাত্ররা) বলছিলো, আপনার প্রতি রাগ ছিল। কিন্তু আপনার সামনে এসে আমাদের রাগ পানি হয়ে গেছে।’

এরপর তো আপনি তিনমাস দেশেই ছিলেন?  জবাবে কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ ছিলাম।’

দেশ থেকে তাহলে গেলেন কীভাবে, ওখানে কারা আপনাকে সহযোগিতা করলো, এটা কি বলা যাবে?

পাল্টা প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘এটা কি বলা যায়? তিনমাস পরে বাড়িতে বাড়িতে যেভাবে তল্লাশি, বাড়িতে বাড়িতে অভিযান, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তল্লাশি..., তখন শরীরটাও একটু সমস্যায় পড়ছিল। অনেকগুলো ওষুধ খেতে হয়। আমি ভাবলাম অ্যারেস্ট হলে তো আমাকে ওষুধ খাওয়ানোর লোক নেই। অনেককিছু চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম ওখানে আর থাকবো না, এই আর কি।’

তিনমাস যে আপনি থাকলেন, এই সময়ে তো আপনি বুঝতে পেরেছেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে মানুষের ক্ষোভ, এই ক্ষোভটাকে আপনি কি মনে করেন না যে যুক্তিযুক্ত ছিল, কারণ সাড়ে ১৫ পনের বছর যা করলেন?

জবাবে কাদের বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরে পদ্মা সেতুও তো আমরা করেছি। মেট্রোরেল তো আমরা করেছি। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েও তো আমরা করেছি।’

২০১৮ সালে রাতের ভোট, ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন করলেন। এই যে জনগণের ভোটের অধিকারটা যে কেড়ে নিয়েছিলেন। আপনি কি মনে করেন না যে এটা আপনাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল?

উত্তরে কাদের বলেন, ‘এগুলো আলোচনার অপেক্ষা রাখে! সেগুলো চর্চা করার বিষয় আছে। আমাদেরও একটা দৃষ্টিকোণ আছে। আজকে পৃথিবীর দেশে দেশে গণতন্ত্রের স্বরূপ  সব জায়গায় একরকম নয়। আমাদের দেশে অপজিশনের যে চেহারা, সেখানে আমাদেরকে একটা ইলেকশন লিগ্যালি করতে হয়। সেটি আমরা করেছি। কিন্তু উন্নয়ন তো দেশের মানুষ যা চায়.... আজকে অপিনিয়ন পোল নেন, বেশিরভাগ লোক চায় শেখ হাসিনা আবার আসুক এবং শেখ হাসিনাকে আবার চাই। এ কথা আজ মানুষের মুখে মুখে। ইলেকশনটা হলে বুঝবেন।’

কিন্তু পাবলিক পারসেপশন হচ্ছে আপনি দেখেছেন, শেখ হাসিনা যদি সত্যিই ওই সিচুয়েশন থাকতো তাহলে দেশে থাকতেন। উনাকেতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এটা কি তার রাজনীতির জন্য একটা লজ্জাজনক অধ্যায় না?

জবাবে কাদের বলেন, ‘নো, আমি এটা মনে করি না। তখন তার বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল। কারণ তাদের সেদিন প্ল্যানই ছিল তাকে কিল করবে।’

আচ্ছা বেগম খালেদা জিয়াও তো মারাত্মক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু কই, উনি তো কম্প্রোমাইজ করেননি। উনি তো আপস করেননি। দেশেই থেকেছেন। তাকে চিকিৎসা করতে দেননি। কম্প্রোমাইজ করলে তাকে বিদেশে যেতে দিতেন। তিনি তো তা করেননি। কিন্তু আপনাদের নেত্রী তো কম্প্রোমাইজ করে ভারতে চলে গেলেন! জবাবে কাদের বলেন, ‘না, কম্প্রোমাইজ করে যাননি। তাকে (শেখ হাসিনা) বাঁচার দরকার ছিল। সে জন্য চলে আসছেন।’

কিন্তু আপনার কি মনে হয় না, আপনারা ওই সময়টাতে যখন শাসনভারে ছিলেন এমন সবকিছু...

কাদের বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে আপনারা অপিনিয়ন পোল নেন, মানুষ কাকে সমর্থন করে। আমি সে কথায় যাচ্ছি বারবার।’

আপনি (কাদের) যেহেতু আওয়ামী লীগ করেন, আপনি ভাববেন বা বিশ্বাস করেন...

