বিশ্বজমিন
সোমবার ফিলিপাইনে মধ্যবর্তী নির্বাচন, সারা দুতের্তের ভাগ্য পরীক্ষা
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৫৬ অপরাহ্ন

সোমবার ফিলিপাইনে মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের ৩১৭ আসনের সবটাতে এবং ২৪ আসনের সিনেটের মধ্যে ১২টিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাহী বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ বিভাগের জন্যও হবে স্থানীয় নির্বাচন। এতে ভোট দেবেন ৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার। নির্বাচনে ব্যালটে নাম নেই সাবেক প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তের। নির্বাচনের ফল তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবনের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলবে। সারা দুতের্তে বর্তমানে ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই পদে তার দায়িত্ব এবং ভবিষ্যতে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তার পুরোটাই নির্ভর করছে এই নির্বাচনের ফলের ওপর। কারণ, সিনেটে আইণপ্রণেতারা তার রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাকে জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ৪৬ বছর বয়সী সারা দুতের্তে ২০০৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে একজন আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। নিজেদের জন্মশহর ডাভাওয়ে তার পিতার উপমেয়র হিসেবে তিনি প্রথম নির্বাচিত হন। তার পরিবারে তাকে ‘আলফা’ ক্যারেক্টারের বলে বর্ণনা করেছেন পিতা রড্রিগো দুতের্তে।
উল্লেখ্য, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে রড্রিগো দুতের্তে বিপুল পরিমাণ মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছেন। এ জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিনি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধীনে গ্রেপ্তার অবস্থায় রয়েছেন। পিতার মতো একই রকম অভ্যাস তারও আছে বলে পরিচিত তিনি। তিনিও বিরাট আকারের মোটরবাইক চালাতে পছন্দ করেন। একবার তার অনুরোধ রাখতে প্রত্যাখ্যান করার পর কোর্টের এক কর্মকর্তার মুখে ঘুষি মেরে দেন সারা দুতের্তে। সেই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়। ২০০৯ সালে ম্যানিলায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের তারবার্তা ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস। তাতে সারা দুতের্তেকে তার পিতার মতো কঠোর মনের মানুষ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০১০ সালে ডাভোসে তার পিতার স্থলে প্রথম নারী মেয়র হিসেবে অধিষ্ঠিত হন তিনি। তারপর ২০২১ সালে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের বছর তিনি আরেক রাজনৈতিক উত্তরসুরি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে যৌথ টিকেটে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত হয় ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র হবেন প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী। আর সারা দুতের্তে হবেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল যে, ২০২৮ সালের নির্বাচনে সারা দুতের্তে হবেন প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী। তাদের এই কৌশল কাজে দেয় এবং তারা ভূমিধস জয় পান। এরপর তাদের মধ্যে দ্রুতই ফাটল দেখা যেতে থাকে। সারা দুতের্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ পছন্দ করে বসেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একসময় সারা দুতের্তের পিতা রড্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে গ্রেপ্তার করে সোপর্দ করেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।