খেলা
৭ ছক্কার ঝড়ে ২ বছর পর তামিমের সেঞ্চুরি
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
আগের দিনই বলেছিলেন, যেভাবে খেলছেন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। আরও দায়িত্ব নিতে হবে। ঠিক পরের দিনই ব্যাট হাতে তুললেন ঝড়। এবারের ডিপিএলে শুরু থেকে রান পেলেও সেঞ্চুরির দেখা মিলছিল না। সেই আক্ষেপ দূর হলো গতকাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তামিমের ব্যাট থেকে আসে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি। ১৩০ রানের লক্ষ্যে একাই করেন ১০৩ রান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের নবম রাউন্ডে গতকাল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৩০ রান তাড়ায় ১০ উইকেটে জিতেছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। এই জয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় রূপগঞ্জের অবস্থান চতুর্থ। সমান ম্যাচে দুই জয়ে দশ নম্বরে পারটেক্স। ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৩ রান করা তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রান তাড়ায় এদিন পারটেক্সের বোলারদের নিয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতে ওঠেন তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। চতুর্থ ওভারে তৌফিক আহমেদের বল দুটি চারের পর ওড়ান দুই ছক্কায়। দুই ওভার পর আলাউদ্দিন বাবুর বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লং অফ দিয়ে মারা ছক্কায় ২৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তামিম। এরপর পরের ৫০ করতে ৩৩ বল লাগে এই বাঁহাতি ওপেনারের। মোহাম্মদ রাকিবের বলে বাউন্ডারি মেরে নিজের সেঞ্চুরি ও দলের জয় নিশ্চিত করেন তামিম। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তামিমের চতুর্থ সেঞ্চুরি। প্রায় দুই বছর ও ৪৬ ইনিংস পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার। এর আগে ২০২৩ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ১০৬ রান করেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। চলতি লীগে ছন্দেই আছেন তামিম, ফিফটি করেছেন ৩ ম্যাচে। তবে কোনো ম্যাচেই ৭০ এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। ফলে শুরু ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি। তবে একদিন পরই নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন তামিম। লীগে এখন পর্যন্ত ৮ ইনিংসে ৭৬.৮০ গড়ে তানজিদের সংগ্রহ ৩৮৪ রান। ধারাবাহিকভাবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪৩.২৮ স্ট্রাইক রেটে এই রান করেছেন। লিগে অন্তত আড়াইশ’ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি।
আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ৫৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে লিজেন্ডসের অফ স্পিনার শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিতে সামনেই এগোতে পারেনি পারটেক্স। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিন নম্বরে নামা রুবেল মিয়া। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজার শিকার ২টি করে উইকেট।