অনলাইন
সহযোগীদের খবর
প্রধান উপদেষ্টা হতাশ–ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা
অনলাইন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৪ অপরাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম প্রধান উপদেষ্টা হতাশ–ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা। খবরে বলা হয়, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যদি ঠিকভাবে কাজ করতে না পারেন, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার পদে থেকে কী লাভ, সে কথাও বলেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে নাহিদ ইসলাম গতকাল রাতে বিবিসি বাংলাকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন।’
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে দীর্ঘক্ষণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলে, ঢাকায় প্রতিদিন সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোদের মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। আলোচনার এক পর্যায়ে কাজ করতে না পারার বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, সংস্কারের বিষয়েও এখনো তেমন কিছু হলো না। তাহলে তিনি কেন থাকবেন—এমন প্রশ্নও আলোচনায় আনেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদের ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা সূত্রগুলো আরও জানায়, একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের বলেন, তাঁরা যেন আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। কারণ, তিনি চলে যেতে চান। বর্তমানে যে পরিস্থিতি আছে তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে ব্যালট ছিনতাইয়ে মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ–প্রশাসন তা ঠেকাতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে ভালো নির্বাচন করতে না পারলে মানুষ তাঁকে দায়ী করবে বলেও আলোচনায় উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিভিন্ন পক্ষের অসহযোগিতার বিষয়টি জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। একপর্যায়ে তাঁর ভাষণের একটি খসড়াও তৈরি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ভাষণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে পরে আবার আলোচনা হতে পারে।
বিবিসি বাংলাকে যা বললেন নাহিদ
গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। পরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্তে আলাপ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন নাহিদ ইসলাম।
এদিকে গতকাল রাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন, এমন খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজ সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’
প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলেও বিবিসি বাংলাকে বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্যার বলছেন, আমি যদি কাজ করতে না পারি... যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলে একটা গণ–অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার...। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমি তো এভাবে কাজ করতে পারব না।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ এমনটি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘উনি বলেছেন তিনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’
তবে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ—সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব কটি দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন। সবাই তাঁর সঙ্গে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’
যুগান্তর
‘রাজপথের উত্তাপ যমুনায়’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, পালটাপালটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজপথ। বিষয়টি নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চারদিকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের ছায়া পড়েছে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায়। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকটের সম্মানজনক সুরাহা না হলে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এছাড়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানান।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন সরকারের দুই উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতারা।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এতে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় কী তা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কাছে জানতে চান। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড এবং তাদের দায়-দায়িত্ব নিয়েও কথা হয়। বৈঠকের পর একাধিক উপদেষ্টা এসব কথা যুগান্তরের কাছে নিশ্চিত করেন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম ‘বিএনপির হুঁশিয়ারি, চাপে সরকার ও এনসিপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাসহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে বিএনপি। তা না হলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেও সতর্ক করেছে দলটি। মূলত এর মাধ্যমে সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
দলটির এসব দাবির আগের দিন গত বুধবার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন, করিডর বিষয়ে আপত্তি এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হয়। ওই বক্তব্যের রেশ না কাটতেই বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে, তাতে সরকারের ওপর চাপ আরো বেড়েছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে গত বুধবার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
কিন্তু দলটির কঠোর সমালোচনা করে এনসিপিকে পাল্টা রাজনৈতিক চাপে ফেলেছে বিএনপি। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে তাঁরা মনে করেন, সরকারের সামনে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সংসদ নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বিকল্প পথে হাঁটা কঠিন। কারণ সেনাবাহিনী প্রধান ও বিএনপির পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা কাছাকাছি হওয়ায় এর তাৎপর্য অনেক বেশি।
