বিশ্বজমিন
অবশেষে গাজায় প্রবেশ করলো ত্রাণবাহী ট্রাক
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৫ অপরাহ্ন

তিন দিন অপেক্ষার পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে ৯০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। উপত্যকাটিতে থাকা জাতিসংঘের টিমের তরফে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এগারো সপ্তাহ পর গাজায় সহায়তা উপকরণ পৌঁছালো। ওই সহায়তা উপকরণের মধ্যে আছে আটা, শিশু খাদ্য ও চিকিৎসা উপকরণ ইত্যাদি। বুধবার দিবাগত রাতে কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে ওই সহায়তা উপকরণ গ্রহণ করে বিতরণের জন্য তা গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ছবিতে দেখা যায়, ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে আটা নিয়ে একটি বেকারিতে রুটি তৈরি করা হচ্ছে। জাতিসংঘের তরফে বলা হয়, ইসরাইল যে পথে ত্রাণ প্রবেশের জন্য অনুমতি দিয়েছে সেখানে নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাজায় ওই ত্রাণ পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বুধবার তারা গাজায় প্রায় একশো ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেয়। তবে জাতিসংঘের তরফে বলা হয়, উপত্যকাটির বিশাল চাহিদা মেটানোর জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। বুধবার রাতে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে ৯০টি ট্রাক ত্রাণ সংগ্রহ করে তা গাজায় পাঠানো হয়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ত্রাণ নিয়ে ট্রাকগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চলের এক রাস্তা ধরে লাইন দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) প্রধান আন্তোনিও রেনার্ড বলেন, ত্রাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়ার কারণ হলো, ইসরাইল যে পথ দিয়ে ত্রাণ সংগ্রহের অনুমতি দেয়, সাহায্য সংস্থাগুলো সেই পথকে বিপজ্জনক বলে মনে করে। রেনার্ড বলেন, গাজার বাজার মূল্য অনুযায়ী উপত্যকাটিতে প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রাকে যে পরিমাণ আটা আছে তার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ডলার। তিনি আরও বলেন, এই সমস্যার সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধান হলো উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ১০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়া। ত্রাণ যত কম সরবরাহ করা হবে উদ্বেগ তত বাড়বে।
উল্লেখ্য, ২রা মার্চ থেকে গাজায় সকল প্রকার সহায়তা উপকরণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এছাড়া দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পুনরায় উপত্যকাটিতে হামলা শুরু করে দখলদাররা। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামাসের কাছে বন্দি ৫৮ জিম্মিদের উদ্ধারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের ওপর চাপ বৃদ্ধির উদ্দেশে হামলা জোরদার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জিম্মিদের মধ্যে ২৩ জন এখনও জীবিত আছে। ইসরাইল দাবি করে, গাজায় সাহায্য উপকরণের কোনো ঘাটতি নেই। এছাড়া হামাসের বিরুদ্ধে ওই সহায়তা উপকরণ চুরির অভিযোগও করেছে দখলদাররা। তাদের অভিযোগ, হামাস সহায়তা উপকরণ চুরি করে তা তাদের যোদ্ধাদের দেয় বা বিক্রি করে দেয়।