অনলাইন
নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে: আনু মুহাম্মদ
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ৩১ মে ২০২৫, শনিবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, আজ আমরা আশাহত হয়ে দাঁড়িয়েছি। যে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়ছে, যে নারীরা অধিকারের জন্য লড়াই করছে, তাদের ওপরই হামলা হচ্ছে।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্র শিবিরের হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আয়োজিত এক নাগরিক সংহতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বললে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের ট্যাগ লাগিয়ে তাদের দমন করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে এবং এর প্রতিবাদ জানালে কিছু ছাত্র সংগঠন গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। নারীদেরকে টার্গেট করে তারা হামলা করছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা হয় সেটাকে ইসলামবিরোধী কথা বলে অপপ্রচার চালায়। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়।
এসময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধী আজহারের খালাসের প্রতিবাদে মশাল মিছিলে ছাত্র শিবির দুই দফা হামলা চালায়। ১৯৯৩ সালে শহীদ রিমুর হত্যার মতোই আজ আবার শিবির সন্ত্রাস শুরু করেছে। রাবিতে সন্ত্রাসের এই নবতর ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামো বিপন্ন হতে বাধ্য। ছাত্ররাজনীতিকে দখলের হাতিয়ার বানিয়ে যারা ক্যাম্পাসে সহিংসতা ছড়াচ্ছে, তাদের প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ সঞ্চালনায় ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
আনু মুহাম্মদের মুখে ফ্যাসিবাদ শব্দটি শুনে কেমন কেমন জানি লাগছে। মনে করেছিলাম, উনি গত ১৬ বছর শব্দটি ব্যবহার না করার কারনে ভুলে গেছেন।
আনু আহমেদ নিজেই ইসলাম বিদ্বেষী ভারতীয় দালাল। হাসিনা তার শাসনামলে ভারতের নির্দেশে ইসলামপন্থী দলের নেতাদেরকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে খুন করেছে আর সেই ধারাতেই আনু আহমেদরা এখন ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
আনু তুমি শুধু জামাতকে টার্গেট করেছে।বি,এন,পি আর আওয়ামী এর যুদ্ধাপরাধীদের কথা কেন বল না।তুমি ফ্যাসিস্টদের দালাল এবং ইসলাম বিরোধী এটা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানতে হয়না।
আমরা মনে করি দেশে কোনো স্বাধীনতা বিরোধী নেই আছে স্বৈরাচারের দোসর এবং ভারতের দালালেরা। বিগত ১৬ বছর খুন, ধর্ষণ, গুম, লুটপাট, ভোটাধিকার হরন হয়েছে তখন এসব বুদ্ধিজীবীরা কোথায় ছিলেন। যারা ১৬ বছরে ২০ হাজার মানুষ খুন এবং হাজার কোটি ডলার লুটপাট করেছে, তাদের বিচার হতে হবে।
জামাত শিবির লীগের মতই ভয়ংকর
ষাটোর্ধ মানুষ পাগল মনে হয়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরব ছিলেন। এখনো বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য তিনি সরব থাকবেন আশা করি।
সঠিক বলেছেন। এটাই নতুন বন্দোবস্ত। সমন্বয়ক নামধারী হায়েনারা সমানে লুটপাট করছে। সর্বশেষ খবর নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা থাকাকালীন নগদের ২০০ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কিন্তু ডঃ ইউনুস চোখে ঠুলি আর কানে তালা দিয়েছেন। তিনি এগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে নয়া বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করছেন।
জনাব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আবার সেই ফ্যাসীবাদী আওয়ামীলীগের বুলী আপনাদের মুখে কেনো শোভা পাচ্ছে, একটু বলবেন কি?? আপনারা কেনো ঘুরে ঘুরে আওয়ামীলীগের কথাগুলো , আওয়ামীলীগের নির্যাতনের হাতিয়ার ছিলো যে রাজাকার শব্দ সেই শব্দ আপনাদের মুখে শোভা পাওয়া কোনো ভাবেই এই নতুন বাংলাদেশে মেনে নেবে না দেশের জনগণ। আর আপনাদের কথাই যদি ঠিক হয়, তাহলে এদেশের জনগন আওয়ামীলীগের বিদায় করে দিতো না। তারা আপনাদের চেয়ে অনেক ভালো করে এই কথাগুলো বলতে পারতো। গত ৫৪ বছর প্রচুর পরিমানে মিথ্যা আওড়ায়ছেন, আর মিথ্যা বলতে আসেন না। মিথ্যা ইতিহাস দেশের জনগন প্রত্যাখান করেছে। এখন আপনাদেরকেও প্রত্যাখান করবে এদেশের জনগন। এদেশে আর কোনো মির্জাফর, লেনদুপ দর্জী দেখতে চাই জনগন।
ষোল বছর কোথায় ছিলেন আপনি ?