শেষের পাতা
যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারমার্চ মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১ হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সময় রেলপথে ৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৬৪১টি দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৫৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ও নিহতের ৪১ দশমিক ১ শতাংশ এবং আহতের ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিভাগে। ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাখ দখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপোরোয়াভাবে যানবাহন চালানোকে।
দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরি।