ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

লোকসানে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স 

মানবজমিন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

আর্থিক সংকটে পাকিস্তান টালমাটাল। এ খবর পুরনো। কিন্তু নতুন খবর হলো জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) তার চেয়েও ভয়াবহ সংকটে। তাদের যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার চেয়ে কমপক্ষে ৫ গুন বেশি ঋণ এবং বিভিন্ন দায়বদ্ধতা। এর পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার। বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাবে শুধু গত অর্থবছরেই (২০২২-২৩) পিআইএ লোকসান দিয়েছে ২৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। এমন লোকসানের ফলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পিআইএ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের বেশ কিছু বিমান মাটি কামড়ে রানওয়েতে পড়ে আছে। অর্থাৎ তা কোনো অপারেশনে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে ডন রিপোর্ট করেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পিআইএর মূল কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করে দেয়া হতে পারে। 

গত সপ্তাহে বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রণালয় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হয়েছে, এই বিমান সংস্থা আর্থিক সংকটে হাঁসফাঁস করছে। এতে বলা হয়েছে এসব ঋণ রয়েছে ঋণদাতাদের কাছে, বিমান ভাড়া, জ্বালানি সরবরাহকারী, ইন্স্যুরেন্স, আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীণ অপারেটরদের কাছে। এমনকি বকেয়া আছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের কাছে। এমন অবস্থায় পিআইএর ১৩টি লিজ নেয়া বিমানের মধ্যে ৫টি মাটিতে অচল বসে আছে। আরও চারটি বিমান একই ভাগ্য বরণ করতে চলেছে। 

মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে বোয়িং এবং এয়ারবাসের খুচরা যন্ত্রাংশের সরবরাহ থাকবে না। এমন ভয়াবহ উদ্বেগের মধ্যে মন্ত্রণালয় অবিলম্বে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সে ২৩০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি তাৎক্ষণিকভাবে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আভ্যন্তরীণ এজেন্সিগুলোর জন্য শুল্ক, ট্যাক্স এবং সার্ভিস চার্জও স্থগিত করেছে। তবে ডন বলছে, এসব পদক্ষেপ একটি সুদৃঢ় এবং যোগ্য ব্যবসা পরিকল্পনার উপযোগী নয়। তবে পিআইএ’কে যদি পুনর্গঠন করা যায়, তাহলে হয়তো কিছুটা উন্নতি হতে পারে। কিন্তু তা করতে গেলে সময় লাগবে প্রায় আট মাস। 

১৯৯০এর দশক থেকেই ভয়াবহ লোকসান করে যাচ্ছে পিআইএ। আঞ্চলিক বিমান সংস্থা, অব্যবস্থাপনা এবং ফ্লাইট সম্প্রসারণের জন্য অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে এই বিমান সংস্থাটি হোঁচট খাচ্ছে। ২০২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পিআইএর ঋণ এবং দায়বদ্ধতার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫০ কোটি ডলার। এই অর্থ তার মোট সম্পদের ৫ গুনেরও বেশি। বলা হয়েছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর পিআইএর লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

পাঠকের মতামত

ভয়ের কোন কারণ নেই,এদেশেও সম্ভাবনা শতভাগ। যেখানে একটি বাচ্চা হাজার সিকিউরিটির জাল ভেদ করে নির্বিধায় এয়ার লাইন্সে ঢুকতে পারে, সেখানে বিদেশিরা এদেশে আসবে কিনা সন্দেহ।

khokon
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি/ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার আশঙ্কা

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status