অনলাইন
শিলিগুড়ি করিডোরে রাফাল জেট এবং এস-৪০০ মোতায়েন করলো ভারত
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৫ অপরাহ্ন

শিলিগুড়ি করিডোরে ভারতের সামরিক তৎপরতা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে গেছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ‘চিকেনস নেক’ করিডোর ঘিরে নয়াদিল্লি প্রতিরক্ষা বলয় গড়ছে। তারই অংশ হিসেবে শিলিগুড়ি করিডোরে এবার রাফাল যুদ্ধবিমান এবং রাশিয়ার তৈরি S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করলো ভারত। ২০-২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এই করিডোরটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে একমাত্র স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং এটি বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং চীনের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েছে, নয়াদিল্লি এখন তার কৌশলগত দৃষ্টি পূর্ব দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছে এবং লাল রেখা টানতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়ে এলেও ভারতের দৃষ্টি এখন বেইজিং এবং ঢাকার দিকে।
দ্য এশিয়া লাইভের মতে, ভারত-ভুটান সীমান্তের কাছে সাম্প্রতিক চীনা সামরিক মহড়া এবং বাংলাদেশে দ্রুত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে নয়াদিল্লি সজাগ রয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চীন ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলে জানা গেছে- যা ভারতের পূর্বে কৌশলগত ভারসাম্য পুনর্গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত তার আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে মানববিহীন বিমান চলাচল (UAV) নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে এবং সমগ্র পূর্ব সীমান্ত জুড়ে আকাশপথে নজরদারি জোরদার করেছে।
বাংলাদেশের নজর ৩২টি জেএফ-১৭ জেটের দিকে, উদ্বিগ্ন ভারত
বাংলাদেশ ৩২টি চীনা-পাকিস্তানি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কিনতে পারে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে, বিমানগুলো AESA রাডার, EW পড এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত।বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মোতায়েন করা হলে, এই যুদ্ধবিমানগুলো ভারতীয় বিমানঘাঁটি এবং সীমান্তের ওপারে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। সম্প্রতি পাকিস্তানি একটি প্রতিনিধিদল গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফর করেছে বলে খবর প্রকাশিত হবার পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই সফর ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারত তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে রাফাল স্কোয়াড্রনের সাথে ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত হুমকি মোকাবেলা করতে সক্ষম S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের বিষয়টি শুধুমাত্র কৌশলগত অবস্থানের জন্য নয়। বরং এটি একটি কৌশলগত সতর্কীকরণ। ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি মাল্টি-জোন ডিটারেন্স ডকট্রিনও তৈরি করছে। যার মধ্যে রয়েছে রিয়েল-টাইম আইএসআর ইন্টিগ্রেশন, সাইবার এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ক্ষমতা, নিরবচ্ছিন্ন ত্রি-সেবা সমন্বয় এবং শিলিগুড়ি করিডোরে দ্রুত সামরিক সমাবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, টানেল এবং রেল সংযোগ তৈরি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেছেন যে, ভারত এই অঞ্চলের ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে। এটি এখনও পর্যন্ত সরাসরি জনসমক্ষে স্বীকারোক্তিগুলোর মধ্যে একটি যে, ভারত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোকে সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখছে।
সীমারেখা টানা
শিলিগুড়ি করিডোরে ভারতের সামরিক অবস্থান কেবল শক্তি প্রদর্শনই নয় বরং এটি একটি কৌশলগত বার্তাও যে- উত্তর (চীন) বা পূর্বে (বাংলাদেশ) যে কোনও দুঃসাহসিক কাজ পূর্ণ শক্তির সাথে মোকাবেলা করা হবে। প্রক্সি জোট, গ্রে -জোন যুদ্ধ এবং প্রযুক্তি-চালিত সংঘাতের এই যুগে, ভারত একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চাইছে যে, করিডোরটি কেবল একটি পথ নয়, এটি একটি লাল রেখাও।
সূত্র : জি নিউজ
পাঠকের মতামত
রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র থেকে সকল ভারতীয়দের কে বিতাড়িত করে পাকিস্তানি বিজ্ঞানীদের কে নিয়োগ দেওয়া হক যাতে বাংলাদেশ পারমানবিক বোমা বানাতে পারে
রাফাল কি চীনের জে ১০ এর কাছে মাইর খায় নাই,,আবার চীন সিমানাতে কেন মোতায়েন করছে?
