খেলা
ফিরেই গোল রোনালদোর, সেমিতে আল নাসর
স্পোর্টস ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১২:৩১ অপরাহ্ন

সৌদি প্রো লীগের ক্লাব আল নাসরের সবশেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। লীগের সেই ম্যাচটিতে পর্তুগিজ মহাতারকাকে ছাড়াই জিতে নেয় নাসর। শনিবার মাঠে ফিরেই গোল পেলেন রোনালদো। ৪-১ গোলে জাপানিজ ক্লাব ইয়োকোহামা এফ মারিনোসকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে সৌদির ক্লাবটি।
আল নাসরের হয়ে প্রথম বড় কোনো ট্রফির মিশনে আছেন রোনালদো। দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আল নাসর অধিনায়ক। দারুণ নৈপুণ্যে এর আগে প্রথম সুযোগটিও তৈরি করে দেন এই ৪০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মার্সেলো ব্রোজোভিচের পাস ব্যাক হিলে তাকেই ফিরিয়ে দেন রোনালদো। তবে এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের শট রুখে দেন ইয়োকোহামা গোলকিপার পার্ক ইল-গিউ। প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী গোলটি আসে ২৭তম মিনিটে। লক্ষ্যভেদ করেন শীতকালীন দলবদলে নাসরে যোগ দেয়া জন দুরান । মিনিট চারেকের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে। বিরতির বাঁশি বাজার সাত মিনিট আগে স্কোরশিটে নাম তোলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ বারের ব্যালন ডি অর জয়ী ফুটবলার। চলতি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগ মৌসুমে ৭ ম্যাচে এই নিয়ে অষ্টম গোল করলেন রোনালদো। যৌথভাবে শীর্ষস্থানে থাকা রিয়াদ মাহরেজ, সালেম আল দাওয়াসিরি, অ্যান্ডারসন ও জসির আসানিকে ধরতে দরকার আর এক গোল। বিরতির পর মাঠে ফিরে ৪৯তম মিনিটে রোনালদোর প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগে নিজের দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দুরান। চার মিনিট পর ইয়োকোহামার একমাত্র গোলটি করেন কোতা ওয়াতানাবায়ে। সেমিফাইনাল এক প্রকার নিশ্চিত জেনেই হয়তো ৬৬তম মিনিটে রোনালদোকে বদলি করেন কোন স্টেফানো পিওলি। এর মিনিট সাতেকের মধ্যে দশ জনে পরিণত হয় জাপানিজ ক্লাবটি। দু’টি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন একমাত্র গোলদাতা ওয়াতানাবেকে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরের মতো ছবি পোস্ট করেন রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লেখেন, ‘আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছি।’ যদিও রোনালদোর বিজ্ঞাপন বোর্ডের উপরে বসে তোলা ছবিটি দেখে রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের মন কিছুটা কেমন করার কথা। ২০১৭-এর চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনালে পিছিয়ে থাকা রিয়ালকে দ্বিতীয় লেগে হ্যাটট্রিক করে ফাইনালে নিয়ে যান রোনালদো। হ্যাটট্রিক গোলটার পর ঠিক এভাবেই পা ঝুলিয়ে বসে হাসিমুখে উদযাপন করেছিলেন তিনি।