খেলা
ইউরোপের বাইরে নক্ষত্রপতন, ছিটকে গেলেন মেসি-রোনালদো
স্পোর্টস ডেস্ক
(১৫ ঘন্টা আগে) ১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩০ অপরাহ্ন

ইউরোপে শেষ হয়েছে এক থ্রিলার রাতের। একসময় এই চ্যাম্পিয়নস লীগে ছড়ি ঘুরিয়েছেন যারা, সেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি বাদ পড়েছেন নিজ নিজ দলের মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা থেকে। রাতে হতাশায় ডুবেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা আর সকালে আর্জেন্টাইন জাদুকর। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে জাপানিজ ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্তেলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে ছিটকে গেছে আল নাসর। আজ সকালে কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিতে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে ফিরতে লেগে ৩-১ আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে হেরে বাদ গেছে ইন্টার মায়ামি।
মেসি আর রোনালদো দুজনই হেরেছেন যার যার ঘরের মাঠে। কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে শেষ বাঁশি বাজার পর রোনালদো যেভাবে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে নিলেন, সেটি দেখে যেকোনো ফুটবল ভক্তেরই খারাপ লাগার কথা। ঘরের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করে রোনালদোরাই। ২১টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে ছিল স্বাগতিকদের। ম্যাচজুড়ে কেবল ২৫ শতাংশ বলের দখল পাওয়া কাওয়াসাকি ৯টির মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি। ম্যাচের দশম মিনিটে তাতসুয়া ইতোর গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ২৮তম মিনিটে সেটি শোধ করেন সাদিও মানে। বিরতির মিনিট চারেক আগে ফের কাওয়াসাকিকে এগিয়ে নেন ইয়োতো ওজেকি। মাঠে ফিরে ৭৬তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন আকিহিরো লেনাগা। ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান কমান নাসরের আয়মান ইয়াহিয়া। যোগ করা পঞ্চম মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ অধিনায়ক। সেই হতাশাতেই হয়তো ম্যাচের পর মাঝমাঠের বৃত্তের ভেতরে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গেই কথা বলছিলেন রোনালদো। এটি স্বাভাবিক যদিও। কেননা সেই ২০২২-এ সৌদি প্রো লীগের কাপটিতে এসে এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিরোপা জেতা হলো না এই ৪০ বছর বয়সী ফুটবলারের। একই গ্লানিতে ডুবেছেন লিওনেল মেসিও। প্রথম লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইন্টার মায়ামিকে চেজ স্টেডিয়ামে নবম মিনিটে এগিয়ে নেন জর্দি আলবা। তবে বিরতির পর মেসিদের ঘিরে ধরে হতাশার কালো মেঘ। এক-এক করে তিনটি গোল ঢুকে মায়ামির জালে। আর্জেন্টাইন মহাতারকার বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচই জিতল ভ্যাঙ্কুভার। শেষ বাঁশি বাজার পর মেসির চেহারাতেও ভেসে উঠলো একই গ্লানির ছাপ। চ্যাম্পিয়নস লীগ জ্বরে যখন পুরো ইউরোপ কাবু, তখন রোনালদো আর মেসি মাঠ ছাড়লেন মলিন বদনে।