সমকাল
‘হতাশ প্রধান উপদেষ্টা, পদত্যাগের আলোচনা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তাঁর সরকার কাজ করতে পারছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ অবস্থায় তাঁর দায়িত্বে থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা– তা নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত তিনজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার দুই কর্মকর্তা এবং ছাত্রনেতারা সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নির্ধারিত বৈঠক শেষে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বেলা ১১টায় উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শুরুর কথা ছিল। তবে আগের রাতে প্রধান উপদেষ্টা তা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনেন।
বৈঠক সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, প্রথমে এক ঘণ্টা নিয়মিত সভা হয়। এর পর সচিবরা বেরিয়ে যান। উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা অনির্ধারিত বৈঠক করেন ড. ইউনূস। দু’জন উপদেষ্টা সমকালকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা শুরুতে বলেন, রাজনৈতিক দলসহ কেউ সরকারকে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা করছে না। এভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হবে। এর দায় নিতে রাজি নন তিনি।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘আন্দোলনে স্থবির অর্থনীতি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরে গত ৯ মাসে পাঁচ শতাধিক আন্দোলন হয়েছে। একাধিক সড়ক অবরোধ করে গত ১০ দিনে ৫০টির অধিক আন্দোলন হয়েছে রাজধানীতে। আন্দোলনের পাশাপাশি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। আর এই মুহূর্তে ঢাকায় পাঁচটির বেশি পক্ষ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে আছে। এতে দেশে অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়ে।
আধা ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টাও যাওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক সময়ে অফিসে যেতে পারেননি। অফিস শেষ করেও সঠিক সময়ে বাসায় পৌঁছাতে পারেনি। এমনিতে ঢাকায় স্বাভাবিক যানজটের কারণে নষ্ট হয়ে আসছে দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। অর্থমূল্যে যা দৈনিক প্রায় ১৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক। গত ১০ দিন আন্দোলনের কারণে অতিরিক্ত যানজটের কারণে এই ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন।
গত ১০ দিনে ৫০ আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা আট দিন সড়কে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল। তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড় অবরোধ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
নয়া দিগন্ত
‘ঘোলাটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রায় সপ্তাহজুড়ে চলা ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আপাতত অবসান হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আরো কয়েকটি স্টেকহোল্ডারের সাথে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা অভ্যন্তরীণ আলোচনার মধ্য দিয়ে কিছুটা কমে এসেছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে চাপে রাখার অংশ হিসেবে দু’টি ইস্যুতে রাজধানীতে টানা যে বিক্ষোভ চালিয়েছে, সেটিও আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সেনাপ্রধানের তরফ থেকে নির্বাচন, মানবিক করিডোরসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেয়া বক্তব্য সরকার আমলে নিয়েছে। একই সাথে বিএনপিকেও আশ্বস্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেও হতে পারে। এ দিকে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপিকেও উত্তেজনা তৈরি না করে ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের দূরত্ব এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিবদমান পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ঘটনার উদ্ভব হয়। ঢাকার দক্ষিণে মেয়র পদে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের শপথ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা সৌম্য হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আদালতের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ইশরাকের শপথ না পড়ানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে দায়ী করা হয়।
ফলে ইশরাকের পক্ষে মাঠে নেতাকর্মীরা আসিফ মাহমুদ এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করা আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ চেয়ে রাজপথে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ছাত্রদের রাজনৈতিক দল এনসিপি বিএনপির এই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিক্ষোভ করে কমিশন সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করে। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে পাল্টাপাল্টি রাজনীতি চলে।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘দাম বাড়ার আশায় ডলার ধরে রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’। খবরে বলা হয়, ডলারের দাম বাড়তে পারে—এ আশায় প্রবাসী বাংলাদেশী ও অ্যাগ্রিগেটরদের কেউ কেউ রেমিট্যান্সের ডলার ধরে রাখছেন। এ কারণে গত এক সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে। এ পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার আশায় ডলার ধরে রাখলে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলেও ডলারের দর স্থিতিশীল থাকবে। কারণ দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই প্রবাসীদের বলব, আপনার পরিবারের যখন প্রয়োজন তখন রেমিট্যান্স পাঠান। দাম বাড়ার আশায় ডলার ধরে রাখলে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
বণিক বার্তার আয়োজনে ‘বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের প্রয়োগ ও প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিনে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনীতিবিদ ও অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, অ্যাগ্রিগেটররা সর্বোচ্চ পাঁচদিন ডলার ধরে রাখতে পারেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের ডলার বিক্রি করতেই হবে। এ পাঁচদিনের ডলার ব্যবস্থাপনা করার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। যথাসময়ে ডলার বিক্রি না করলে প্রবাসীদের পাশাপাশি বাংলাদেশে রেমিট্যান্স নিয়ে আসা মানি ট্রান্সফার ও অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠানকেও ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনার সূত্রপাত করেন মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, জিপিএইচ ইস্পাত ও ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আলম আল মাহবুব, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রিজিওনাল অপারেশন ম্যানেজার শিহাবুল হাসান।
আজকের পত্রিকা
‘ভোট নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আরও জোরালো করল বিএনপি। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকার ভোটের আয়োজন ঠিক কখন, কীভাবে করতে চায়, তার রোডম্যাপ চেয়ে আসছে দলটি। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় সময় ও সহযোগিতা দেওয়ার কথা কয়েক মাস ধরে বলে আসছেন দলের নেতারা।
এখন তাঁরা মনে করছেন, সরকার ভোটকে অগ্রাধিকার না দিয়ে অন্য অনেক বিষয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে থাকায় দলের অবস্থান ও কৌশল পুনর্বিবেচনার সময় হয়ে গেছে। ভোট আদায়ে মাঠে সক্রিয় হওয়া ও সরকারের ওপর নানামুখী চাপ-কৌশল নিতে শুরু করেছে দলটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায়ও একই বার্তা পাওয়া গেছে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দলের নেতা ইশরাক হোসেনের শপথের বিষয়ে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট—এ সংকট দূর করার একমাত্র পথ হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার না দেওয়া হলে দলের পক্ষে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘বাইরে দূরত্ব ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ’। খবরে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। এ নিয়ে দলটির কৌশলগত পদক্ষেপ দৃশ্যমান। নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘চাপে’ রাখা হচ্ছে। ‘ইশরাক হোসেনের শপথ’ ইস্যু বিএনপির শোডাউনও বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক ময়দানে এখন কেন্দ্রীয় ইস্যু ‘জাতীয় নির্বাচন’।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের তেমন তোড়জোড় নেই। তবে লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলটির আমিরের বৈঠকের পর আলোচনা ছিল জামায়াতের বিরোধী দলে থাকা নিয়ে। আবার দ্রুত নির্বাচন নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃশ্যত কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তবে বাইরে থেকে এনসিপিকে যেমনই দেখা যাক, ভেতরে ভেতরে তাদের পদক্ষেপ বলছে ভিন্ন কথা। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপির নেতারা বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন।
যদিও বাইরে থেকে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির একটা ‘দূরত্ব’ দেখা যাচ্ছে। তারপরও কী বিষয়ে এনসিপির যোগাযোগ? এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, এনসিপির যোগাযোগ বজায় রাখছে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই। নির্বাচনের আগে ও পরে এক ধরনের সমঝোতা চায় এনসিপি।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইশরাক ইস্যুতে মাঠে নামা বিএনপির একটি কৌশলগত ‘শোডাউন’। তাদের লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিশ্চিত করা। অন্যদিকে এনসিপি এ চাপের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব বাড়ানো।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের আশাবাদ’। খবরে বলা হয়, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। কেবল একটি নির্বাচিত সরকার দেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে; এমন প্রশাসন নয়, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয় বা জবাবদিহি করতে ইচ্ছুক নয়।’ বুধবার সেনানিবাসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো। শীর্ষনেতারা বলছেন, দেশের ক্রান্তিকালে নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে যে ‘অস্পষ্টতা’ দেখা দিয়েছে তার ‘সময়োপযোগী’ বক্তব্যে রাজনীতিতে সুবাতাস বইছে। এতে আশাবাদ দেখছেন তারা। দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সেনাপ্রধানের এমন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য খুবই দরকার ছিল।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছেন। ফলে নির্বাচন কখন হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই- সবাই অপকর্মে জড়িত ছিল না। কিন্তু সবাই উদ্বিগ্ন। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পর রাজনৈতিক দলগুলোসহ দেশবাসীর মধ্যে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ জেগেছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি নবনির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। তারা বলছেন, সেনাপ্রধানের বক্তব্যে দেশের সার্বিক চিত্র ফুটে উঠেছে।
এ কারণে দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি। নেতারা বলছেন, সেনাপ্রধানের বক্তব্য রাজনীতির বাইরেও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, প্রশংসাও পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। এ সুযোগে একদিকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে; অন্যদিকে উপর্যুপরি দাবির আন্দোলনের ফলে দেশে একধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে-এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদের কারণেও তৈরি হয়েছে একধরনের অনিশ্চয়তা। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।