বিশ্বজমিন
হামলা চালিয়েছে ভারত, নিহত ২৬, পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
মানবজমিন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ৭ মে ২০২৫, বুধবার, ৭:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী একযোগে এই হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫ জন। পাকিস্তানের আইএসপিআরের ডিজি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। এদিকে জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের বিমানবাহিনীর ৫টি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। একই সঙ্গে একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। ভারত দাবি করেছে যে, তারা স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৪ মিনিটে পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের ভিতরে ‘সন্ত্রাসী’দের অবকাঠামোতে হামলা করেছে। এই অভিযান অব্যাহতভাবে মনিটরিং করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁন্দুর’। মোট ৯টি স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতের এ হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এর পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ হামলা চালাল ভারত। পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাপুরুষ শত্রু ভারত এখন থেকে কিছু সময় আগে ভাওয়ালপুরের আহমেদ ইস্ট এলাকার সুবহান্নাল্লাহ মসজিদ, কোটলি ও মুজাফ্ফরবাদের অন্তত তিন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে।’ হামলাগুলো ভারতের আকাশসীমা থেকে চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান এর সমুচিত জবাব দেবে উল্লেখ করে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘৃণ্য উসকানি জবাব ছাড়া পার পাবে না।’ তিনি জানান, আহমেদপুরে একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। কাছের একটি বাড়িও আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে একটি শিশু ও তার বাবা-মা আটকা পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কোটলিতেও একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। মুজাফ্ফরবাদে একটি সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। তাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানি বাহিনী স্থল ও আকাশপথে এই হামলার জবাব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে এই অভিযানে নিশানা করা হয়নি। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে বুধবার গভীর রাতে বড় ধরনের একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি সম্ভাব্য নিশানা ছিল মুজাফ্ফরাবাদের বিলাল মসজিদ। ওই মসজিদের পাশেই বসবাস করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, আমার খুব ঘুম পাচ্ছিল এমন সময় প্রথম বিস্ফোরণে আমার বাড়িটা কেঁপে ওঠে। আমি দৌড়ে রাস্তায় বের হই। সেখানে দেখি অন্যরাও একই কাজ করছে। আমরা তখনও বুঝে উঠতে পারিনি কী হচ্ছে। এর মধ্যেই আরও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও বিশৃংখলা দেখা দেয়।
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটি জায়গার আশপাশের বাসিন্দারা প্রাণ ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে আসেন। ওয়াহিদ বলেন, ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাদের প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদ বলেন, ‘বাচ্চারা কাঁদছে, মহিলারা দৌড়াদৌড়ি করছে, তাঁরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানিই না কী করব। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে, আর চারদিকে এক অজানা অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না একটি মসজিদ কেন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো। ওয়াহিদ বলেন, ‘এটা তো সাধারণ একটা মসজিদ ছিল, যেখানে আমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তাম। আমরা এই মসজিদ ঘিরে কখনো সন্দেহজনক কিছু দেখিনি।’
পাঠকের মতামত
ভারতের পাকিস্তানে আক্রমণ আমাদেরকেও ভারতের একটি হুঁশিয়ারি। আমাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কয়েকদিন আগে বললেন ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ করলে আমাদেরও উচিত হবে সেভেন সিষ্টার দখল করা। এ ধরনের উস্কানিমূলক কথাবার্তা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। ইসরাইলের মতো ভারতও মুসলমানদের পরম শত্রু। পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ভারতের সাথে লড়তে পারলেও আমাদের সেই ধরনের শক্তি নেই। ভারত আমাদের আক্রমণ করলে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের উচিত ১৮ বছর বয়স হলেই সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
গুজরাটের কসাই মোদি বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে বেপরোয়া হয়ে গেছে এখন পাকিস্তানের মসজিদ গুলো ভাঙ্গার জন্য নিশানা করছে তাই পাকিস্তানের এখন মোদির বাসস্থানে হামলা করা উচিত
পাকিস্তানের উচিত নির্দয় নির্মম নিষ্ঠুরতম হামলা করা, যার ফলশ্রুতিতে ভারত নামক রাষ্ট্র বিশ্ব মানচিত্র থেকে যেন অতীত হয়ে যায়, দক্ষিণ এশিয়ার বিষাক্ত সাপ নির্মুল করার এখনই উপযুক্ত সময়।
ভারতীয়রা দেখলাম পাকিস্তানি হামলার পর আন্দর্য উদযাপন করতে; ভারতীয়রাগো**মূ/ত্র খেয়ে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে আনন্দ উদযাপন করতেই পারে। অথচ তাদের যে, পাঁচটি বিমান ভূপাতিত এবং বহু হতাহত করা হয়েছে সে খবর কি তাদের আছে!!!
