বিশ্বজমিন
মুক্তি পেলেন রুমিয়াসা
মানবজমিন ডেস্ক
(২০ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:২৪ অপরাহ্ন

ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লুইজিয়ানার বন্দি শিবিরে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন য্ক্তুরাষ্ট্রে পিএইচডি করা তুর্কি শিক্ষার্থী। যার নাম রুমিয়াসা অজতুর্ক। তিনি টাফটস বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষারত আছেন। ২৫শে মার্চ অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করে তাকে লুইজিয়ানার বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়। রুমিয়াসার সমর্থকরা বিশ^াস করেন, গাজা ও ইসরাইলের যুদ্ধের বিষয়ে টাফটস বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করার কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছে। তার আইনজীবীরা অবশ্য আটকের বিষয়টিকে বাকস্বাধীনতার ওপর দমন হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। শনিবার বসটন বিমানবন্দরে এসে রুমিয়াসা বলেন, কঠিন সময় পার করেছি। এবার পড়াশোনায় ফিরতে চাই। তিনি আরও বলেন, গত ৪৫ দিনে আমি আমার স্বাধীনতা ও পড়াশোনা দুটিই হারিয়েছি। তবে ওই সময়ে আমাকে যারা সমর্থন করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ম্যাসাচুসেটস এর সিনেটর এডওয়ার্ড মার্কি বলেন, স্বাগতম রুমিয়েসা। তুমি যেভাবে লড়াই করেছো তাতে লাখ লাখ মানুষ তোমাকে নিয়ে গর্বিত। রুমিয়াসা শুক্রবার ভিডিওর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। সেখানে তিনি নিজের স্বাস্থ্যজনিত জটিলতার বিষয়ে কথা বলেন। এছাড়া শিশু ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার ইচ্ছার কথাও ব্যক্ত করেন। বিচারক উইলিয়াম সেশনস তার জামিন মঞ্জুর করে বলেন, তিনি সমাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নন। বিচারক আরও বলেন, বেআইনিভাবে আটকের তার যে দাবি তা গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্ন উথাপন করে। এর মধ্যে বাকস্বাধীনতার অধিকারের সম্ভাব্য লঙ্ঘন উল্লেখযোগ্য। এদিকে রুমিয়াসাকে বন্দির ঘটনার মাধ্যম ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশী শিক্ষার্থী দমনের বিষয়টি পুনরায় সামনে এলো। শুধুমাত্র ফিলিস্তিনপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির কারণে শত শত বিদেশী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এমন একজন শিক্ষার্থী হলেন কলাম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। ৮ মার্চ ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির হাতে প্রথম আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন তিনি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের একজন মুখপাত্র কোনো প্রমাণ ছাড়াই রুমিয়াসার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সমর্থনের অভিযোগ আনেন। রুমিয়াসা অবশ্য বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে আমার আস্থা আছে। আমি মামলা চালিয়ে যাবো।