অনলাইন
মাস্কের হুমকি
যদি উদ্ভট ব্যয় বিল পাস হয়, তাহলে পরের দিন আমেরিকা পার্টি গঠিত হবে
মানবজমিন ডিজিটাল
(৭ ঘন্টা আগে) ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন

রাজনীতির স্পটলাইট থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়ার পর আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসছেন ইলন মাস্ক। সোমবার সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে বিতর্ক চলাকালীন মাস্ক তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেন। তিনি লিখেছেন, কংগ্রেসের প্রতিটি সদস্য যারা সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং তারপর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঋণ বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের লজ্জায় মাথা নিচু করা উচিত! আর যদি এই পৃথিবীতে আমার করা শেষ কোনো কাজ হয়, তাহলে সেটি হলো পরের বছর তাদের প্রাইমারি নির্বাচনে হারানো।'
কয়েক ঘন্টা পরে তিনি আরও একধাপ গিয়ে এক্সে ঘোষণা করেন, যদি ‘উদ্ভট ব্যয় বিল পাস হয়, তাহলে পরের দিন আমেরিকা পার্টি গঠিত হবে। আমাদের দেশের ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান ঐক্যবদ্ধ দলের বিকল্প প্রয়োজন যাতে জনগণের কণ্ঠস্বর সামনে আসে।’
কয়েক সপ্তাহ ধরে মাস্ক ট্রাম্পের বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন, যার ফলে এই মাসের শুরুতে ট্রাম্পের সাথে তাদের প্রকাশ্য এবং কুৎসিত লড়াই শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে মাস্ক একটি নতুন রাজনৈতিক দল শুরু করার প্রস্তাব করেছিলেন। সোমবার সেই প্রস্তাবটি আবার উঠে আসে, যখন মাস্ক বলেন, এটা স্পষ্ট যে, এই বিল ঋণের বোঝা পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করতে চলেছে। সময় এসেছে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের, যারা আসলে জনগণের কথা চিন্তা করবে।
কংগ্রেস সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রচারণা শুরু করার পর থেকে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেয়া পর্যন্ত এটি মাস্কের তরফ থেকে সবচেয়ে স্পষ্ট রাজনৈতিক হুমকিগুলোর মধ্যে একটি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প এবং অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থন করার জন্য মাস্ক ২৭৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছেন। মে মাসের শেষের দিকে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি রাজনৈতিক ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করছেন। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের ফাইলিং অনুসারে, মাস্কের রাজনৈতিক কমিটি, আমেরিকা পিএসি, শেষবার মার্চ মাসে ফ্লোরিডার বিশেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই রিপাবলিকান প্রার্থী র্যান্ডি ফাইন এবং জিমি প্যাট্রোনিসকে সমর্থন করার জন্য অর্থ প্রদান করেছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সঙ্গতি রেখে মাস্ক দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত, নির্বাসন এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ নীতি বিলটি টেসলার সিইও এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যে বিরোধ তৈরি করেছে বলে মনে হচ্ছে। মাস্ক যুক্তি দিয়েছেন যে, রিপাবলিকান নীতি বিল ঋণ বৃদ্ধি করবে ।রবিবার প্রকাশিত কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের এক অনুমান অনুসারে সিনেট বিলটি আগামী দশকে ঘাটতিতে প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে। সিনেট আইনটির ব্যয় হাউস-অনুমোদিত বিলের চেয়ে বেশি, যা পরবর্তী দশকে ঘাটতিতে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
হোয়াইট হাউস যুক্তি দিয়েছে যে, বিলটি ‘ঘাটতি এবং ঋণ কমিয়ে আনবে’, একই সাথে ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে’। যদিও মাস্ক বলেছেন, বিলটিতে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং সৌরশক্তিতে ভর্তুকির কথা রয়েছে। যার বিরোধিতা করার কারণ নেই। সেইসঙ্গে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ভবিষ্যতের শিল্পগুলিকে এই বিল মারাত্মকভাবে ক্ষতি করবে।
সূত্র : সিএনএন