অনলাইন
ট্রাক প্রবেশ করলেও কোনও মানবিক সাহায্য তাদের কাছে পৌঁছায়নি, জানাচ্ছেন গাজাবাসী
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল ইসরায়েল। অবশেষে ট্রাক ঢুকছে একে একে। কিন্তু তবুও ত্রাণ আদৌ শিশুদের কাছে পৌঁছনো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গাজার ফিলিস্তিনি এবং এনজিও সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে তারা ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ট্রাক প্রবেশ করলেও, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে ত্রাণ পরিবহনের অনুমতি দেয়নি। আইডিএফ এই অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্তোইন রেনার্ড বলেন, ‘এই সাহায্যের কোনওটিই গাজার জনসংখ্যার কাছে পৌঁছায়নি।’ পরে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে জাতিসংঘ কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে প্রায় ৯০ ট্রাক পণ্য সংগ্রহ করেছে এবং গাজায় পাঠিয়েছে।
গাজা বেকারি মালিক সমিতির প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি বলেন, কমপক্ষে ২৫টি বেকারি যাদের বলা হয়েছিল যে তারা ডব্লিউএফপি থেকে আটা পাবে, তারা কিছুই হাতে পায়নি। খাবারের জন্য অপেক্ষা করা মানুষদের ক্ষুধা থেকে মুক্তি মেলেনি। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ার ৬৭ বছর বয়সী এক নারী সাবাহ ওয়ারশ আগা বলেন, আটা নেই, খাবার নেই, পানি নেই। আমরা আগে পাম্প থেকে পানি পেতাম, এখন পাম্পটি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ডিজেল বা গ্যাস আমাদের কাছে নেই।
গাজা শহরের একটি এলাকায় বসবাসকারী ৫৩ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উম্মে তালাল আল-মাসরি পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, কেউ আমাদের কিছু বিতরণ করছে না। সবাই সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু আমরা কিছুই পাইনি। আমরা ডাল আর পাস্তা পিষে কিছু রুটি বানাচ্ছি, এর থেকে বেশি খুব একটা কিছু বানাতে পারছি না।
ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজায় সকল সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিলো এই যুক্তিতে যে তার আগে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। হামাস ত্রাণ চুরি করেছে বলেও অভিযোগ ছিল তাদের। তবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আইডিএফের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সতর্ক করতে শুরু করেছেন যে, ছিটমহলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
সূত্র : টাইমস অফ ইসরায়েল