খায় গরুর পেশাব, বিক্রি করছে চা। এর কাছ থেকে কি আশা করেন ?
কোন প্রমাণ ছাড়াই ভারত পেহেলগামে হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছ। এখন আন্তর্জাতিক নিয়মের বাহিরে গিয়ে হামলা চালিয়েছে, এবার খেলা শুরু হবে। ভারত মুছে যাবে মানচিত্র থেকে।
গরুর মুত খাওয়া ভারতীয়দের মাথায় শুধু প্রতিবেশী দেশ গুলো কে কিভাবে লুট করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করবে এই চিন্তা।
Please stop war.
মোদি আর নেতানিয়াহু, ইন্ডিয়া আর ইসরাইল একে অপরের পরিপূরক।
ওদের রাফাল গুলুকে পাকিস্তান বিমান বাহিনী অকেজো করে দিয়েছে । তুরস্কের দেয়া গেম চেঞ্জার অস্ত্র গুলু এখনো পাকি রা ব্যবহার করে নি । কসাই মোদীর ঘুম হারাম ।
actually modi tar bertotha aral korar jonno erokom opokouso;er chintha r o aghe thekei kortechilo
ভারতের আগ্রাসী মনোভাব আর দাদা গিরির কারণে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে! ভারতের দাদা গিরি ও আগ্রাসী মনোভাব পরিহার করতে হবে অন্যথায় জারজ রাষ্ট্র ইসরায়েলের মতো ঘৃণিত রাষ্ট্রে পরিণত হবে!
যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। এই যুদ্ধে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।এবং আন্তর্জাতিক চাপে পরবে।
This is not wise work for India. The whole world will suffer for this.
যুদ্ধ হচ্ছে হিন্দু বনাম মুসলিম। মসজিদে হামলা তো হবেই। অবশ্য মুসলিমরা কখনো অন্যের উপাসনয়ালয়ে হামলা করে না। এটা শুধু মোদির মত বিশ্ব ধিকৃত ব্যক্তিরাই পারে।
কাশ্মিরে হামলা ছিলো সন্ত্রাসী মোদীর সাজানো । কিন্তু এতেই সে ফেসে যাবে । এই সুযোগে অনেক কিছু ঘটে যাবে ভারতের ভাগ্যে । প্রস্তুত থাকো বাংলাদেশ ।
চা ওয়ালা মুদি রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার কোন যোগ্যতাই রাখেনা। ভারতের পার্শ্ববর্তি কোন দেশ তাদের সাথে কোন সুসম্পর্ক নেই শুধু একজন অযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের কারনে। ভারতের জনগনের উচিৎ এই গো-মূত্র খাওয়া মুদিকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আমরা বাঙ্গালী শান্তিপ্রিয় মানুষ কোন যুদ্ধ চাইনা। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে সমযোতার ভিত্তিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা উচিৎ।
ইন্ডিয়া ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থায়। ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল ইলেকশন ঘনিয়ে আসলে বিজেপি আমাদের BAL থেকে শিখা একটা একটি জঙ্গী নাটক সাজায়। আর বরাবরের মত এখানে পাকিস্থান কে টার্গেট করা হয়। মোদী তুমি ফাঁসিতে জুলবে অপেক্ষা কর। আমারদের হাসু আপার মত।
ভারত নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনছে।ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই ভারত ভেঙে খান খান হবে।
তা হলে কি যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেল?