শেষের পাতা
জুঁইকে ধর্ষণের পর হত্যা
লোমহর্ষক বর্ণনা চার কিশোর ও এক যুবকের
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
নাটোরের বড়াইগ্রামের আলোচিত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা আক্তার জুঁই (৭)কে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের জন্য যৌনকর্মী ও নর্তকী না পেয়ে ৪ কিশোর ও ১ যুবক জুঁইকে বেছে নেয়। বিকাল ৫টার দিকে বাড়ির পাশে আম বাগানে আম কুড়াতে গেলে বাগানের মধ্যেই নেশার আসরে থাকা ওই ৫ জন জুঁইকে দেখতে পায়। তারা জোরপূর্বক জুঁই’র মুখ চেপে ধরে কোলে উঠিয়ে পাশের কলা বাগানে নিয়ে যায়। মধ্য রাত পর্যন্ত তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে জুঁই অজ্ঞান হয়ে পড়লে পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। লাশ যেনো কেউ চিনতে না পারে তার জন্য ট্রাক্টর থেকে আনা ব্যাটারির এসিড দিয়ে মুখমণ্ডল পোড়ানোর চেষ্টা করে। নির্মম ও পৈশাচিক এই ঘটনার ৫ দিনের মাথায় বড়াইগ্রাম থানা, চাটমোহর থানা ও নাটোর ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পুলিশের কাছে উপরোক্ত বিবরণ তুলে ধরে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম।
অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন হলো- বড়াইগ্রাম উপজেলার দিয়াড়গাড়ফা গ্রামের শাহীন আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৩), গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে শেখ সাদী (১৬), শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫) এবং গাড়ফা দক্ষিণপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন (১৬)। এদের মধ্যে সিয়াম স্থানীয় ডিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, শেখ সাদী ও আব্দুল্লাহ অপকর্মের দায়ে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত। সোহেল বিবাহিত ও দিনমজুর এবং সাকিব ট্রাক্টর চালকের সহকারী।
তিনি আরও বলেন, যুবক সোহেল ও ৩ কিশোর শেখ সাদী, আব্দুল্লাহ, সাকিব পহেলা বৈশাখের আনন্দ করার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেরা টাকা তুলে যৌনকর্মী ও নর্তকী ভাড়া করার চেষ্টা করে এবং নেশাদ্রব্য গাঁজা কিনে। তারা যৌন উত্তেজক ওষুধও সেবন করে। ঘটনার দিন বিকালে তারা জুঁইয়ের বাড়ির পাশের আমবাগানে বসে গাঁজা সেবন করছিল। হঠাৎ জুঁই দাদীর বাড়ি থেকে বেড়ানো শেষে সেখানে আম কুড়াতে যায়। এ সময় শেখ সাদী জুঁইকে জোরপূর্বক কোলে তুলে পাশেই দুলালের কলাবাগানে নিয়ে যায় এবং চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তারা শিশুটিকে ধরাধরি করে পাশের ভুট্টার জমিতে নিয়ে যাওয়ার সময় জুঁই’র বাড়ির পাশে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসা সিয়াম বিষয়টি দেখে ফেলে। পরে তারা সিয়ামকেও প্রলুব্ধ করে শিশুটিকে পুনরায় ধর্ষণ করায়। তারা দীর্ঘসময় জুঁই’র শরীর নিয়ে আদিম অসভ্যতায় মেতে ওঠে। এরপর তারা জুঁইয়ের লাল রঙের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে এবং ঘাড় মটকে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ দিয়ে তার মুখ ঝলসে দেয়। পরে তারা ভুট্টার জমিতে বিবস্ত্র লাশটি উপুড় করে ফেলে রেখে চলে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই এপ্রিল দাদীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয় বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের শিশুকন্যা জুঁই। পরদিন বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা ক্ষেতে তার বিবস্ত্র ও মুখমণ্ডল ঝলসানো লাশ পাওয়া যায়। রাতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। জুঁই’র ওপর এই নির্মমতা ও পৈশাচিকতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে নাটোরের সর্বস্তরের মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতেও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মাঠে নামে। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৫ জনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
পাঠকের মতামত
এদেরকে প্রকাশ্য দিবালোকে জুতিয়ে পিঠের চামড়া তুলে ফেলা হোক। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করছি এদেরকে পিটিয়ে ... মেরে ফেলার জন্যে। সরকারি আইনে আর পোষাচ্ছে না। নাহলে এই জানোয়ারগুলি এসব করার সাহস পায় কিভাবে? দেশের জনগণ এখন নিজেদের আইন প্রয়োগ করবে এটাই সময়ের দাবী।
এরা বেঁঁচে থাকলে সমাজ থেকে আর অপরাধ দূরকরা যাবে না। সমাজ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। ওদের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু সকলের কাম্য। কোন দয়া দেখালে তা হবে সমাজের সভ্য মানুষদের জন্য অবিচার ও শাস্তি।
আর কতো! কিশোরের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ধর্ষণের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আইনের গ্যারাকলে আর বয়সের দোহাই দিয়ে সমাজটাকে গোল্লায় দিছেন
ধর্ষণের শাস্তি জনসমক্ষে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত,
খুনীদের ফাসি কার্যকর করা হউক। আইনজীবি ভাই বোনদের কে বলছি, এমন জানোয়ারদের পক্ষে দাড়িয়ে রোজগারকৃত টাকা পরিবারের লোকজনের জন্য ব্যয় করবেন না, প্রয়োজনে না খেয়ে থাকুন, মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম রুজির ফায়সালা করবেন।
No excuse, punishment anticipated.
এরা বেঁঁচে থাকলে সমাজ থেকে আর অপরাধ দূরকরা যাবে না। সমাজ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। ওদের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু সকলের কাম্য। কোন দয়া দেখালে তা হবে সমাজের সভ্য মানুষদের জন্য অবিচার ও শাস্তি।
ওরা শিশু জুঁইকে যে ভাবে হত্যা করেছে তাদেরও সে ভাবে হত্যা করার দাবী জানাচ্ছি।
পিশাচ গুলির ফঁসি দেয়া হোক জনতার সামনে।
পিশাচ গুলির ফঁসি দেয়া হোক জনতার সামনে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।
কে একমত নয় "এদের গলা কেটে হত্যা করুক এখনই" ।
এদের আর কি হবে। এরা ত সবাই কিশোর, নান্না মুন্না বাচ্চা, এদের সংশোধন করে সমাজে আরও বড় অপরাধ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক।
Reporter don’t have strong language power. Poor communication
লাশ পঁচে যাওয়ার আগে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে
খুনীদের ফাসি চাই
ধর্ষণ করতে পারে ! সে কিশোর হয় কি করে ? এটা প্রাকৃতিক ক্ষমতার ব্যাপার। আমার মনে হয়, সে যুবকেরও বেশী !