শেষের পাতা
সংবাদপত্রের গুণগত মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সংবাদপত্রের গুণগত মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার। এই টাস্কফোর্স স্বচ্ছতার সঙ্গে সংবাদপত্রের প্রকৃত প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণসহ সংবাদপত্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে।
সোমবার তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) অংশীজনের সভায় উপদেষ্টা একথা বলেন।
সরকারের নীতিমালা মেনে সংবাদপত্র প্রকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপদেষ্টা বলেন, যে-সব সংবাদপত্র সরকারি নীতিমালা মেনে প্রকাশিত হবে, সেসব সংবাদপত্র বিজ্ঞাপনসহ সরকারি সুবিধা পাবে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্যাক্স দেয় কিনা, সে বিষয়টিও যাচাই করা প্রয়োজন। সরকার কোনো সংবাদপত্র বন্ধ করতে চায় না-উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রী-এমপি বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের মালিক হয়েছেন। এসব গণমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যে-সব সংবাদপত্রের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা থাকবে না, সেসব সংবাদপত্রকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা উচিত নয়। তিনি ইংরেজি সংবাদপত্রের জন্য পৃথক নীতিমালা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কোনো সংবাদপত্র বন্ধ না করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম বলেন, সংবাদপত্র নিরীক্ষা-ব্যবস্থা সংস্কার করা প্রয়োজন। ডিএফপি যেন চাপমুক্ত হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সংবাদপত্রের প্রকৃত প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ, সংবাদপত্র নিরীক্ষা-ব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, প্রথম আলো’র নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস, দৈনিক নয়াদিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলীসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
আগে সাংবাদিকদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে যা সাদৌ সম্ভব হবে কিনা। বেশিরভাগ সাংবাদিক এ দেশের মানুষের মূল্যবোধ বিরোধী। সংবাদের হেডলাইন দেখলেই বোঝা যায়। মনে হয় তাদের মাথা কেউ কিনে ফেলেছে।
আমাব দেশের প্রতিনিধি কোথায়?