বিশ্বজমিন
‘পারমাণবিক অধিকার থেকে পিছু হটবে না ইরান’
মানবজমিন ডেস্ক
(২০ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ৭:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

পরমাণু ইস্যুতে কথা বলতে কাতারের রাজধানী দোহায় মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ বদর আলবুসাইদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরগচি। এবারও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকারের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি ইরান। শনিবার তেহরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য যদি হয় ইরানকে পারমাণবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা তাহলে সেই দাবির পক্ষে কখনই পিছু হটবে না তেহরান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলছে তেহরান। এবার মধ্যস্থতাকারী দেশের ভূমিকায় আছে ওমান। রোববার কাতারের দোহায় ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আরাগচি একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র তেহরানকে তার পারমাণবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়, তাহলে আমি স্পষ্টভাবে বলছি তেহরান কখনই সে অধিকার থেকে পিছ পা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান যেন কোনো ধরনের পারমাণবিক কার্যক্রম অব্যাহত না রাখে। তবে তেহরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, এ বিষয়ে কোনো কথাই বলবে না তারা। কিন্তু শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে আগাতে চাইলে তেহরানকে পারমাণবিক বিষয়ক যেকোনো অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। এর আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৫ সালে সরিয়ে নিয়ে আসেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরান চুক্তিতে রাজি না হলে তেহরানে বোমা হামলা চালাবেন তিনি। পশ্চিমাদের অভিযোগ হচ্ছে- ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করার পর তা আরও ত্বরান্বিত করেছে তেহরান। তাদের অভিযোগ এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে রয়েছে ইরান। তবে পশ্চিমাদের এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দেশটি। তাদের দাবি বেসামরিক উদ্দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তারা। আরাগচি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধ করার অধিকার রয়েছে। ইরান সরল বিশ্বাসে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তেহরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকার বিষয় হলে চুক্তি করতে রাজি হবে ইরান। তবে যদি লক্ষ্য হয় ইরানের পারমাণবিক অধিকার সীমিত করা, তাহলে তেহরান কখনই তার অধিকার থেকে পিছু হটবে না।