বিশ্বজমিন
সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান: পাক আইএসপিআর
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ১২ মে ২০২৫, সোমবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ার করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। রোববার তিনি বলেছেন, যদি কখনও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব কিংবা ভৌগলিক অখণ্ডতা হুমকির সম্মুখীন হয়, তবে পাকিস্তান একটি সুসমন্বিত, প্রতিশোধমূলক ও কঠোর জবাব দেবে। এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ ও নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নেওয়াজের সঙ্গে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় বলেন, কেউ যেন কোনো ভ্রান্ত ধারণা না পোষণ করে যে আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে আমরা চুপ থাকব। আমাদের জবাব হবে সুপরিকল্পিত, সমন্বিত ও সিদ্ধান্তমূলক।
তিনি জানান, বুনইয়ান-উন-মারসুস নামে পরিচালিত প্রতিরক্ষামূলক অভিযানে পাকিস্তানি নাগরিকদের টার্গেট করার কারণে ব্যবহৃত ভারতের ২৬টি সামরিক ঘাঁটি ও অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতশাসিত অঞ্চল এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডের সুরাতগড়, সিরসা, আদমপুর, ভুজ, নালিয়া, বাথিন্ডা, বারনালা, হারওয়ারা, আওয়ান্টিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, মামুন, আম্বালা, উদমপুর এবং পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। তিনি বলেন, এসব ঘাঁটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, আদমপুর ও ভুজে ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ ব্যাটারি ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র, যেখান থেকে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে, তাও ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে থাকা ভারতের লজিস্টিক ও সমর্থনকেন্দ্র, যেমন উরি’র ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো এবং পুঞ্চে রাডার স্টেশন সেগুলোকেও টার্গেট করা হয়েছে।
ওদিকে আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসব পোস্ট থেকে নিরীহ নাগরিকদের উপর গোলাবর্ষণ ও ছোট অস্ত্রের অগ্রাসন চালানো হচ্ছিল, সেগুলোকেও লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের নির্ভুল হামলার ফলে শত্রু বাহিনী সাদা পতাকা তুলতে বাধ্য হয়েছে।
আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, আমরা আমাদের জাতির প্রতিশোধ নিয়েছি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বর্বর কর্মকাণ্ডের জবাব দিয়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেছি।
অপারেশনের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীর মধ্যে নিখুঁত সমন্বয় এবং রিয়েল-টাইম তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বহু স্তরে সমন্বিত হামলা পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, এটি ছিল নিখুঁত ট্রাই-সার্ভিস জয়েন্ট অপারেশনের উদাহরণ। এছাড়াও, পাকিস্তান ফতেহ সিরিজের এফ-১ ও এফ-২ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, দীর্ঘপাল্লার আর্টিলারি এবং সাইবার হামলার মাধ্যমে ভারতের যোগাযোগ ও সামরিক অবকাঠামোকে অস্থায়ীভাবে অকার্যকর করে তোলে।
তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের বেসামরিক এলাকায় ভীতি ছড়াতে চেয়েছিল। তবে পাকিস্তান তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ৮৪টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করে। তিনি জানান, পাকিস্তান নিজে কখনো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়নি। বরং ভারতীয় পক্ষ থেকে অনুরোধ আসার পর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে পাকিস্তান জবাব দিয়েছে।
ভারতীয় মিডিয়ার বিভ্রান্তি ও যুদ্ধোন্মাদনার জবাব
ডিজি আইএসপিআর বলেন, ভারতের সংবাদমাধ্যম মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, যেমন পাকিস্তান একজন ভারতীয় পাইলটকে বন্দি করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং প্রোপাগান্ডা। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ একপ্রকার ‘আত্মঘাতী’ পদক্ষেপ। পাকিস্তান অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে এবং সীমিত সামরিক জবাব দিয়েছে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের কোনো ক্ষতি না হয়।
বং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
পাঠকের মতামত
No Rajakar, My full family was AWL, but i pray for Pakistan As Muslim.
ধন্যবাদ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে - সন্ত্রাসী ভারতকে সমুচিত জবাব দেবার জন্য। হিন্দুত্ববাদী উগ্র সন্ত্রাসী ভারত ‘অকারণে’ সবসময়, সব আলোচনায় পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে থাকে। অথচ, বাস্তবতা হচ্ছে ভারত হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী রাস্ট্র। এই সন্ত্রাসী রাস্ট্র কানাডায় একজন কানাডিয়ানকে হত্যা করেছে, আমেরিকায়ও হত্যা করতে গিয়ে এফবিআই এর হাতে আটক হয়েছে। বাংলাদেশের হাতে ২০২৪ সালে পরাজিত ভারত, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাসায়ী হয়ে এবার পাকিস্তানের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়ে উচিৎ শিক্ষা পেলো। কিন্তু তারপরও মনে হয় না এই জাতি সুপথে ফিরে আসবো। ভারত এমন একটি দেশ - যার চারদিকে কোন একটি বন্ধু রাস্ট্র নেই। এমনকি হিন্দু রাস্ট্র নেপালও ভারতকে পছন্দ করে না।
ধন্যবাদ ভারতের বালখিল্য আচরণের উচিত জবাব দেওয়ার জন্য!!!