কাদের বলেন, ‘আমি সে কথা ভাববো কেন। দেশের পাবলিক অপিনিয়ন কী এটা আপনি জানেন না?, এখন আপনি একটা দলের সমর্থক হলে তো জানবেন না। এটাই স্বাভাবিক। আপনি তো বায়াসড! হোয়েন ইউ আর এ বায়াসড অ্যাজ এ জার্নালিস্ট। আপনি ঢালাও অভিযোগ করছেন।’

সাংবাদিক বলতে কারা বায়াসড ছিল না? এই নাঈমুল ইসলাম খানের মতো লোকরা, শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্সে গিয়ে ভালো ভালো কথা বলতো। উত্তরে কাদের রাগান্বিতভাবে বলেন, ‘তাদের কথা বাদ। আপনি নিজেই তো বায়াসড। আমি সবার কথা তো বলছি না।’

আপনি (কাদের) নিজেও তো সাংবাদিকতা করেছেন, ‘আপনি জানেন সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে প্রশ্ন করা। আমি ওই প্রশ্নটাই আপনাকে করছি। জবাবে কাদের বলেন, ‘প্রশ্ন করে লাভ নেই। প্রশ্ন করে যেটা নেবেন সেটা লিখতে পারবেন না। কারণ আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি। সেটা আপনি প্রচার করতে পারবেন না।’

আপনাদের এখনো কি কোনো অনুশোচনা বা আত্মোপলব্ধি হয়েছে, মানে আপনারা যা করেছিলেন সেগুলো সঠিক ছিল না। সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের আত্মোপলব্ধি, আমাদের আত্ম-সমালোচনা থাকতে পারে এবং সেটা নিয়ে আমরা চর্চা করবো। যখন আমরা দেশে ফিরবো। সেখানে আলোচনা করে যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে ভুল স্বীকার করবো। সেটা দেশে, বিদেশে বসে নয়।’

কিন্তু দেশে যাওয়ার মতো বাস্তবতা আপনাদের কি হবে আদৌ হবে? কারণ আপনাদের নেতাকর্মীরা তো সবাই পলাতক, বেশিরভাগই, কাউকে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দি সান রাইজেস এ... বাট ডিনাই... বিফোর। এই ইংরেজিটার বাংলা একটু আপনি ভাবেন। এই ধরনের অবস্থা থেকে উই ক্যান গেট আউট অব দিস...। এখন আমরা যে অবস্থায় আছি। উই ক্যান গেট আউট অব দ্য গ্যাটার। আমি সেটাই মনে করি।’

কিন্তু এই গ্যাটারে আপনারা পড়লেন কেন? কাদের বলেন, ‘আমি আপনাকে বলছি, মানুষ এখন কেন মনে করছেন-এমন আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে, সেই ‘জঙ্গি’ উত্থানে। তারাও কেন এখন মনে করছে, তারা ভুল করেছে।’

তাই যদি হয়, মানুষ যদি আপনাদের পক্ষে থাকে তাহলে দেশে আসছেন না কেন? জবাবে কাদের বলেন, ‘সময় হলে দেখবেন।’

আরেকটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। আপনাদের সময়তো অনেক ব্যবসায়ীক দুর্বৃত্ত তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন।  তো আপনার কি মনে হয়  না এই যে এতো সুসময়ের পাখি আপনারা তৈরি করেছিলেন যারা আপনাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া পত্রিকাকে কাজে লাগাচ্ছেন, কেমন লাগে আপনার কাছে? জবাবে রাগান্বিতভাবে কাদের বলেন, ‘আপনার এই চেহারাটা, বক্তব্যটা কোথায় যাবে? যদি আমরা ফিরে যাই। তখন তো আপনাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। মানে কি আপনি কি আবার ওই প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন? যারা সমালোচনা করছেন?’

জবাবে কাদের বলেন, ‘হয়তো রিসেন্ট একটা রাজনৈতিক ক্যারেক্টার আছে সেটার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন।’ নাজমুস সাকিব বলেন, ‘না আমি সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে জাস্ট প্রশ্ন করছি।’

কাদের তখন বলেন, ‘ইউ আর নট আ জার্নালিস্ট, ইউ আর বায়াসড। পার্শিয়াল জার্নালিস্ট।’ নাজমুস সাকিব বলেন, ‘বায়াসড কে নয়। নাইমুল ইসলাম খানের মতো লোকেরা?’

কাদের বলেন, ‘জার্নালিজমের একটা নিউট্রালিটি থাকে। এইটা আপনার নাই। আপনিতো এটা করতেছেন একটা পক্ষ হইয়া। ইউনূসের লোকেরা যেভাবে বলে, ফান্ডামেন্টালিস্টরা আজকে যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে বলে, আপনি তাদের সেই চিন্তা চেতনার প্রতিধ্বনি করছেন। আমার সঙ্গে এ ধরনের কথা বলে লাভ কী! আর আমাদের দল নিষিদ্ধ। এখন আপনিতো এটা প্রকাশ করতে পারবেন না। দরকার কি আমার ইন্টারভিউ...।’

তবু জানতে চাই আপনার কী মনে হচ্ছে না জনগণের কাছে আপনার…।- উত্তরে কাদের বলেন, ‘জানার দরকার নাই। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু টক টু ইউ। আপনার প্রশ্নের মধ্যে তো আপনার পার্শিয়ালিটির প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। আপনি একটা পলিটিক্যাল ক্যাম্পের সাথে জড়িত। সেটার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। প্রশ্ন এভাবে করে না। একজন নিউট্রাল জার্নালিস্টের প্রশ্ন এইরকম হয় না।’

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘শেষ প্রশ্ন আপনাকে করতে চাই। তাহলে আপনারা কি কখনই জনগণের কাছে আপনাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইবেন না?’

