বিশ্বজমিন
চরম তাপমাত্রা ও বন্যায় বাংলাদেশসহ ৪ দেশ হারাবে ৬৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

চরম তাপমাত্রা এবং বন্যার কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার চারটি দেশ তৈরি পোশাক খাতে আয় হারাবে ৬৫০০ কোটি ডলার। একইসঙ্গে উচ্চ তাপত্রামায় কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। কারখানা থাকবে বন্ধ। শ্রোডারস এবং কর্নেল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বুধবার এ কথা বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে এ চারটি দেশ হলো বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনাম। গবেষণায় এই চারটি দেশ থেকে বৈশ্বিক খাতে অজ্ঞাত ৬টি ব্রান্ডের সরবরাহ চেইন আমলে নেয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে এই ৬টি ব্রান্ডের সবটাই বড় রকমের আঘাতপ্রাপ্ত হবে।
গবেষণার এই ফলাফলে থেকে দেখা যায়, তৈরি পোশাক খাত বড় রকমের আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হবে। বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিতে একটি জাগরণের সতর্কতা হিসেবে কাজ করতে হবে। কর্নেল গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জেসন জুড বলেন, আমরা যে-সব সরবরাহকারী এবং ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছি, তারা তীব্র গরম এবং বন্যার মতো এ দুটি বিষয়ে দৃষ্টিই দেননি। শিল্পে জলবায়ু বিষয়ক প্রতিক্রিয়া হলো প্রশমন, নির্গমন এবং রিসাইক্লিং করা।
শ্রোডারসের প্রধান অ্যাঙ্গাস বাউয়ের বলেন, এসব বিষয়ে তেমন ডাটা নেই বললেই চলে। কোনো কোনো তৈরি পোশাকের ব্রান্ড এই তথ্যটি পর্যন্ত প্রকাশ করছে না যে, তাদের কারখানাগুলো কোথায়। তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে ৭০,০০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনা করে শ্রোডারস। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এসব তথ্য প্রকাশের জন্য আরও বেশি সংযুক্ত হতে পারে তারা। তিনি সরবরাহকারী এবং পলিসি মেকারদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে কর্মীদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে কৌশল প্রণয়ন করা যায়। আনুমানিকভাবে গবেষকরা ভবিষ্যৎ তাপ ও বন্যা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে দেখার চেষ্টা করেছেন ‘জলবায়ু অভিযোজিত’ দৃশ্যকল্পে এবং ‘উচ্চ তাপমাত্রা এবং বন্যার’ দৃশ্যকল্পে কি ঘটতে পারে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে চরম তাপমাত্রায় কর্মীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাবেন। এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে আসবে বৈশ্বিক তাপ ও আর্দ্রতা বৃদ্ধির ফলে।
বন্যার কারণে চারটি দেশ কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। এ চারটি দেশ বিশ্বের মোট তৈরি পোশাকের শতকরা ১৮ ভাগ সরবরাহ দেয়। তৈরি পোশাক এবং পাদুকা কারখানায় কাজ করেন এক কোটি ৬ লাখ শ্রমিক। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা কমে যাবে ৬৫০০ কোটি ডলার। যা শতকরা ২২ ভাগ অবনতির সমান। কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে ৯ লাখ ৫০ হাজারে কম। ২০৫০ সাল নাগাদ হারানো রপ্তানি আয় দাঁড়াবে শতকরা ৬৮.৬ ভাগ। সৃষ্টি হবে ৮৬ লাখ ৪০ হাজারেরও কম কর্মক্ষেত্র।
পাঠকের মতামত
বাব্বাহ, মানবজমিন ডেস্ক তো বেশ ভালোই ভবিষ্যত্বানী করতে পারে। এর আগে যেমন, বিবিসি ১৮৯৮ সালের বন্যায় আড়াই কোটি মানুষ কে মেরে ফেলেছিল। গত করোনায় আমেরিকা আমাদের দেশের ৮ কোটি মানুষ কে মেরে ফেলেছিল। আজ থেকে ২ বছর আগে আমাদের দেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলেছিলাম। আরও কত কি করে ফেলছি। কিন্তু সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে আয়েশ করে বসে রিপোর্ট তৈরি করে ফেলি আমরা।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন
বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত
পিটার হাসের নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়/ কূটনীতিকদের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরো নিষেধাজ্ঞা
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ এমপির চিঠি/ বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান
ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার/ আমরা চাই বাংলাদেশে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]