অনলাইন
শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নিইনি: রিজওয়ানা হাসান
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৩৯ অপরাহ্ন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের মিটিংয়ের পরে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। আসলে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনটা মোটা দাগে আমাদের দায়িত্ব। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। একটা হলো-সংস্কার, আরেকটা বিচার, আর বাকিটা হলো-নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নিইনি। আরও দুটো দায়িত্ব আছে, সেগুলো আসলে আমরা পালন করতে পারছি কিনা। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যার যতরকম দাবি আছে, সব দাবি নিয়ে তারা রাস্তায় বসে যাচ্ছেন। রাস্তা আটকে দিচ্ছেন, একদম ঢাকার শহর অচল হয়ে পড়ছে। সেই অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। এগুলো আলোচনা করে আমরা চিন্তা করলাম। আমাদের এই দায়িত্বটা কিন্তু জাতীয় দায়িত্ব।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। এই দায়িত্বটা পালন করা তখনই আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে, যখন আমরা সকলের সহযোগিতা পাবো। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। প্রত্যাশা অনেকের থাকতে পারে, আমাকে তো একটা এনাবেলিং এনভায়রনমেন্ট থাকতে হবে প্রত্যাশাটা পূরণ করার জন্য। আমরা চিন্তা করেছি, আসলে আমরা পারছি কিনা, এই যে প্রতিবন্ধকতাগুলো হচ্ছে, বড় দাগে আমাদের তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য এই প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা কীভাবে মোকাবিলা করবো, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি কীভাবে মোকাবিলা করবো, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে, আমরা সকলে মিলে চিন্তা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যদি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, উনি একটা সময় দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও সুযোগ হওয়া উচিত ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে যে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব তো আছেই, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। ওনার যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি,ওটা আপনারা ওনার কাছ থেকে শুনবেন।’
চাপ আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘চাপ, হচ্ছেটা কী আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা, আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। ধরেন আপনি এখন এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন, সচিবালয় থেকে যমুনায় যাবেন, যেতে পারবেন না। কারণ রাস্তা বন্ধ। অনেক সমস্যা আছে, যেটা আলাপ-আলোচনা করলেই হয়ত করা যায়। চাপ হলো, আমাদের নিজেদের পারফর্মেন্স চাপ। আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না।’
রেজওয়ানা বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। যদি না পারি-আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ আছে, তাহলে দায়িত্ব পালন করাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকলো না।’
দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। রিফর্ম কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট দিয়েছে, সেটার ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। এটা কি পারা না?, এটা তো পারা। আমরা একটা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অবশ্যই হবে। সেটাও একটা পারা। আরেকটা হলো বিচার, ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুইটা। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক পর্যায় শুরু হবে।’
পাঠকের মতামত
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। এই পরিবর্তনের জন্যই সবাই ঐক্যমত হয়েছিল। এখন সব উল্টে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার( আদৌ নতুন সরকার করবে কিনা সন্দেহ আছে) এর পথে ধাবিত হলে যে বিপ্লবীরা বেঁচে আছে তাঁদের জন্য করুণ পরিণতি ডেকে আনছি না তো আমরা!!!
বাংলাদেশের মানুষ সেন্টমার্টিন আমেরিকাকে ইজারা দেওয়ার জন্য কি আপনাদেরকে দায়িত্বে বসিয়েছে? মায়ানমারের সঙ্গে প্রোক্সি ওয়ার বাঁধানোর জন্য বসিয়েছে? চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার জন্য বসিয়েছে?
মনে হয় নির্বাচন করাটা অপরাধ গুনার কাজ। তাহলে আপনি কিশের জন্য বসেছেন
Agreed
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে স্বৈটাচার পতনের আন্দোলন এটাই ইতিহাস বিশ কোটী মানুষ স্বাক্ষী।