পাকিস্তানের সাথে নাকানিচুবানি খেয়ে এখন আসছে আমাদের সাথে দাদাগিরি করতে। চীন তো তাদের অনেক এলাকা দখল করে তাদের নামও বসিয়ে দিয়েছে কৈ সেখানে তো মাস্তানি চলছেনা। চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে এতেই অধিপত্যবাদী ভারতের হিংস্র শাসকগোষ্ঠীর পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধ চাইনা। তারা তাদের সীমান্তে যা ইচ্ছা তাই করুক আমাদের কি। আমাদের যেটা করার সেটা হলো বর্হিবিশ্বের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
খেলতে হলো খেলোয়ার লাগে আম্ফেয়ার না লাগে না
J10c বাদ দিয়ে F17 thunder এর কথা আসলো কিভাবে F17 Thunder এর চাইতে অনেক বেশি এডভান্স J10c. দামের বেলায় ও অনেক তফাৎ। ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে অন্তত পক্ষে ৩ স্কোয়ার্ডন J10c ক্রয় করা উচিত। সাথে HQ9 এয়ার ডিফেন্স ও টার্কিশ এয়ার ডিফেন্স ক্রয় করা উচিত।
যে পরিমাণ দুর্নীতি করে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে ঐ টাকা দিয়ে বাংলাদেশের জনগনের যে উন্নয়ন হতো আন্তর্জাতিক অংগনে বাংলাদেশের অবস্থান আর ও অনেক উপরে থাকতো।
যে বিমান নিজের বাউন্ডারি ক্রস করার আগেই ৫ টা নাই এরা আবার বিমানের ভয় দেখায়। ভারতের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পাইলটদের প্রসিক্ষিত করা।
সাম্প্রতি পাকিস্তানের কাছে ছ্যচা খেয়ে এখন এসেছে এই দিকে। ভারতের সামরিক শক্তির কোয়ালিটি এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ ব্যপার। ঘরে শুধু গাড়ি থাকলেই হয়না, গাড়ি চালানোটা জানতে হয়। শুধু সামরিক সরঞ্জাম থাকলেই হয়না, তার সাথে এগুলো বুদ্ধিমানের সাথে চালাতে হয়। এখানেইতো দাদা রা ধরা।
বেটা বাড়ি নেই যেনে ভাব দেখাতে আসছে মনে হয়!
ভারতের যত দাদাগিরি শুধু বাংলাদেশের সাথে অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোদ্ধে কয়েক দিনে লেজ গুটিয়ে বসে আছে আর চীনের সঙ্গে তো মাথা উঁচু করে তাকানোর মুরদ নেই আর বাংলাদেশের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে যত বাহাদুরি দেখাচ্ছেন তার মুল কারন হচ্ছে আমাদের দেশে মোনাফেকের সংখ্যা বেশি এই মোনাফিকেরা নিজের ব্যক্তি স্বার্থের সব করতে পারে এদের দেশের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ বড় বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ আক্রান্ত হলে কিছু মোনাফিক শান্তিতে থাকবে এটা কল্পনা করা ও মোনাফিকের লক্ষন। ভারত আমাদের দিকে এক চোখে তাকালেন বর্তমানে অনেক চোখ দেখতে পাবেন যা কোন দেশের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না কারণ বর্তমানে বিশ্ব চলে গোবাল পলিটিক্সের উপর তাই সবাই নিজের মতো করে চলোন, নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভাল থাকতে সহায়তা করুন আমিন।
ভারত কখনো বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধে জিতবে না।এটা ওরা ভালো করে জানে।যারা গরুর মুত পান করে তারা গরুর গস্তো খাওয়া জাতির কাছে পরাজিত হবেই।ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
India - ভিনদেশে অনুপ্রবেশ করে আক্রমণ চালানো কোনওভাবেই ন্যায়সংগত ছিল না।"
ইন্ডিয়াও ডরাইছে।
কত বড় ব্যাটারে , রাফাল , আর এস-৪০০ দিয়ে চীনেরে ভয় দেখায় । একটা শিশুও হাসবো এই কথা শুনে । চীন হামলা করলে এস-৪০০ ঘুমিয়ে থাকবে । আর রাফায়েল গুলারে চীন থেকেই সব ধ্বংস করে দেবে । চীনা সামরিক প্রযুক্তির বিস্ময় কর উত্থান ঘটেছে । যদি চীন ভোর পাঁচটায় আক্রমন করে , ভোর দশটার মধ্যেই শিলি গুড়ি করিডোরের পতন ঘটবে । চীনা সৈন্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে এসে হাজির হয়ে যাবে । তোমরা লড়াই করতে পারবা শুধু বাংলা দেশের সাথে । কারণ যুদ্ধ করার মত আধুনিক কোন বিমান বাংলা দেশের হাতে নাই । আমরা বিমান কিনি নাই তাতেই এত হাম্বি তাম্বি , আর কিনলে ধুতি খানা----------------------।
মোদি বাবুর জনসমর্থন তলানিতে। জনসমর্থন গিয়ার আপ করার জন্য রাফাল বিমান মোতায়েন শিলিগুড়ি করিডরে।
The bugger has dug their grave.
ভারতের সাথে এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে।সেবাদাসী হাসিনা তাদের করতলে সব উজার করে দিয়ে সাহস বাড়িয়ে দিয়েছিলো এতদিন!!
এই সংকট মোকাবেলায়, ডক্টর ইউনূসের বিকল্প নাই
ভারতের আধিপত্যবাদী ও সামন্তবাদী মনোভাব পরিবর্তন না করলে ভারত নিজে স্বস্তিতে ও শান্তিতে থাকতে পারবে না প্রতিবেশীদেরও শান্তিতে থাকতে দেবে না। পৃথিবীতে ভারত ও ইসরায়েল দুটি দেশ যাদের সাথে প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে সুসম্পর্ক নেই। এদুটি দেশ প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসী রাস্ট্র!!!
ইন্ডিয়া যে বাংলাদেশ কে ভয় পায় এটা তার প্রমান
পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে হারার পরে, মোদি ইলেকশনের আগে বাংলাদেশের সাথে একটা গ্যাঞ্জাম করতে পারে। ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য।
বাংলাদেশ এই গলা ভয় করেনা
এই কার্যক্রম অভ্যহত রেখে মুদি সরকার তার জনগনকে বোকা বানাবে এবং টাইম পাস করবে।পাশে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাড়াবাড়ি করবে। দিনের শেষে কোন লাভ নাই।
ডরে আমার কইলজা কাপতাসে !
পাকিস্থানের ভয়ে রাফায়েল জেট সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসছে।
চীনের ভয়ে ভারতের ত্রাহি অবস্থা!!