অনলাইন
ইউনূস-মোদি বৈঠকের পর আওয়ামী শিবিরে প্রচণ্ড হতাশা
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ ঘন্টা আগে) ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ন

ইউনূস-মোদি বৈঠকের পর প্রচণ্ড হতাশা আওয়ামী শিবিরে। শুরুতে বলা হয়েছিল, বৈঠকের আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই। শেষ মুহূর্তে অনেকটা নাটকীয়ভাবে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তাও বিশ মিনিটের স্থলে চল্লিশ মিনিটে গিয়ে পৌঁছায়। যদিও বৈঠকে আহামরি কোনো ফলাফল আসেনি। তবে, দুজনের সাক্ষাৎ ছিল আলোচিত, রহস্যেভরা। বৈঠকের আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এক নাগাড়ে বলে আসছিল মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি নরেন্দ্র মোদি নিজে যে টুইট করেছিলেন তাতেও বৈঠক সম্পর্কে কোনো আভাস-ইঙ্গিত ছিল না। প্রফেসর ইউনূসের চীন সফর এবং সেভেন সিস্টার্স নিয়ে তার খোলামেলা বক্তব্যে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়। ভারত প্রকাশ্যেই হতাশা ব্যক্ত করে। এসব কারণে বৈঠকটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিন্তু কীভাবে হলো এই বৈঠক। শুধু কি ভারতীয় হাইকমিশন বলল আর বৈঠকটি হয়ে গেল? তা কিন্তু নয়। যতটুকু শোনা যাচ্ছে, একটি তৃতীয় পক্ষের আগ্রহেই ‘সোফা বৈঠকে’ রাজি হয় ভারত। এই পক্ষটা কে বা কারা- তা জানা সম্ভব হয়নি। ঢাকার কূটনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা কথাই চাউর হয়ে আছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন যথার্থই বার্তা পাঠিয়েছিল। যেভাবে বাংলাদেশের মানুষজন ভারতবিরোধী হয়ে যাচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পাকিস্তানের মতো পরিবেশ হয়ে যেতে পারে। ভারত তার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তারা বলছে, কোনো একটি দল নয়, তারা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়। যাইহোক, বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়েও কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ভারত বিশ্বাসই করতে পারেনি প্রফেসর ইউনূস এভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পন চেয়ে বসবেন মুখোমুখি অবস্থানে থেকে। তারা ভেবেছিল, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে বাংলাদেশের তরফে যে কূটনৈতিক চিঠি পাঠানো হয়েছে তাই যথেষ্ট। নরেন্দ্র মোদির সামনে বসে প্রফেসর ইউনূস সরাসরি তার প্রত্যর্পণ চাইবেন না। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে।

হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এখন ভারতে। অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ‘ম্যানেজ’ করে থাকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে নতুন এক খেলা শুরু হয়েছে। বাড়িঘরে দেয়া হচ্ছে আগুন। যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। স্থিতির জন্যও অনুকূল নয়। কারা এই খেলায় মেতেছে তদন্ত হওয়া দরকার। এ নিয়ে নানা গল্প চালু আছে। ভারতে যারা পালিয়ে আছেন তারমধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। অনেকে আবার অপেক্ষায় আছেন। পরিস্থিতি যদি পাল্টায় অথবা যদি দ্রুত নির্বাচন হয় তাহলে হয়তো ফিরে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের তিক্ততার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গটি এসেছিল। বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে এগুলো অনেকটাই প্রোপাগান্ডা। বাস্তব পরিস্থিতি তা নয়। নরেন্দ্র মোদিকে এমনটাই বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে যেসব খবরাখবর আসে তাও বৈঠকে অন্যতম প্রসঙ্গ হয়ে ওঠে। ভারত তার অবস্থান থেকে নড়েনি। এমন কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি যে, মুহূর্তেই এই প্রোপাগান্ডাগুলো নিঃশেষ হয়ে যাবে। কূটনৈতিক বৈঠকগুলোতে কতকিছুই তো আলোচনা হয়। দু একটি বিষয় সবার নজর কাড়ে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়েই এখন সবচাইতে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাহলে কি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পন ইস্যুটি দ্রুতই ফয়সালা হবে? ওয়াকিবহাল কূটনীতিকেরা বলছেন, এমন সম্ভাবনা নেই। তবে ভারত যে আন্তর্জাতিক চাপে পড়বে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারত দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছে। যেটা বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা।