উত্তরে কাদের বলেন, ‘আমি সে কথার জবাব দিয়েছি। শুনতে পাননি? আমরা যাই করবো দেশে গিয়ে করবো।’

ঠিক আছে আমরাও আপনাদের দেশে আসার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনি ভালো থাকবেন। কাদের জবাবে বলেন, ‘তখন আর আপনাদের দেখা যাবে না।’

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘ও আচ্ছা আপনারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন। দেশে আসলে আমাদের একবারে শেষ করে ...।’

কাদের বলেন, ‘না আমরাতো করবো না। আপনি নিজেই পালাবেন। আপনি একটা জার্নালিস্ট, আপনি নিজেইতো...।’

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আপনাকে কঠিন প্রশ্ন করার অপরাধে আমাকে দেশ ছাড়তে হবে, মানে ওই আগের বাংলাদেশটাই আপনারা...।

কাদের বলেন, ‘কঠিন প্রশ্ন না, শত্রুতামূলক প্রশ্ন, কঠিন প্রশ্ন না!’ নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আপনার আমার প্রশ্নকে শত্রুতামূলক মনে করছেন, কিন্তু আমি আসলে সাংবাদিক হিসেবেই আপনাকে প্রশ্নগুলো করলাম।’ সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন কাদের। 

পাঠকের মতামত

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আচরণে যে কোন পরিবর্তন আসে নাই ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে তা পরিষ্কার। আর বিএনপির মতো দল এদের নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান ।

milon
২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আসলে মানুষের মধ্যে পরে না। হয়নি আপনি মানুষ নাহলে আওয়ামীলীগ। যদি তারা মানুষ হত তাহলে এই অসভ্য ইতর লোকটার ন্যুনতম অনুশোচনা বোধ থাকত। পড়তে পড়তে রাগে গা কাঁপছিল!

বিসমিল্লাহ্ খান
২৮ মে ২০২৫, বুধবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন

‘ওরা (ছাত্ররা) বলছিলো, আপনার প্রতি রাগ ছিল। কিন্তু আপনার সামনে এসে আমাদের রাগ পানি হয়ে গেছে।’ কাউয়ার বিরিয়ানির নাম শুনছি এবার শুনলাম কাউয়ার নাটক......হাহাহাহাহাহাহাহা

Arif
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:৩২ অপরাহ্ন

Because they are আওয়ামীলীগ. চরিত্র পরিবর্তন হবে না

Md A R Sumon
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:১০ অপরাহ্ন

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আচরণে যে কোন পরিবর্তন আসে নাই ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে তা পরিষ্কার। আর বিএনপির মতো দল এদের নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

Yousuf Chy
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩:৪১ অপরাহ্ন

ন্যূনতম অনুশোচনাবোধও নেই।

Alfu Miah
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:৫৭ অপরাহ্ন

(কাদের বলেন, ‘আমি আপনাকে বলছি, মানুষ এখন কেন মনে করছেন-এমন আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে, সেই ‘জঙ্গি’ উত্থানে” “আরেক প্রশ্নের জবাবে রাগান্বিতভাবে কাদের বলেন, ‘আপনার এই চেহারাটা, বক্তব্যটা কোথায় যাবে? যদি আমরা ফিরে যাই। তখন তো আপনাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না) , এই কথাগুলো ওবায়দুল কাদেরের । কত বেপোরোয়া হলে এরা এখনো এমন বক্তব্য দিতে পারে !! এদের সাহসের উৎস আগ্রাসী ভারত । নাহয় এরা জনগণের কাছে আত্বসমর্পন করতো। এই কাদের গংরা এবার দেশ বিক্রির চুুক্তি করেই দেশে ফিরতে চেষ্টা করবে।

দেশ প্রেমিক
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:৫৩ অপরাহ্ন

আচরণ এখনও পরিবর্তন হয় নাই আর কখনও হবে না। কারণ এরা খুনি। রাজনীতি হচ্ছে এদের ব্যবসা। নাজমুল সাকিবকে ধনয়বাদ। তার প্রশ্নের মাধ্যমে আওয়ামীদের চরিত্র উম্মচিত হল।

ইনাম
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:৪১ অপরাহ্ন

কথায় আছে ------লেজ কখনো সোজা হয় না!!!

