খেলা
‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়’ মন্তব্য করে ফের আলোচনায় সাকিব
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মাঠে কিংবা বাইরে তাকে নিয়ে আলোচনা লেগেই থাকে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বড় এক অংশ জুড়ে তিনি নিজ যোগ্যতায় ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডারদের একজন। আবার তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ফিক্সিং ইস্যু। ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধও হয়েছেন তিনি। মাঠের বাইরে সবশেষ তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার সচল থাকা অবস্থায়ই বনে যান সংসদ সদস্য। আর এই ঘটনাই তার জীবনে এসেছে অভিশাপ হয়ে। তার দল আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের সরকার পতন হয়েছে আন্দোলনে। এরপর সাকিব আর দেশে ফিরতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা মামলা। এরপর শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতেও তার নাম যুক্ত হয়েছে। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবশেষ তিনি দেশের হয়ে খেলেছেন কানপুর টেস্টে। দেশ থেকেই টেস্টে বিদায় নেয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুরণ হয়নি তার। দুবাই এসেও দেশের জন্য বিমানে উঠতে পারেননি। জনরোষ তার বিপক্ষে, কারণ জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তিনি বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ নেননি। একের পর এক লাশ পড়লেও ছিলেন নির্বিকার। এখনো তিনি অনুতপ্ত নন। তিনি বলেছেন, তার রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না। এখনো নির্বাচন করলে জিতবেন। শুধু তাই নয়, স্পষ্ট করেই বলেছেন ক্ষমতা চীরস্থায়ী নয়। দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যে-ই ক্ষমতায় আসুক, তারা চিরকাল থাকবে না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তাই, সিস্টেমটা ঠিক করতে হলে সবাইকে একসাথে আসতে হবে। আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম শুধুমাত্র মাগুরার মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে। অন্য কোনো লাভের জন্য নয়। উদ্দেশ্য ছিল একদম পরিষ্কার। গত ১৮ বছর নাকি শেষের ৬ মাস, কোনটা দেখে আমাকে বিচার করবেন, তা আপনাদের ইচ্ছা।’
সাকিব আল হাসানের দাবি ১৮ বছর তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। সেটিই বিবেচনায় নেয়া উচিত ছিল জনগণের। কারণ তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন ৬ মাস মাত্র। সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব। হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম, কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনও দলের কোনও রাজনৈতিক পদেও নেই। আমি এখনও বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালো ভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’
রাজনীতিতে এসে ভুল করেছেন এমনটাও মানতে নারাজ সাকিব। শুধু তাই নয় এখনো নির্বাচন করলে নিজ আসনে জিতবেন বলেও বিশ্বাস তার। সাকিব বলেছেন, ‘রাজনীতিতে আসা ভুল কিনা, এটা নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তারা বেশিরভাগই মাগুরার ভোটার নন। মাগুরার মানুষের ভাবনা আলাদা। তারা বিশ্বাস করে আমি কিছু করতে পারব। সুতরাং, কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।’ সাকিব জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছাই তাকে টেনে এনেছিল রাজনীতির মঞ্চে। কিন্তু সময়, পরিস্থিতি এবং সুযোগের অভাবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবে সাকিবের ভাষ্য অনুযায়ী, মাগুরার মানুষ তাকে এখনও বিশ্বাস করে, আর সেই বিশ্বাসই তার সবচেয়ে বড় শক্তি।
পাঠকের মতামত
সাকিব, আপনার মত লোক বাংলাদেশে জন্ম হওয়া, বাংলাদেশের মাটির পাপ হয়েছে। যত বুঝ আপনি দেন না কেন, বাংলাদেশীরা অবুঝ নয়, there are no smoke without fire.
বিশ্ববাটপার এত দিনে এসে বুঝলো ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয় না। তুই আগে বিঝিস নি যখন তুই দুর্নিতি করেছিলি।
Sotontro korcilen na keno?