একটি নির্বাচনের জন্য বছরের পর বছর মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে। ভালো নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের চলমান সংকটের সমাধান দিতে পারে এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। অনেকে অবশ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার পুরনো কৌশল নিয়েই খেলছেন পর্দার আড়ালে। ওদিকে বাংলাদেশ যে বদলে যাচ্ছে তার কিছু আলামত আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে স্থান পাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন এক কথায় খারিজ করে দেয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ভাববার যে কারণ রয়েছে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
পাঠকের মতামত
গণ ভোটের আয়োজন করা হউক।
Election after death of professor yunus
'ভারতের মতো বাংলাদেশের মানুষও নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে' কিংবা একটি বিশেষ মহল নির্বাচন পেছানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে এগুলো মোটেও সত্য নয়। আমরা নির্বাচন নামক নাটকের মাধ্যমে ৩৩০ জন লুটেরাকে ডাকাতির জন্য আর মনোনীত করতে চাই না। সবার আগে সংস্কার, বস্তাপচা সংবিধান বাদ দিয়ে নুতন সংবিধান প্রনয়ন (যেখানে ভোটার ও প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা উল্লেখ থাকবে) এরপর নির্বাচন। এই সুযোগ সব সময় আসে না। সুতরাং নির্বাচন ব্যবস্থা খোলনলচে পরিবর্তন না করা পর্যন্ত কোনো নির্বাচন নয়। আর তথাকথিত পেশাদার রাজনীতিবিদ নামক ঠগীদের রাজনীতির মাঠ থেকে 'আল্লাহ হাফেজ' বলে দিতে হবে। আমরা বারংবার একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।
সারা দেশে জনগণের প্রত্যাশা আগের সংস্কার ওরে নির্বাচন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এত মাথা ব্যথা কেন?
ভারতের ইচ্ছা বাংলাদেশের রাজনৈতিক শান্তি জেনো কোন কালেই না হউক, তারা চাবেই জাতে বাংলাদেশের ভিতরে সারা বছর অশান্তি লেগেই থাকে। দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক নেতা কোন ভাবেই জেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারে সেটাই ভারতের রাজনৈতিক নেতারা চায়ে।
ভারত এত বছর কোথায় ছিল। এখন বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য তাড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনগনই ঠিক করবে কখন নির্বাচন হবে। দেশে এমন কি পরিবর্তন হয়েছে যা দেশের ভাবমূর্তি বহিঃ বিশ্বে নেগেটাভ প্রভাব পড়বে। মানবজমিনও কি প্রথম আলো, ডেইলি ষ্টারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো কি না। অন্তর্বতী সরকার যযথাযথ ভাবেই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। নির্ধারিত ঘোষিত সময়ে নির্বাচন দিয়ে দেশকে স্থিতিশীল গনতন্ত্রে উন্নতি করবেন, এটা দেশের সাধারণ নাগরিকরা বিশ্বাস করে।
ভারতের চাওয়া না চাওয়া কিছু আসে যায় না, কিন্তু দ্রুত নির্বাচন হওয়া জরুরি, নির্বাচিত সরকার আসলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ডক্টর ইউনুসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হাসিনা সহ আওয়ামী খুনি লুটতরাজ, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত ও সকল চাঁদাবাজদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
"বাংলাদেশের জনগণ দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে" কথাটা সঠিক না।
ভারত দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছে। but following sentence is not correct যেটা বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশটাকেকিছু টোকাই হাতে দিয়ে দিয়েছে, গত ১৭ বছরের কোন ভদ্রলোক এই দল থেকে সম্মান পায়নি,
ভারত দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছে। যেটা বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা। ------- এটা ভুল কথা।
কোন নির্বাচন নয় ডঃ ইউনুস সাহেব জিন্দাবাদ
আওয়ামী দল বাংলাদেশ চায়না
আমরা সাধারণ জনগণ এখনেই নির্বাচন চাইনা আমরা চাই ড. ইউনুস স্যার মাধ্যমে এদেশকে মেরামত করে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পেতে চাই, এর নমুনা এরই মধ্যে আমরা পাইতে শুরু করেছি তাই আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।
আমরা বাঙালি জাতি আসলে অন্ধ! ইউনু স্যারের মতো দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে আর নেই! বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের ভালোর জন্য! উনাকে নির্বাচনের জন্য দুই বছর সময় দেওয়া হোক!
আমার দেশের নির্বাচন কখন হবে, কেমন হবে সেটা আমাদের দেশের জনগণ দেখবে এখানে ভারতীয়দের এত মাথা ব্যাথা কেন। তারা নিজেদের নিয়ে ভাবুক।
বাংলাদেশী মানুষের ভালোর জন্য ইউনুস সরকারকে দুই বছর সময় দেওয়া হোক
আমরা সুশাসন চাই, যা যোগ্য ও সৎ লোক দ্বারা পরিচালিত হবে।
হতাশার কারণে আওয়ামীলীগ, নাগরিকত্ত পরিবর্তন করতে পারে? Prayocitta করতে পারে। গুম, খুন, হত্যা, লুট, ইত্যাদির জন্যে জনগনের কাছে ক্ষমা ছাওয়া উচিৎ। দেশের প্রতি পুনরায় নাগরিকত্ব এর শপথ নিতে পারে।
আসলেই কি জনগণ একটি ভালো নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে? না কি একটি ভালো শাসনের ?