Monshur Ahmed
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:৪৯ অপরাহ্ন

হালায় আগের মতই আছে দেখা যায়। কুত্তার লেজ কি সোজা হয় কখনো?

Mamun
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:২৪ অপরাহ্ন

খুনি মানসিকতা ও চরিত্র একটুও বদলায়নি দেখি!

বীর বাংগালী
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:২২ অপরাহ্ন

নাজমুস সাকিব,এক জন খুবই খুবই ভালো মানের রিপ্রেজেন্টার। আমি তার ইউ টিউব চ্যানেল দেখি, যদি কমপেয়ার করি বলবো বিশাল পন্ডিত পিনাকী 'র চেয়ে নাজমুস সাকিব রিয়েলি বেস্ট। বিশাল পন্ডিত পিনাকী 'র ইউ টিউব চ্যানেল এখন আর দেখিনা। নাজমুস সাকিব,ভদ্র নম্র মার্জিত ভাবে সম সাময়িক ঘটনা বহুল তথ্য তুলে ধরেন।

Md.Abdul Barek
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:১২ অপরাহ্ন

Kawa Quader has no shame. They all are shameless.

Esak
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

জোর করে ক্ষমতায় থাকা কে যারা অধিকার মনে করে তারা রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হবেন এটাই স্বাভাবিক । কুকুরের লেজে ঘি মাখলেও সোজা হয় না । একটা সময় সোজা হয় বা করতে বাধ্য হয় যখন প্রতি পক্ষ তাকে ধরাশায়ী করে । এই বাংলায় আর কোন স্বৈর শাসকের ঠাই হবে না ।

zakiul Islam
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগারা মরলেও মানুষ হবে না!!!!!

এস. এম. এ সালাম (বুল
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

কি ভয়ংকর চেহারা দেখালেন জনাব কাদের! যাদের বদান্যতায় প্রানে বাঁচলেন তারাও সাবধান থাকবেন। লেনদেন হয়ে থাকলে তার শতগুন আদায় করবে।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

ওনার কথা শুনে মনে হলো, দেশে-বিদেশে ওনারা জ*ঙ্গী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সময়-সুযোগ মতো দেশে গণহ*ত্যা চালানোর জন্য! কি ভীবৎস আর জঘন্য এই নিষিদ্ধলীগ! দেশবাসীকে এদের অপতপরতার বেপারে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

Daud
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ ভয়ংকর ভাবে ফিরবো কারণ তার সব রূপ আসলেই ভয়ঙ্কর। কঠিন প্রশ্ন করলে কঠিন উত্তর দেবেন দেশ ছেড়ে পালতে হবে কেন কওয়া মিয়া। কয়লা ধুইলে ও ময়লা যায়না।

Obak
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন

Kaowa Kader have no excuses for their misdeeds .

Fazle Ahmed
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৩১ অপরাহ্ন

ওবায়দুল কাদের সাপ দেশে আসেন, জনগণ অধীর আগ্রহে আপনাদের অপেক্ষায় আছে। প্রান খুলে আপনাদের কথা দেশবাসীকে জানান। বলেছিলেন পালাব না কিন্তু ঠিকই পালিয়ে গেলেন। আপনাদের কিভাবে জনগণ বিশ্বাস করবে।

Hedayet Ullah
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:২৮ অপরাহ্ন

কি অবস্থা! কাকায় এখনও হুমকি দেয়। বোঝাই যাচ্ছে কেমন ছিলেন তারা।

নজসু
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:২১ অপরাহ্ন

পৃথিবীর ইতিহাসে একটা জঘন্য রাজনৈতিক দলের সেক্রেটারী র মতই কথা বল্লেন . জনাব কাওয়া কাদের । আর এই কারনেই এরা আওমীলীগার। তাদের মধ্যে কোন লজ্জা, অনুসোচনা কিছুই নেই।

শেলী
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

Koyla dhula moyla jay na. Ayner aoytai ana fashir babosta koren

Zahid
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন

এদের খাসলত কখনোই ঠিক হবে না!

Khan
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:০১ অপরাহ্ন

নাজমুস সাকিবকে অশেষ ধন্যবাদ পলাতক নির্লজ্জ বাটপার সৈরাচারী দোসর ওবায়দুল কাদেরের মুখোশ কিছুটা তুলে ধরার জন্য। ওদের আস্ফালন নিশ্চয়ই জনগণ আর পূরণের সুযোগ দিবে না।

Hedayet Ullah
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

কাউয়া কাদের যে কোঁদ মারিছে তা মোদীর হুংকারেরই প্রতিধ্বনী; পুতুলের মত তাদেরকে দিয়ে যা করানো হবে তারা তাই করবে - ফলাফল যাই হোক।

Ahmad Zafar
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

ন্যূনতম অনুশোচনাবোধও নেই।

Akthar
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status