খেলা
শিলংয়ে নানা বাধার মুখে ফুটবলাররা
সামন হোসেন শিলং থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৬ অপরাহ্ন

শিলং উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জেলার একটি শহর। যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে ঠান্ডাও প্রচুর। দিনে তাপমাত্রা আঠার বিশ ডিগ্রি থাকলে সন্ধ্যায় তা নেমে দাড়ায় তের চৌদ্দতে। এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ম্যাচের পাঁচদিন আগে দল নিয়ে শিলং আসেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে তার এই আগমন মোটেও সুখকর হয়নি। শিলংয়ে আসার পর থেকে একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই আছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হয়ে শিলংয়ে আসার সময় ফুটবলারদের লাগেজ পেতে অনেকটা দেরি হয়। হামজা চৌধুরীসহ ১৩ ফুটবলারতো কলকাতা বিমানবন্দরে লাগেজই পাননি। দুপুরে টিম হোটেলে উঠলেও তারা লাগেজ পেয়েছেন মধ্যরাতে। এছাড়া আগেই বুকিং করে রাখা হোটেলেও পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা না থাকায় জামালÑতপুদের লবিতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। এরপর অনুশীলনের মাঠ নিয়ে হচ্ছে নাটকীয়তা।
শুক্রবার বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে উঁচু-নিচু, অসমান মাঠে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা যেটাকে প্রস্তুতির জন্য আদর্শ মাঠ মনে করেননি। ঘাসের মাঠে ম্যাচ হলেও শনিবার বাংলাদেশ দলকে অনুশীলন করতে দেয়া হয়েছে টার্ফে। বাংলাদেশ চেয়েছিল মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে, কিন্তু অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি দেয়নি। ভারত অবশ্য জহুরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের শনিবারের অনুশীলনের সময় নিয়েও ছিল নাটকীয়তা। শুরুতে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় দিলেও তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়।
এসব ঘটনায় বিরক্ত পুরো টিম। তবে এসব ঝামেলার জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি টার্ফে অনুশীলন করলে ইনজুরির প্রবণতা থাকে। তাই আমরা ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সেটা দেয়নি। তারা বলেছিল আগের দিনের মাঠে করতে, আমরা রাজি হয়নি। তবে আমরা আগে থেকেই এজন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা ছেলেদের আগেই এই মেসেজ দিয়ে রেখেছিলাম। এখানে এমনসব ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এগুলো নিয়ে ভাবছি না।’
শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন বিরক্ত আর লুকাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। আমাদের আজ (শনিবার) অনুশীলন করার কথা ছিল সাড়ে ৫টায়, সাড়ে চারটার দিকে আমাদের মিটিং ছিল, সেটা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। তখন কোচ আমাদের বলেন, অনুশীলন সাড়ে ৭টায়। এতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে, কেন না, যে সময় আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার কথা, সেটা আমরা যেতে পারছি না।’
আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাচ বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বেও ম্যাচে জহুরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা হামজা চৌধুরীর। ভারত ম্যাচে হামজার সঙ্গে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলার সম্ভাবনা আছে মোহাম্মদ হৃদয়ের। শনিবার জহুরলাল নেহেরু স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টার্ফের মাঠে শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে হামজা সর্ম্পকে হৃদয় বলেন,‘ ’সবসময় ইতিবাচকভাবে আমরা সবাই সবার সাথে কথা বলছি। যেভাবে আমরা মাঠে ফুটবল খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল হবে, সেটা নিয়েই কথা বলছি। হামজা ভাইকে সবসময় জিজ্ঞেস করছি, কি করলে ভালো হয়, কোনটা আমাদের জন্য সেরা, যেহেতু একই সাথে মিডফিল্ড পজিশনে আমরা খেলছি, সবকিছু ইতিবাচক আছে।’ হামজার সঙ্গে সময়টা বেশ উপভোগ করছেন জানিয়ে হৃদয় বলেণ,’আসলে উনাকে (হামজা) নিয়ে যদি বলতে চাই, যদি উনাকে আমাকে ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে আমি তাকে ১০০ তে ১০০-ই দিব। কেননা, আমাদের আর উনার মানে অনেক পার্থক্য।’
পাঠকের মতামত
ভারত যখন বাংলাদেশে ফিরতি ম্যাচ খেলতে আসবে আমরা ভারতীয়দের গাবতলীর গরুর মাঠে অনুশীলন করতে দিবো। অবশ্য গাবতলীর গরুর মাঠ ও ভারতের জন্য বেশি ।
ভারতের কাছ থেকে আর কি ভালো আশা করা যায়, কুত্তার লেজ কি কখনো সোজা হয়। জাত যাদের খারাপ চুরি করা তাদের স্বভাব
India is as always chotolok. Ader shathe na khele Europe er desher shathe taka diye friendly match khelle Hamza team onek valo korbe.
এসব করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। বাংলাদেশ দলকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেই ডিস্টার্বিং এর এই পরিকল্পনা