বিশ্বজমিন
বাংলাদেশের বিষয়ে ব্লিঙ্কেনের পুরো বিবৃতি
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ দিন আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার ঘোষণাটি বুধবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি বলেন, আজ আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন দিয়ে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) (“৩সি”) এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তারা, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও এই নতুন ভিসা নীতির আওতায় পড়বেন।
গত ৩রা মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়। ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা-এসকল কাজকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় বাধা হিসেবে বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়া-প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যারা এগিয়ে নিতে চান, তাদের সমর্থন দিতেই যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি ঘোষণা করছে।
পাঠকের মতামত
ছি:ছি: ধিক্কার জানাই যে সমস্ত অভিসপ্ত লোক গুলোর কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে ।
সঠিক রোগ ডাক্তার ধরতে পেরেছে, তাই প্রেসক্রিপশন দেয়ার সাথে সাথেই রোগের ভাইরাস রোগীদেরে কাবু করতে পারছে কম। ভুলে যাওয়া ভোটকে মানুষ ফের মনে করতে পারছে। ভোটকেন্দ্রে যাবার সাহস সঞ্চয় করছে। তারপরও শেষটা দেখেন। দানবের স্বভাব কি সহজে যাবে, যদিও মুগুর শক্ত হলে উপায় নেই। বিদেশে যখন পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে জান বাাঁচায় আর দেশে ফিরে বুক ফুলিয়ে বাটপারির ডুগডুগি বাজায়। প্রতারকী আচরণে চরম বৈপরিত্য!
শেষ প্যারাতে অতীতে এ অপরাধী সরকার এসব নামে দাগে করেছে বলে এসবের অবতারণা। ভাবতে আশ্চর্য লাগে কিসের লোভে বিবেক সম্পন্ন মানুষ অপরাস্তাতে ঘুরে। খাদ্য ব্যতীত কোন সম্পদই উদরস্থ করা যায় না। এরাই দুনিয়ার চরম হতভাগা যারা দুইকুলেরই হিসাব বুঝে কম। বালিশ দূর্নীতি, পর্দা দুর্নীতি, রেলওয়ে প্রকল্পের দুর্নীতি, পুলিশ, আইন বিচার বিভাগকে কবজা করার মিথ্যাচারী দুনীর্তি, গুম খুন, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনো বানিজ্য, ধর্ষণ, মজুতদারী, নেশাখোরী, লুটপাট, প্রশিক্ষণের নামে আনন্দ ভ্রমণ, জনতার সম্পদ তসরুফ, সব পাই পাই হিসাব দিতে হবে সোনাচান্দ পাখিদের। জাতির মেগা সাধুরা ময়দানে নেই দেখেই মহা আয়োজনে এরা জাতির অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। আমরা মানুষরা প্রতিনিধিত্ব করছি আল্লাহর, আমরাই তার খলিফা তার আদেশ মানছি, তার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করছি। সব পাই পাই হিসাব তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আদম আর ইবলিসের গল্পটি দিয়ে মানব জীবনের শুরুতে আল্লাহ এ গল্প বলে দুনিয়ার খেলা শুরু করেছেন। এখানে এ দুজনার গল্প সাজানোর পেছনে বিধাতা গভীর প্রজ্ঞার মাধ্যমে বিবেক সম্পন্ন মানব সম্প্রদায়ের চিন্তাশীলদের কাছে ম্যাসেজ বিলি করেছেন আর বারে বারে বলেছেন তোমাদের উভয়ের বিচার হবে। সব সুকর্ম ও কুকর্মের জবাব আল্লাহর কাছে দিতেই হবে। দুনিয়ার পাট পার হলেও ওটি রইবে জেগে। সমগ্র জাতিকে ডাকাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ঘরে সিঁদেল চোর ঢুকার পর কি নাক ডেকে ঘুমাবেন। গোটা জাতির পাপ স্থলণের এখনি সময়। ময়দানে নেমে দুষ্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। এরা জাতির প্রকাশ্য শত্রু। ধন্যবাদ দূরের দেশও যে ওটি আঁচ করতে পেরেছে, এ ক্ষেত্রে ধন্যবাদ তাদের পাওনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নির্বাচনকালীন সময়ে কেয়ারটেকার বা দল নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অপশাসক আওয়ামীলীগকে চাপ দেওয়া। কারণ সকল নির্বাচনী সমস্যার মুল কেন্দ্র বিন্দু হলো নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করা। সংবিধানে যুক্ত কিংবা সকল রাজনৈতিক দলের সমযোতার ভিত্তিতে আপদকালীন বা সংকটকালীন সময় থেকে উত্তরণে নির্বাচন কালীন দল নিরপেক্ষ সরকার প্রবর্তনকে ঘোষনা পত্রের মাধ্যমে গঠনের তাগিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই দিতে হবে নয়তো পৃথিবীর কারো কথা শুনতে বর্তমান স্বৈরশাসক বিন্দুমাত্র প্রস্তুত নয়।